স্টাফ রিপোর্টার: সন্ত্রাসীদের তান্ডবে অতিষ্ঠ চট্টগ্রামের বায়োজিদ এলাকার লোকজন।এক সময়ের ছিনতাইকারী কাইসার হামিদ (প্রকাশ ইয়াবা কাইসার) এখন এক মূর্তিমান আতঙ্ক। তার রয়েছে বিশাল ক্যাডার বাহিনী। ছিনতাই, খুন, ধর্ষণ, ভূমিদস্যুতা, অস্ত্র ব্যবসা, জমি দখল, মাদক চোরাচালান ও অপহরণ সহ সব ধরণের অপকর্মেই এই বাহিনীর সদস্যরা সরাসরি জড়িত। গ্রেপ্তার হলে কিছুদিনের মধ্যেই আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
এই কারনে কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেনা।
ইয়াবা কাইসার বায়োজিদ বোস্তামী থানার শহীদ নগর এলাকার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। চুরি ও দিনে দুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনা দিয়ে অপরাধ জীবনের শুরু হলেও এখন সে পুরোদস্তুর মাদক ব্যবসায়ী ও ভুমিদস্যু হিসেবে পরিচিত।
বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অনন্যা আবাসিক এলাকা হইতে ২০-১২-১৫ ইং তারিখ রাত ২৩ঃ০০ঘটিকায় কাইসার হামিদ প্রকাশ ইয়াবা কাইসারের rav4 চট্টমেট্টো ঘ-১১-১২৮৫ গাড়ী থেকে (১)মোঃসিরাজ উদ্দিন৩৬ (২)আরাফাত ৩৬ দ্বয়কে
১,৮০,০০০(একলক্ষ আশি হাজার) পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয় বায়েজিদ বোস্তামী থানা টিম।
পরে পুলিশের ভয়ে দীর্ঘদিন কক্সবাজার কুতুপালং-এ আত্মগোপনে বসবাস করার সুবাদে চট্টগ্রামে গড়ে তুলেন বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। এই বাহিনী দিয়ে এলাকায় কায়েম করেন ত্রাসের রাজত্ব। তার সহযোগিদের অনতম ইয়াবা নাছির,সিরাজ ও আরাফাত।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের ইয়াবার গডফাদার কাইসার হামিদের রয়েছে চট্টগ্রামে বহু বহুতল ভবন যার মধ্যো পাচঁলাইশ ৩নং ওযার্ড পূর্ব শহীদ নগর এলাকায় একটি ৫তলা বিল্ডিং, পশ্চিম শহীদ নগর এলাকায় একটি ৬তলা বিল্ডিং, অক্সিজেন পাঠান পাড়া এলাকায় একটি ৬তলা বিল্ডিং, ৭নং ওয়ার্ড রৌফাবাদ এলকায় আছে ২টি ৬তলা বিল্ডিং, হাটহাজারী রোড় আমান বাজার রয়েছে তার আরো ১টি ৬তলা বিল্ডিং, যার সবকটি বিল্ডিং বিগত ৫বছরের মধ্যো সম্পূর্ণ হয়েছে। ইয়াবা কাইসারের হেরিয়ার গাড়ি রয়েছে ১টি,নিশান গাড়ী রয়েছে ১টি আরো অনান্যো প্রাভেট কার রয়েছে ২টি।
অতীতে ইয়াবা কাইসারের রয়েছিল সামান্য ছোট্ট একটি সুগন্ধা বাংলা সাবানের কারখানা অতচ মাদক ব্যবসা করার পর খুব শঘ্রীই আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গিয়েছে এই চট্টগ্রামে মাদক সম্রাট ইয়াবা কাইসার।বর্তামানে সে হাজার কোটি টাকার মালিক।
ইয়াবা কাইসারের বাহিনীর ক্যাডাররা একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। বেশ কয়েকটি মামলা চলমান এবং কিছু মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। এ ছাড়াও পাহাড়ের কাঠ পাচার অস্ত্র চোরাচালান সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।
এসব অভিযোগে ২৫/৩০টি মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ সব অপকর্ম করে জিরো থেকে অল্প সময়ে তারা সবাই কোটিপতি বনে গেছে।কাইসার হামিদ প্রকাশ ইয়াবা কাইসারে অপর দুই সহযোগীকে চট্টগ্রামের পটিয়া থানা এলাকায় ইয়াবাসহ আটক করে র্যাব-৭।গত ০৪/০৯/২৯ইং বুধবার দুপুরে পটিয়া থানার ৯নং বড়লিয়া ইউপির আমজুর হাট এলাকায় থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় ৬০ হাজার ৮শ’ পিস ইয়াবা ও মাদক বহনে ব্যবহৃত একটি কার জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলো- নাছির (৪২) ও (২) মোঃ রাশেদ (২৭)। র্যাবের দাবি, ইয়াবাসহ আটক দুজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী।
তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা ধর্ষণ, অপহরণ সহ বেশ কয়েকটি মামলা। এর মধ্যে একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত।কাইসারের ডানহাত হিসেবে সে অপরাধ সাম্রজ্য নিয়ন্ত্রণ করেআরাফাত। আরাফাত শিবিরের সক্রিয় কর্মী ছিল।
ইয়াবা নাছির কাইসারের হয়ে চাঁদা আদায় করে। এদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, দস্যুতা, গুম, অপহরণ, অস্ত্র চোরাচালান, পাহাড়ি কাঠ পাচার, সরকারি ও মালিকানা ভূমি দখলের অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। পাহাড় ও পাহাড়ের গাছ কেটে পরিবেশ নষ্ট করছে। এতে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
সুত্র জানায়, চট্টগ্রামে সর্বনাশা মাদক ইয়াবা পাচারকারী সিন্ডিকেটের অন্যতম কাইসার হামিদ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান পাচার করে কাইসারের সহযোগি নাছির ও তাজু।
বায়োজিদ থেকে নাছির কে অস্ত্র ও ১৫০০হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশ গ্রেপ্তার করে গত ১০সেপ্টম্বর১৯ইং।বর্তমানে তারা হাজতেই আছে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন পশ্চিম শহীদ নগরের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মো: নাছির(৪৫) ও তাজু(২৮) সহ বায়েজিদ বোম্তামী থানায় একাদিকবার ইয়াবাসহ ধরা পড়লেই(ইয়াবা কাইসারের সহযোগিতায় তারা বার বার জামিনে বের হয়ে আবারো মদক ব্যবসায় সক্রীয় হয়ে যায়। ছেলে-মেয়ে স্ত্রীসহ পরিবারের ০৭ সদস্যর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা আছে নাছিরের।নাছিরের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ২৫ টির অধিক মামলা আছে।এছাড়াও আরো কিছু ইয়াবা পাচারকারী জামিনে ছাড়া পেয়ে বিভিন্ন সংস্থার সোর্স হিসেবে নিযুক্ত হয়ে গোপনে ইয়াবা পাচারে যুক্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের হাতে ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ ধরা পড়েছে এক কাইসারের অপর এক পাচারকারী। এই পাচারকারী পেটের ভেতরে করে ইয়াবা পাচার করছিল। পলিথিনে মুড়িয়ে কালো স্কচটেপ দিয়ে আটকানো ইয়াবা তার পেটের ভেতরে এক্সরে মেশিনে ধরা পড়ে। পরে চিকিৎসকরা সেগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ইয়াবা কাইসারে অপর এক সহযোগী চট্টগ্রামে সাংবাদিক নামধারী সাংবাদিকের নাম ব্যবহার করে চলাচ্ছে মাদক ব্যবসা,ইয়াবা ব্যবসা,নারী ব্যবসা রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ) তার শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার পরেও দীর্ঘদিন একটি অনলাইন চ্যানেল কাজ করছিল অপরাধ জনিত কর্মকাণ্ড সাথে সম্পৃক্ত থাকার করণে সেখান থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয় বর্তমানে একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন পত্রিকায় কাজ করছে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম নগররীর পটিয়া থানা রাশেদের নামে একটি চাঁদাবাজি মামলা আছে বলেও জানা গেছে। বর্তমানে ইয়াবা কাইসার ও তার এই সহযোগী রাশেদ সম্পুর্ণ আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের খুজছে ডিবি পুলিশ এন.এস.আই ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর স্পেশাল ব্রাঞ্চ বিশেষ টিম।তাদের খোঁজ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ৯৯৯ নাম্বার যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশের এক বিশেষ সূত্র।
বর্তমান সরকারের মাদক ও দূর্নীতি বিরোধী অভিজানে কালো টাকার পাহাড় গড়া ভীত কাইসার হামিদ শহীদ নগর এলাকা।
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত