TadantaChitra.Com | logo

১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মেঘনা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের কুকীর্তি ফাঁস!

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯, ১৪:১৫

মেঘনা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের কুকীর্তি ফাঁস!

তদন্ত চিত্রঃ মেঘনা উপজেলার আওয়ামী লীগের ভাইস-চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজুর এবার সব ধরনের কুকীর্তি ফাঁস হয়ে গেলো। এমন কোন কাজ নেই তাঁর দ্বারা হয় না। সাধারণ মানুষের চোখে ধূলো দিয়ে বিভিন্ন রকমের অপকর্ম করে বেড়ায়, এমনকি কোন সুন্দরী রমণী যদি তার নজরে পড়ে তাহলে আর রক্ষা নেই। সুযোগ বুঝে বিভিন্ন মেয়েদের চাকরি দেওয়ার নাম করে ফাঁদে ফেলে তার রক্ষিতা হিসেবে রেখে যৌন চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি তাদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কুকীর্তি করায়!

এমনকি তাদের দিয়ে বিবাহ বানিজ্য পর্যন্ত করায়। এরকম একটি বিবাহ বানিজ্য করতে গিয়ে তাজুল ইসলামের আসল চেহারা সবার নজরে আসে। তাকে প্রত্যেক অপকর্মের সহায়তা করত চাঁদপুর জেলার দীন ইসলাম।এই তাজুল ইসলামকে দিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে মেয়ে সংগ্রহ করতো।কেউ যেন বুঝতে না পারে সেজন্য দীন ইসলামের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তাজুল ইসলাম তাজুর রক্ষিতা হিসেবে রাখতো।রক্ষিতাদের একজনের নাম শামীমা আক্তার নাঈমা।এই শামীমা আক্তার নাঈমাকে দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন জনকে টার্গেট করিয়ে বিবাহ বানিজ্য করাতো।এই পর্যন্ত শামীমা আক্তার নাঈমাকে দিয়ে ১৪ থেকে ১৫ টি বিয়ে বিবাহ বানিজ্য করান। এই নাঈমার শেষ শিকার হলো নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আমান হোসেন।

আমান হোসেনের সাথে মহা ধুমধামের সাথে তাজুল ইসলাম তাজুর রক্ষিতা শামীমা আক্তার নাঈমার বিয়ে হয়। বিয়ের ঠিক ১৮ দিনের মাথায় আমান হোসেনের টাকা পয়সা স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে পালিয়ে যায় এই শামীমা আক্তার নাঈমা। নগদ ৩,৭৫,০০০ ( তিন লক্ষ পঁচাত্তর হাজার ) টাকা ও ১০ ( দশ ) ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার পর আমান হোসেন ৩১/০৭/২০১৯ইং তারিখে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন, মামলা নং – ৮১/১৯, ধারা ৩৮০/১০৯,।

এই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ ০৪/০৯/২০১৯ইং তারিখে মেঘনা উপজেলার মুন ফিলিং স্টেশনের পাশে একটি ৬ তলা ভবন থেকে শামীমা আক্তার নাঈমা ও দীন ইসলামকে গ্রেফতার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাজুল ইসলাম সুকৌশলে কেটে পড়ে। শামীমা আক্তার নাঈমাকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন তার কাছ থেকে চোরাই কৃত স্বর্ণালঙ্কারের মধ্যে ০৫ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করেন।
শামীমা আক্তার স্বীকার করেছেন, পালিয়ে আসার সময় নগদ ৩,৭৫,০০০হাজার টাকা ও দশ ভরি স্বর্ণালঙ্কার সাথে করে নিয়ে এসেছেন। বাকী স্বর্ণালঙ্কার ও টাকার কথা জিজ্ঞেস করাতে শামীমা আক্তার নাঈমা বলেন, তাজুল ইসলামের কাছে জমা দিয়েছেন।

ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাজুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে প্রথমে অসুস্থতার ভান করে ঘটনাটি সুকৌশলে এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেন।

পরিশেষে নিজেই ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন কেন ফোন দেওয়া হলো বলে এক প্রকার উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তারপর কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই নিজেই বলতে শুরু করলেন ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

শামীমা আক্তার নাঈমার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে বলেন, দীন ইসলামকে দিয়ে বিভিন্ন চাকরির তদবির করাইতাম,সেই সুবাদে শামীমা আক্তার নাঈমার সাথে পরিচয়।

তিনি আরো বলেন তাদের বাড়ি নাকি চাঁদপুর। শামীমা আক্তার নাঈমা তার রক্ষিতা কিনা জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন তাদেরকে আমি নিজেই ফ্ল্যাট বাসা ঠিক করে দিয়ে আমার পাশে রাখি।কি কারণে রাখেন জিজ্ঞেস করলে তখন বলেন তাদের দিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বাণিজ্য করাতেন। এককথায় তাজুল ইসলাম নিজেই তার অপকর্মের কথা স্বীকার করেন।

এলাকাবাসীর কাছে তাজুল ইসলামের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম,সে একজন ভয়ংকর প্রকৃতির লোক! অনেকেই ভয়ে প্রথমে মুখ খুলেননি।এর পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোক তাঁর কুকীর্তির কথা স্বীকার করেছেন। আরো বিস্তারিত পরবর্তীতে প্রকাশিত হবে।।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।