TadantaChitra.Com | logo

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রমনা পার্ক আনসারের নেতৃত্বে ধূমপান ও হকারমুক্ত হলো

প্রকাশিত : নভেম্বর ০১, ২০১৯, ০৮:০০

রমনা পার্ক আনসারের নেতৃত্বে ধূমপান ও হকারমুক্ত হলো

ঢাকা: রাজধানীর অন্যতম বিনোদনের স্থান রমনা পার্ক ইতোমধ্যে ধূমপানমুক্ত হয়েছে। পার্ক কর্তৃপক্ষ, থানা পুলিশ ও দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের দ্বারা এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন রমনা পার্কের কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, রমনা পার্কের মধ্যে যদি কেউ ধূমপান অথবা কোনো ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম করে তাহলে আনসার পুলিশ তাদেরকে বিভিন্নভাবে আকার ইঙ্গিত প্রদান করে থাকে। এতেই যদি তারা সতর্ক না হয়, অথবা তারা তাদের ভাষা না বোঝে তাহলে তাদেরকে রমনাপার্ক থেকে বের করে দেয়া হয়।

সরেজমিনে আনসার পুলিশের ডিউটিরত এক সদস্য বলেন, আগে ওপেন অনেকেই বিড়ি সিগারেট সেবন করতো এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ মদ-গাঁজাও সেবন করতো। এছাড়া এই রমনা পার্কে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যক্রম চলতো। বর্তমান আনসার পিসি আসার পরে এগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

রমনা গেটে ডিউটিরত এক আনসার সদস্য বলেন, রমনা পার্কের ঐতিহ্য ফিরে এসেছে। এখানে আর কেউ আগের মতো মদ-গাঁজাসেবন করতে পারে না। এবং অসামাজিক কাজকর্মও করতে পারে না। কেন এমন নিরিবিলি স্থানে তো অনেক কিছুই হয়?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে এখানে টোকায়, হিজরা (তৃতীয় লিঙ্গ), ভিক্ষুকরা, স্কুলছাত্র ছাত্রীরা, প্রবেশ করতো কিন্তু এখন তাদেরকে আর প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। এমনকি পার্কের ভিতরে কাউকে খোলামেলা পরিবেশে খাবার খেতেও দেয়া হয় না। আমরা পার্কের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বহিরাগতরা সাধারণ মানুষকে আর ডিস্টাব করতে পারে না। এজন্য মানুষ একটু স্বাচ্ছন্দ্যে এখানে খোলামেলা পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে পারে।

রমনায় ডিউটিরত পার্কের এক কর্মকর্তা বলেন, এখানে পরিবার নিয়ে আসতে অনেকেই সংকোচবোধ করতো। কারণ রমনা পার্কের পরিবেশ আগের থেকেই কিছুটা নষ্ট ছিল। কিন্তু বর্তমান আনসার পুলিশের (নতুন) পিসি আসার পরে পার্কের পরিবেশ ফিরে এসেছে। এবং বিভিন্ন সমস্যা আনসার সদস্যরা নিজ দায়িত্ব নিয়ে পার্কের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন।

রমনা পার্কের দায়িত্বরত আরেক কর্মকর্তা বলেন, রমনা পার্ক রাজধানীর অন্যতম একটা বিনোদনের স্থান খোলামেলা পরিবেশ এখানে মানুষ এলে তাদের মন ভালো থাকে। কিন্তু অসৎ একটি চক্র এ পার্কের পরিবেশ নষ্ট করছে। এদের শাস্তি হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, বতর্মান আনসার এখানে কাউকে খোলামেলা চলাফেরাসহ, বিড়ি সিগারেটও কাউকে খেতে দেয় না। কেউ খেলে চুরি করে খেতে হয়। রমনা পার্কের পরিবেশ ফিরে এসেছে। এমন জায়গায় এ রকম কাজ করা খুব কঠিন ব্যাপার। এজন্য আনসার পুলিশকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

জানতে চাইলে আনসার ভিডিপির হেড অফিসের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সারাদেশে আনসার সুনামের সহিত নিজ দায়িত্ব নিয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটা সেক্টরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আনসার সদস্যরা জনগণকে সহযোগিতা করেছে। এবং দায়িত্ব নিয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছে। রাজধানীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ও মনোরম পরিবেশের এ জায়গাটির পরিবেশ ফিরিয়ে আনা আনসার সদস্যদের একটি সাফল্য এজন্য সকলকে ধন্যবাদ।

তিনি আরো বলেন, সেই সাথে সারাদেশের আনসার সদস্যদের নিজ দায়িত্বে নিয়ে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান করছি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রমনা থানার ওসি কাজী মাইনুল বলেন, আমরা একটি জিনিস নষ্ট করতে পারি কিন্তু ধরে রাখতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। রমনা পার্ক আনসার ধূমপানমুক্ত করেছে। তাছাড়া, পার্কে পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছে এটা আনসার এর একটি সাফল্য। এজন্য সকল আনসার সদস্যদের ধন্যবাদ।

জানতে চাইলে রমনা পার্কের ডিউটিরত আনসার কমান্ডার মো. খায়রুল আলম বলেন, আমি রমনা পার্কের মধ্যে বিভিন্ন মাদক সেবনকারীদের বিতড়িত করতে পেরেছি এজন্য আমি আনন্দিত।

তিনি বলেন, রমনা থানার ওসি মাঈনুল স্যার, আমাদের আনসার সদস্যদের প্রচেষ্টায়, এবং পার্কের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এ কাজটি করতে সক্ষম হয়েছি। এ সাফল্য আমার আনসার সদস্যদের।

খায়রুল আলম বলেন, রমনা থানার ওসি স্যার আমাকে সবসময় সাহস যুগিয়েছেন এবং তিনি আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। কারণে আমি এই কাজে সাফল্য হয়েছি। এজন্য ওসি স্যারকে ধন্যবাদ।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।