অনলাইন ডেস্ক: বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, ঢাকা দপ্তরের উচ্চমান সহকারী জনাব আব্দুর রহিম ভুইয়া, ২ বছরে অবৈধ উপায়ে আয় করে আজ সে শিল্পপতি, অবৈধ কোটি টাকার মালিক।
মিডলাইন পরিবহন ঢাকা সিটিতে (খিলগাঁও টু মোহাম্মদপুর রুটে) ০৫টি বাসের মালিক, ঢাকা শহরের ডেমরা ও নন্দীপাড়া ভুমির ও বিপুল অর্থের মালিক হোন। ২টি বাসের নম্বর পাওয়া হলো ঢাকা মেট্রো-ব-১৩-০২৯৯ ও ১১-৮৮৮৪। আরোহী এন্টারপ্রাইজ নামে ১টি সরবরাহকারী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আছে তার স্ত্রী নাসরিন আক্তারের নামে। ট্রেড লাইসেন্স নং ০২০৬৯৪২৯ , অায়কর সার্টিফিকেট নং- ১১৫৫৬৫৪৪৮১১৯।
একজন অফিস কেরানীর বিপুল সম্পত্তি হবার কারন জনবল সংকটে রেল পরিচালনার স্বার্থে অস্থায়ী ভিত্তিতে গেইটম্যান বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তার অধীনে, ঢাকা পরিবহন বিভাগে ১৪১ জন নিয়োগ দেয়া হয়। অস্থায়ী গেইট কিপার গন চাকুরী স্থায়ীকরনের দাবী নিয়ে আদালতে মামলা করেন। ২০১৮ সালে আদালত স্থায়ীকরনের রায় দিলে জনাব রহিম সাহেব এর কপাল খুলে যায। সেই রায়ের ফলে অস্থায়ী পদ হতে স্থায়ী গেইটকিপার হয়। তাদের যোগদানের ১মাসের মাথায় ” পয়েন্টসম্যান ” পদে পদোন্নতি প্রদান করে। উল্লেখ্য যে ” পয়েন্টসম্যান ” পদে সরাসরি নিয়োগ দেয়ার বিধান নাই। পয়েন্টসম্যান পদোন্নতি যোগ্য পদ। পদোন্নতির ফলে অস্থায়ী গেইট কিপারের পদ গুলি শুন্য হলে সেখানে নতুন লোক ঢুকানো শুরু করে। প্রত্যক ব্যাক্তি হতে ৩/৪ লক্ষ টাকা করে নেয়। একাজে উসমান, পয়েন্টসম্যান/নান্দাইল রোড ষ্টেশন মিডিয়া হিসেবে কাজ করে। কিছুদিন পর উক্ত রায়ের আলোকে আদালতে গ্রুপ করে রীট পিটিশন করে চাকুরী স্থায়ী করনে সেখানেও মাথাপিছু টাকা নিচ্ছে।
প্যাকেজ করে ৩টি ধাপে একাজ করে চলছে। ১ম ধাপে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয় ৩/৪ লক্ষ টাকা নিয়ে। ২য় ধাপে রীট করার জন্য ৪০/৫০ হাজার টাকা নেয়। ৩য় ধাপে রায় পেয়ে স্থায়ীভাবে নিয়োগ আদেশ পেতে ৭০/৮০ হাজার নেয়। তার এই চক্রের প্রধান এজেন্ট উসমান গনি, পয়েন্টসম্যান, নান্দাইল রোড ষ্টেশনে কর্মরত চাকুরী না করে ঢাকা শহরে বসে মিডিয়া হয়ে টাকা পয়সা লেনদেন করে।
পয়েন্টসম্যান গুরুত্বপুর্ন পদ তার কর্মস্থল নান্দাইল ষ্টেশনে খোজ নিয়ে জানা যায়, সে বহিরাগত লোক ” রাসেল ” দিয়ে চাকুরী করায়। বহিরাগত লোক দিয়ে কাজ করার নিয়ম সরকারী চাকুরী বিধিমালায় বেআইনী । চলতি মাসে ৭৪ জন অস্থায়ী গেইট কিপার মামলায় রায় পাওয়া তাদের থেকে গত ৯/১০/২০১৯ তারিখে ৭০/৮০ হাজার টাকা করে নেয় যা দেখে ফেলে অত্র দপ্তরের ১জন প্রধান সহকারী। সেই প্রধান সহকারী প্রতিবাদ করলে তাকে বিনা কারনে নিচের পদে ” উচ্চমান সহকারী ” বদলী করা হয়।
এই রহিমের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই এভাবেই নির্যাতন হিড়িক নেমে আসে। কারন সে কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে পারে। কর্মচারীদের সরকারী বাসা বরাদ্ধ বাণিজ্য করে প্রচুর ঘুষ নেয়। সম্প্রতি পরিচ্ছন্নতা কর্মী সীমা অাক্তার কে বাসা নং এ/১৮/C এবং নাছিমা অাক্তারকে বাসা নং এ/৪১/ডি বরাদ্ধ দেয প্রত্যেক হতে ১লক্ষ টাকা করে উৎকোচ নিয়ে। কর্মচারীদের বদলী বানিজ্য করেও হাতিয়ে নেয় অনেক টাকা। অবৈধ সম্পদের মালিক বনে যায়।
‘দেশের ৮ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস’
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি......বিস্তারিত