তদন্ত চিত্রঃ ১৯৯৭ সালে আমার ঘর আমার বেহেশত ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন অভিনেতা শাকিল খান। চলচ্চিত্র থেকে শাকিল খান বর্তমানে দূরে সরে এসে ব্যবসায় মনযোগ দিয়েছেন। বর্তমান স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বেশ ভালোই আছেন এই অভিনেতা।
চিত্রনায়ক শাকিল খানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে আসলেও বারবারই তা এড়িয়ে গেছেন ঢাকাই ছবির এই আবেদনময়ী নায়িকা।
এরপর নানা কারণে সে সম্পর্ক ভেঙে যায়। ঘটে দুজনের সম্পর্কচ্ছেদ। এরপর শুনা গেছে, পপি প্রেম করেছেন সে সময়ের আরেক জনপ্রিয় নায়ক রুবেলের সঙ্গে। তবে অনেকটা গোপন ছিল এই সম্পর্ক। ওইসময় একের পর এক ছবি করেছেন তারা। তবে এক সময় সেটিরও পরিপূর্ণতা মেলেনি। শেষ হয় সে সম্পর্কও।
এদিকে, এই সময়ে এসে আবারো প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়েছে পপিকে নিয়ে। চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে নাকি তার আবার প্রেম! অনেকে বলছেন শুধু প্রেমই নয় বরং অবৈধ সম্পর্কও চলছে তাদের মধ্যে! তবে এগুলোকে বরাবরই গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পপি। তাদের অবৈধ সম্পর্ক সংক্রান্ত কিছু ছবিও প্রতিবেদকের কাছে এসেছে।
অভিযোগ রয়েছে, জায়েদ খান ৯০ দশকের নায়িকা পপি’র সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত হয়েই ক্ষ্যান্ত নন। এই নায়িকাকে বিত্তশীল লোকজনের কাছে পাঠিয়ে টাকা কামাতেন জায়েদ খান। তার এ তালিকায় রয়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তি, শিল্পপতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উধ্বর্তন কর্তা সহ নামিদামী ব্যক্তিবর্গ। তাকেই দিয়ে এই নামীদামি ব্যক্তিদের আনন্দ প্রমোদের মাধ্যমে কব্জা করেন জায়েদ খান। সম্প্রতি ক্যাসিনো নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানী তথ্যে এমনটা উঠে এসেছে।
সূত্র জানায়, চলচ্চিত্র শিল্প সমিতিকে পুঁজি করে পিরোজপুরের চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের বাড়ির মালামাল লুটপাট করান জায়েদ খান। পিরোজপুর শহরের বাইপাস সড়কের মাছিমপুর এলাকার সার্জিকেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পঞ্চম তলায় বিজয় কৃষ্ণ হালদারের স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক গীতা রানী মজুমদার ও তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়ে থাকেন।
আরো জানা গেছে, তার আপন ভাই পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল। তিনি ডিএমপিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত। বর্তমানে শাহজানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। নামে নামে জমে টানে’ কথার বাস্তবতা এ পুলিশ কর্তার বেলায় হুবহুব মিল রয়েছে। সাবেক পুলিশের আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক৷ এই আইজিপি’র নাম আর জায়েদ খানের নাম এক হওয়াতে ভাইকে আইজিপি বলেই পরিচয় দিতেন বিভিন্ন মহলে। তবে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হকের সাথেও জায়েদ খানের সম্পর্ক ছিল সু-মধুর।
অভিযোগ রয়েছে, বিপাশা কবির নামের এক আইঢেম গানের নাচনেওয়ালী সাথে জায়েদ খান সাবেক আইজিপি শহিদুল হকের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সূত্র ধরেই সাবেক এই আইজিপি ওই নায়িকার বাসায় নিয়মিত যাতায়েত করতেন। এছাড়াও জায়েদ খানের কথায় অন্য এক নায়িকাকে সাবেক পুলিশের এ কর্তা গুলশানে একটি ফ্ল্যাটও কিনে দেন। এই পুলিশ অফিসের শাসনামলে পিরোজপুর এলাকায় পুলিশের পাহাড়ায় এক হিন্দু পরিবারের একটি ক্লিনিকও দখল করে নেন জায়েদ খান ও তার ভাই।
হিন্দু পরিবারের অভিযোগ, এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা করলে ক্লিনিকের মালিক বিজয় কৃষ্ণ হাওলাদারকে রাজধানী শহর থেকে বেশ দূরের স্থান ঝিনাইদাহ রেল লাইনের পাশে পেলে দেন এ চক্রটি। বর্তমানে এই পরিবারের সদস্য গীতা রানী মজুমদার ও বিজয় কৃষ্ণ হাওলাদার এক ধরনের বন্দি জীবন যাপন করছেন।
তবে পপি বলেন, আপাতত প্রেম করার কোন ইচ্ছে নেই বরং ক্যারিয়ারে বেশ মনোযোগী। আগের জনপ্রিয়তা ফিরে পেতে বর্তমানে উঠে পড়ে লেগেছেন এই নায়িকা। ফিটনেসের প্রতিও মনোযোগী হয়েছেন তিনি।
এ দিকে তদন্ত চিত্রের সংবাদ সরিয়ে ফেলতে এক সাংবাদিক লবিস্টিক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন জায়েদ খান। তদন্ত চিত্রে গত ৩০ সেপ্টেম্বর “জি কে শামীমকে নায়িকা পাঠাতেন জায়েদ খান!” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করলে ০১ অক্টোম্বর হোটেল সোনারগাঁও একটি জরুরী মিটিং ডাকেন জায়েদ খান। সেখানে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী আলোচনা করেন তদন্ত চিত্রের সংবাদ সম্পর্কে।
জানা গেছে, আজ দিনের মধ্যে ওই সাংবাদিক তদন্ত চিত্রের সংবাদ ফেলে দিবেন বলে জায়েদ খানের কাছে সময় নেন। তবে জায়েদ খানের অপকর্ম নিয়ে তদন্ত চিত্র ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করবে। আগামী সপ্তাহে জায়েদ খানের অপকর্ম নিয়ে সাপ্তাহিক তদন্ত চিত্র একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ছাপাবে।
এ বিষয় নিয়ে জায়েদ খানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
‘সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সর্ভিস’
সুন্দরবনে অগ্নিনির্বাপণ অভিযানের ৪৮ ঘণ্টার মাথায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে......বিস্তারিত