নিজস্ব প্রতিবেদক: যে কোন দেশের প্রাণ শক্তি হলো সে দেশের যুব সমাজ। যুব সমাজের সঠিক পথ চলায় এগিয়ে যায় দেশ, এগিয়ে যায় অর্থনীতি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশকে, একটি দেশকে সঠিক পথে পরিচালনার উদ্দেশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন শেখ ফজলুল হক মনি।
প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে এগিয়ে চলতে হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। অতীতে যে সুনাম নিয়ে এই যুবলীগের গর্ব ছিল কিন্তু বর্তমানে তার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। শীর্ষ নেতৃত্বের নানা অপকর্মের কারণেই এই সংগঠনের গৌরব কিছুটা ম্লান। যদিও ব্যক্তির দোষ সংগঠনের ওপর পড়ে না বা দেওয়া ঠিক নয় তারপরেও দায় এড়ানো যায় না। যার কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ নিজের দলগুলোর ভিতরে এক শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোঃমধ্যে আমরা তার ফলাফলও পেয়ে গেছি। শেখ হাসিনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন শীর্ষ নেতৃত্বকে বহিষ্কারই তার প্রমাণ।
সংগঠনের ভাবমূর্তি যতটা ক্ষুন্ন হয়েছে তা উদ্ধারের জন্য শেখ হাসিনা বিভিন্ন মাধ্যমে যুবলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের খোঁজ-খবর এবং তাদের আমলনামা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। আসলেই কি তিনি দক্ষ সংগঠক, ক্লিন ইমেজ, ত্যাগী, পরিশ্রমী, নেত্রীর প্রতি দলের প্রতি শতভাগ কমিটমেন্ট নেতৃত্ব খুঁজে পাবেন? এমন নেতৃত্ব কি পাওয়া সম্ভব?
এমন প্রশ্ন যুবলীগের যুবলীগের কিছু নেতৃবৃন্দকে জিজ্ঞাসা করলে তারা উত্তর দেন– ” অবশ্যই পাওয়া সম্ভব। শেখ হাসিনার জহুরির চোখ, তিনি সত্যিকারের সোনা চিনতে ভুল করবেন না।
আমাদের প্রাণের দাবী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেমন নেতৃত্ব চাইছেন তেমনি এক দক্ষ, ত্যাগী, অভিজ্ঞতায় ভরপুর নেতা হলেন মোঃ ফারুক হোসেন।”
কে এই মোঃ ফারুক হোসেন?
ফরিদপুরের কৃতি সন্তান বর্তমানে তিনি আওয়ামী যুবলীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাত রয়েছে। দলের জন্য জেল খেটেছেন, বিরোধী দলের, স্বৈর শাসকের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
মোঃ ফারুক হোসেন ১৯৮০ সালে ফরিদপুর ইয়াছিন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৮১ সালে ফরিদপুর কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি, ১৯৮২ সালে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৩ সালে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য, ১৯৮৭ সালে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি, ২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
শুধু তাই নয় মোঃ ফারুক হোসেনকে দীর্ঘ এই রাজনৈতিক জীবনে নানা নির্যাতন আর জেল জুলুমের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ১৯৮১ সালে ফরিদপুর ইয়াছিন কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি থাকাকালীন স্বৈরাচার শাসক কর্তৃক ডিটেনশন অর্ডারে ৯ মাস কারাবরণ করেন। ১৯৮৩ সালে সামরিক জান্তা কর্তৃক মার্শাল কোর্টে ১৪ বছরের জেল আদেশ পরবর্তীতে ৫ বছর ৭ মাস পর তিনি মুক্তি লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি পুনরায় গ্রেফতার হন এবং ১ বছর কারাবরণ করেন। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে অনন্য ভূমিকা এবং মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় গ্রেফতার হন এবং ৯ মাস কারাবরণ করেন। ২০০৪ সালে যুলীগের অফিস থেকে পুনরায় তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ১ মাস কারা ভোগ করেন।
তিনি শুধু ত্যাগীই নন নেতা-কর্মীদের দুঃসময়ের আশ্রয়স্থল। একজন পৌঢ় খাওয়া রাজনীতিবিদ। যেন সংগঠনের জন্যই, আওয়ামী লীগের জন্য, মুজিব আদর্শ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ডের জন্যই ফারুক হোসেনের জন্ম। সোনা যেমন পুড়ে পুড়ে আরও খাঁটি হয় ফারুক হোসেনও বার বার জেল জুলুম আর অত্যাচার সহ্য করে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। হয়তো এমন দক্ষ নেতৃত্বই পারে যুবলীগকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে।
জি/আই/তদন্ত চিত্র
‘কুষ্টিয়ায় চায়ের দোকানে দুজনকে গুলি, আওয়ামী লীগ নেতাসহ আটক ২’
কুষ্টিয়ার মিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতার গুলিতে দুজন আহত হয়েছে বলে......বিস্তারিত