নাটোরে এম পি শিমুলের সন্ত্রাস সাম্রাজ্য, পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য!!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পান শফিকুল ইসলাম শিমুল। তরুণ এই সাংসদকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলো নাটোর-২ আসনের তরুণ সমাজ। নির্বাচনের পূর্বে নিজেরকার ভেতরের লোভী ভয়ানক রুপ ঢেকে রেখেছিলেন যত্ন করেই, যা সাংসদ হওয়ার পর ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে যায়।

নির্বাচনের জয় লাভের পরেই যেন সম্পদের লোভে উন্মাদ হয়ে যান এই সাংসদ। চাঁদা, টেন্ডারবাজি, সরকারি সম্পদ লুট, সরকারি খাস জমি দখল সহ নানা অপকর্ম হাসিল করেন সন্ত্রাসীদের দিয়ে। নির্বাচিত হওয়ার পর রাতারাতি নাটোর জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যালয় দখল করে এমপির সন্ত্রাসী বাহিনীরা। তার ছোট ভাই সাগরকে অবৈধভাবে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা দিয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়। এর পর থেকেই পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয় এবং চাঁদাবাজি ব্যাপক হারে বেড়ে যায়।

যার ফলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বারবার হস্তক্ষেপ করে সমস্যার সমাধান করতে হয়। এতে পরিবহন শ্রমিক এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ পরিলক্ষিত হয়। নাটোরে পরিবহন সেক্টরে চাদার পরিমাণ এতই বৃদ্ধি পায় যে যার কারনে রাজশাহী পরিবহন শ্রমিকরা নাটোরের এমপি শিমুলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে তার বিচার ও পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল এবং সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

এমপি শিমুলের নগ্ন হস্তক্ষেপে নাটোর জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচিত আওয়ামী লীগের শ্রমিক নেতাদের জোর পূর্বক শ্রমিক অফিস থেকে বের করে দেয়া হয় এবং তার পছন্দের লোকদের দিয়ে তা অবৈধভাবে দখল করে নেয়া হয়। কিছু শ্রমিক নামধারী লোকদের দিয়ে অবৈধ কমিটি বানিয়ে শ্রমিকদের কষ্টার্জিত টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ফলে কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন শ্রমিকেরা। এছাড়া ঐ একই কায়দায় নাটোর জেলা ট্রাক, কাভারড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন দখল করে নেয়। এর পর থেকে নাটোর শহরের পশ্চিম বাইপাস মোড়ে বাঁশ টাঙ্গীয়ে টোল ঘর নির্মাণ করে নিয়মিত গাড়ির গতিরোধ করে , গাড়ি প্রতি ১০০টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। সমস্ত টাকাই এমপি একাই আত্মসাৎ করছেন। একই কায়দায় নাটোর জেলা সিএনজি থ্রি হুইলার মালিক সমিতি এবং অটোরিক্সা ইজিবাইক মালিক সমিতি , নাটোর জেলা রিক্সা-ভ্যান মালিক সমিতিও দখল করে নেয় সাংসদ শিমুল।

প্রতিষ্টানগুলোতে সন্ত্রাসীদের দ্বারা ব্যাপক চাঁদাবাজি চালাচ্ছেন বলে নানা অভিযোগ রয়েছে। ফলশ্রুতিতে নাটোরের সকল মহলেই অসন্তোষ এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে আসে না। প্রতিবাদ করলেই চলে নির্মম নির্যাতন।