আমির হোসেনঃ অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে সফিপুর ভূমি অফিস। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না গুরুত্বপূর্ণ এই সরকারি অফিসে।
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এই অনিয়ম আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়া হাজার টাকার বিনিময়ে খতিয়ান বিক্রির ব্যবসাও করা হয়। সাধারণ মানুষ নামজারি খারিজ কেসের প্রস্তাব প্রতিবেদন নিতে গেলে টাকা ছাড়া হয় না। খারিজের প্রতিবেদন ও সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন কায়দা করে হয়রানি করে এই কর্মকর্তা।
গোপন সূত্রে জানা যায়, সফিপুর ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী খান এখানে যোগদান করার পর থেকে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে।
এলাকার সাধারণ মানুষ সফিপুর ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী খানের কাছে জমি খারিজ করতে গেলে তিনি সাব সাব বলে দেন,খারিজের তালিকায় যা আছে তাতো দেবেনই এছাড়াও আরও ১২হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে।
যদি টাকা দেন তাহলে খারিজ হবে না হয় অন্য কোথাও চেষ্টা করেন। তিনি আরও বলেন খারিজের জন্য ৬টি স্বাক্ষর লাগে এবং প্রতি স্বাক্ষরের জন্য ২হাজার টাকা করে দিতে হয়। এইজন্য এই অতিরিক্ত ১২হাজার টাকা নিতে হয়,এতে আমার থাকে মাত্র ১৫’শ টাকা।
এছাড়াও পিয়নকে আলাদা টাকা দিতে হয়।
সাধারণ মানুষ তার কাছে টাকা ছাড়া গেলে বিভিন্ন কায়দা-কৌশল করে হয়রানি করে। আর টাকা দিলে নামজারি খারিজ কেসের প্রস্তাব প্রতিবেদনগুলো দেন। টাকা ছাড়া কোনো কাজ করে না, ভূমি অফিস এমনটাই জানিয়েছেন ওয়াজেদ আলী খান।
এখানে টাকা হলে সব হয়। টাকা না দিলেই এখানে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন বাহানায় হয়রানি করানো হয়। এছাড়া মোটা অংকের টাকা দিলেই নিজের পছন্দ মতো জমির খতিয়ান পাওয়া যায়। এতে করে জমির প্রকৃত মালিকরা পড়ছেন নানা জটিলতায়। একই জমির মালিক একাধিক ব্যক্তি বলে যাচ্ছেন টাকার বিনিময়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, এই ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। টাকা না দিলেই বিভিন্ন অজুহাতে আজ নয় তো কাল করে দিব। বিভিন্ন কায়দায় সময় কাটায় আর হয়রানি করা হয় দিনের পর দিন। এখানে একই কাগজ একাধিক ব্যক্তির কাছে হস্তানন্তর করা হয় অর্থেও বিনিময়ে। এই সব অনিয়মের একাধিক ভিডিও সহ প্রমাণাদিও রয়েছে এ প্রতিবেদকের হাতে।
এবিষয়ে সফিপুর ভূমি সহকারি কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। তবে আপনাদের কাছে যদি কোন প্রমাণ থাকে তাহলে আপনার কাজ আপনি করেন বলে ফোন কেটে দেন।
এব্যাপারে কালিয়াকৈর উপজেলার (ভূমি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহম্মেদ জানান, আমি ছুটিতে আছি। ছুটি শেষ হলে এসে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত