TadantaChitra.Com | logo

২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিলেটের মেয়রসহ বিএনপির প্রভাবশালী ৫ নেতার পদত্যাগ!

প্রকাশিত : নভেম্বর ০২, ২০১৯, ১০:১৮

সিলেটের মেয়রসহ বিএনপির প্রভাবশালী ৫ নেতার পদত্যাগ!

মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকীঃ সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট যুবদলের আহবায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে তিনি সহ সিলেট বিএনপির ৫ প্রভাবশালী নেতা পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগী অন্য নেতারা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইলয়াস আলী পত্নী তাহসিনা রুশদী লুনা, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, সহ-স্বেচ্চাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান।

সিলেট বিএনপি সূত্র তদন্ত চিত্রকে জানায়, বিএনপি থেকে পদত্যাগকারীদের সংখ্যা আরও বাড়বে।

সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী পদত্যাগের বিষয়ে দৈনিক জাগরণকে বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন ক্যাসিনো পর্যন্ত পৌঁছেছে। আর সিলেটে যুবদলের যাদের নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে তারা নিয়মিত কোকেন খায়। কোকেনসহ অন্য মাদকের ব্যবসাও করে তারা।

তিনি বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ঈমানী দায়িত্ব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের অন্যায়ের প্রতিবাদ করবো অথচ নিজেদের দলের ভেতরে যে অন্যায় ঘটে তার প্রতিবাদ করবো না, তাতে তো ঈমান থাকে না। তাই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতেই আমরা বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছি।

শাহরিয়ার চৌধুরী জানান, পদত্যাগীদের সংখ্যা আরও বাড়বে। দু’এক দিনের মধ্যেই আমরা ঢাকা আসবো। ঢাকায় এসে আমাদের পদত্যাগপত্র যথাস্থানে পৌঁছে দেবো।

পদত্যাগের বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক তদন্ত চিত্রকে বলেন, ডা. শাহরিয়ার চৌধুরী, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, শামসুজ্জামান জামান ছাত্রদলের প্রোডাক্ট। আমি জাগো দল থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শের রাজনীতি করি। আমরা বিএনপিতে হাইব্রিড না। আজকে আমরা দেখি, একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েমের পরও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের দলে হাইব্রিডদের কর্মকাণ্ডে ব্রিবত হচ্ছে। তারা দলকে বাঁচাতে সেসব হাইব্রিডদের চিহ্নিত করছে। দল থেকে বের করে দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। অথচ দুঃখজনক বিষয়, বিএনপিতে হাইব্রিডদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে।

তিনি বলেন, আমি সিলেট বিএনপির ফাউন্ডারদের মধ্যে একজন। অথচ যুবদলে যাদের নেতৃত্বে আনা হয়েছে, তাদের আমি, ডা. শাহরিয়ার, মেয়র আরিফুল, শামসুজ্জামানসহ কেউ তাদের চিনি না। আমরা মাঠে থাকি। আমাদের কারণে নেতাকর্মীরা মাঠে থাকে। অনেকের বিরুদ্ধে প্রচুর মামলা। তারা ঘরে থাকতে পারে না। ৭ দিনের মধ্যে বেশিরভাগ দিনই তাদের আদালতে হাজিরায় কাটে। এসব আমাদেরই কারণে। অথচ দলের কমিটি গঠনে আমরা তাদের স্থান দিতে পারছি না। তারা কান্নাকাটি করছে। আমরা কোনো জবাব দিতে পারি না। তাই বিবেকের তাড়নায় আমরা বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছি।

মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, আজ রাতে (শনিবার) আমরা বৈঠক করবো। বৈঠকের সিদ্ধান্তের পর আগামীকালই আমরা ঢাকায় যাব। সেখানে মহাসচিবের কাছে আমরা পদত্যাগপত্র জমা দেব। আমরা গোপনে নয়, প্রকাশ্যে এ কাজ করবো। শিগগিরিই আমরা প্রেস কনফারেন্স করে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে জানাবো যে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একটি মহল অন্ধকারে রেখে, ভুল বুঝিয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে বিএনপির ক্ষতি করছে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।