মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদারঃ ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগের পক্ষে আর পদ পেলেন বিএনপিতে। এমনই ঘটেছে সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে। বুধবার সিলেট জেলা বিএনপির ২৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
কমিটিতে কিছু বিতর্কিত নাম আসায় বিব্রত পরিস্থিতির মাঝে পড়েছেন দায়িত্বশীল নেতারাও। বিএনপির তৃণমূল নেতা থেকে শুরু করে পদপ্রাপ্ত নেতারাও বিব্রত।ইউপি নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে সভা–সমাবেশে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে বক্তব্য দিয়েও জেলা বিএনপির মত আহবায়ক কমিটিতে কিভাবে পদ পেলেন এই আলোচনা এখন সিলেটের রাজনীতির টেবিলে।
জেলা বিএনপির আহবায়ক করা হয় কামরুল হুদা জায়গীরদারকে। এই কমিটিতে বিগত বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করা আহমেদুর রহমান চৌধুরী মিলু ও ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকীর নাম আসায় তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে বিএনপি পরিবারে। গত উপজেলা নির্বাচনে আ’লীগ নেতা আশফাক আহমদের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চান বিএনপিতে পদ পাওয়া মিলু। তখন সিলেটভিউ২৪ডটকম-এ সংবাদ প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় উঠে সিলেটে। এর প্রেক্ষিতে সিলেট জেলা বিএনপি তাকে শোকজও করেছিল।
অপরদিকে ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আশফাকের পক্ষে নগরীর মেজরটিলার আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব মিয়ার বাড়িতে বক্তব্য দেন ইশতিয়াক সিদ্দিকী।উল্লেখ্য, আহমেদুর রহমান মিলু ও ইশতিয়াক সিদ্দিকী সম্পর্কে জামাই-শ্বশুর ।
এ বিষয়ে মিলুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অপরদিকে ইশতিয়াক সিদ্দিকীর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির এক পদপ্রাপ্ত নেতা বলেন, ‘এ বিষয়ে দলের তৃণমূলও ক্ষুব্ধ।আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট চেয়েও যদি বিএনপির পদ পান তাহলে দলের প্রতি নেতাকর্মীদের আস্থা কমে যাবে।’
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত