TadantaChitra.Com | logo

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যুবলীগের হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি!

প্রকাশিত : নভেম্বর ০৫, ২০১৯, ১৯:৪৯

যুবলীগের হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি!

ঢাকা: যুবলীগের সাধারণ সম্পাকের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্য, ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকা, ও ক্যাসিনোর টাকার গাড়ি চালানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর অভিযোগ করেছেন সাদ্দাম নামের যুবলীগের এক কর্মী। গতকাল সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তিনি এ অভিযোগ পাঠান। তবে এ চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ে পোঁছিয়েছে কি না তা এখনও জানা যায়নি।

নিন্মে চিঠির বিষয়টি হুবহু তুলে ধরা হলো।

যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন লিখেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি যুবলীগের একজন সাধারণ কর্মী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আদর্শিত একজন সৈনিক। আপনার নেতৃত্বকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রিয় নেত্রী আপনি যেভাবে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করছেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করছেন। আপনি দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এজন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। প্রিয় নেত্রী আজ আপনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যদি আপনার সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গ ভালোভাবে বুঝতো তাহলে আজ আপনাকে এ শুদ্ধি অভিযানে আসতে হতো না। আজ নিজের ঘরে শুদ্ধি অভিযান চালাতে আপনার কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু এরপরও দেশের উন্নয়নে আপনি শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করতে পিছপা হননি, এ অভিযান আপনি চালিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য আপনাকে আন্তরিকতার সহিত স্বাগতম জানাই।

চিঠিতে বলা হয়, প্রিয় নেত্রী আমাদের যুবলীগের ষষ্ঠ কাউন্সিলের পর আমরা যুবলীগকে বিভিন্নভাবে দেখেছি কেউ বলেছেন এশিয়ার সর্ববৃহৎ সংগঠন, কেউ বলেছেন যুবলীগ একটি সুশৃংখল সংগঠন, আবার কেউ জানিয়েছেন যুবলীগ সংগঠন সরকারের জনপ্রিয় সংগঠন, এ সংগঠনের কার্যক্রম এভাবে চলতে থাকলে দেশের উন্নয়ন চলমান থাকবে। প্রিয় নেত্রী আমরাও খুব কাছ থেকে যুবলীগকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে কাজ করেছি বিগত ষষ্ঠ কাউন্সিলের পর থেকেই। আমাদের আস্থার শেষ ভরসা, বাংলাদেশের মানুষের শেষ সম্বল, আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। হঠাৎ আপনি যুবলীগে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা শুরু করছেন। শুধু যুবলীগের নয় সারাদেশে আপনি শুদ্ধি অভিযান নিজ দায়িত্বে পরিচালনা করছেন। এটা বর্তমান সময়ে সরকারদলীয় জনগণের উপরে এ অভিযান আপনাকে সাফল্যের দিকে নিয়ে গেছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে আপনি একজন আপোষহীন জনপ্রিয় নেত্রী এজন্য আপনাকে আবারও আমাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।

যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন চিঠিতে আরো বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার এই শুদ্ধি অভিযান পরিচ্ছন্ন রাজনীতির মনমানসিকতায় ফিরে এসেছে। তাই যুবলীগকর্মী হওয়া আকাঙ্ক্ষা আরো বেড়ে গিয়েছে। প্রিয়নেত্রী আপনি শুদ্ধি অভিযানে একে একে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর, দক্ষিণের সভাপতি সম্রাট, জি কে শামীমসহ ক্যাসিনো জড়িত সকলেই আইনের আওতায় এনেছেন এবং তারা বিভিন্ন অপরাধের সাজা পাচ্ছে। আমাদের আপনার ওপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে, আপনি কোন অপরাধীকে ক্ষমা করেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে চাই আমি ছাত্রলীগ থেকে যুবলীগ সংগঠনে এসেছি কিন্তু যুবলীগে পদবী পাওয়ার জন্য যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ক্যাসিনো জড়িত হারুনুর রশিদ আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছে । আমি যোগ্য হওয়ার শর্তেও যুবলীগে‌ কোন প্রকার পদ-পদবিতে আসতে পারি নাই। এতে আমার কোন দুঃখ নাই কারণ আমার প্রিয় নেত্রীরও এক সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা হয়নি। এজন্য আমার কোন প্রকার দুঃখ নাই।

সাদ্দাম হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ও হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে পকেট কমিটি ঢেলে সাজানো হয়েছে। এজন্য সঠিক আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শীত কর্মীদের যুবলীগে ঠাই হয় নাই। বরং বিএনপি জামাত-শিবিরের লোকেদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে যুবলীগের পদ পদবী বিক্রি করা হয়েছে। এজন্য আজ যুবলীগ প্রশ্নবিদ্ধ? আজ যুবলীগের প্রভাব খাটিয়েছে বিএনপি-জামাত-শিবির। দীর্ঘ অনেকদিন তারা যুবলীগকে পরিচালনা করছে। আজ সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগঠন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া এজন্য দুঃখ লাগে। প্রিয় জনপ্রিয় নেত্রী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ বর্তমান যে গাড়িটি ব্যবহার করে সেই গাড়িটি ক্যাসিনোর টাকায়। গাড়িটি দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি সম্রাটের দেওয়া। তাছাড়া ওমর ফারুককে সামনে রেখে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যাপকভাবে সারাদেশে কোটি কোটি টাকার আত্মসাৎ করে যুবলীগের কমিটি বাণিজ্য করেছেন এবং অসংখ্য টাকার পাহাড় গড়েছে। ওমর ফারুক সহ যুবলীগের যারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত তারা যদি শাস্তি পায়, তাহলে হারুনুর রশিদ কেন শাস্তির আওতায় আসবে না? ওমর ফরুক এবং হারুন-অর-রশিদ মিলে সারাদেশের যুবলীগকে আজ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আপনার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে খোজ খবর নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে, যুবলীগকে বাঁচাতে এগুলোর সঠিক তদন্ত করে শুদ্ধি অভিযানের সাফল্য অর্জন করবেন এ প্রত্যাশা আমাদের সকলের সারাদেশের মানুষের।

সবর্শেষ চিঠিতে যুবলীগের এই নেতা জানিয়েছেন, দেশের জনপ্রিয় নেত্রী আমাদের মা জননী দেশরত্ন আপনার জন্য শুভকামনা রইলো এবং শুদ্ধি অভিযানের জন্য অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ পাক আপনাকে দীর্ঘ হায়াত দান করুক।

এ অভিযোগের ভিত্তিতে চিঠি

এই বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর মোবাইল ফোনে ( XXX11-541997) একাধিকবার ফোন করলে তিনি না রিসিভ করেন নি।এবং কোন সাড়াও দেননি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চিঠি দেওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চিঠি দেওয়া হয় তাহলে তো আমাকে জানাবে। সাদ্দাম নামের এক যুবলীগ নেতা এই চিঠিটি দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এই যুবলীগ নেতাকে চিনি না।

এসময় তিনি চিঠিতে উল্লেক্ষিত ক্যাসিনো সম্রাটের গাড়ি উপহার দেওয়ার কথাটা এড়িয়ে যান। সারাদেশে আপনি এবং ওমর ফারুক চৌধুরী যুবলীগের কমিটি বাণিজ্য করেছেন এমন অভিযোগ করা হয়েছে চিঠিতে এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি জীবনে কোনদিন কোন অবৈধ টাকা ধরিনি। আর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোন অবৈধ টাকা ধরবো না। কমিটি বাণিজ্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কখনো কাউকে কোন কমিটি দেয়নি আমি নিজে কিছু করিনি। আমি কমিটি বাণিজ্য নিয়ে কারো কাছ থেকে কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি। এসব তথ্য মিথ্যা।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুখ হোসেন বলেন, নেত্রীর কাছে চিঠির বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে কমিটি বাণিজ্য নিয়ে আমাদের যুবলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন স্থান থেকে চিঠি এসেছে অফিসিয়াল। শুনেছি গতকাল ও পাবনা থেকে যুবলীগের কমিটি বাণিজ্য নিয়ে দপ্তরে একটি চিঠি এসেছে। বিস্তারিত পরে ফোন করলে বলতে পারবো।

জানতে চাইলে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত বলেন, আপনি যে অভিযোগের কথা বলেছেন এ অভিযোগের কথা এখনও আমি জানতে পারিনি। এই আলোচনা আমার সামনে কেউ করে নাই। তবে আপনি যে দুইটা অভিযোগের কথা বলেছেন প্রথম অভিযোগটা হল হারুনুর রশিদ সাহেব ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত এটা আমার জানা নেই। এটা বোধ হয় সঠিক না। যদি কেউ এমন কথা বলে থাকে সে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত এটা আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। হ্যাঁ ক্যাসিনোর বেনিফিশিয়াল হতে পারে। তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকারে নিয়েছে যেটা আপনি বললেন এটা আমিও শুনেছি কোথা থেকে গাড়িটি কিনেছে গাড়ির শোরুম এর লোকজনও বলেছেন। তাছাড়া ক্যাসিনোর সঙ্গে যারা জড়িত তারা সকলে একথা বলে বেড়াই। এটা আমি শুনেছি কিন্তু তারা তো আর আমার সামনে দেয়নি তবে বিভিন্ন মানুষ একথা বলেছেন। যেখান থেকে গাড়ি কিনেছে গাড়ি কর্মচারীরা বলেছে সম্রাটের লোকজনও বলেছেন, চেয়ারম্যানের লোকজন বলেছেন যে গাড়িটি ক্যাসিনোর টাকার। অনেকেই এ কথাটা বাজারে বলছে। এটা নতুন কিছু না এটা বহু আলোচিত।

তিনি বলেন, এটা আসলে ঠিক! এই বিষয়ে যারা অভিযুক্ত তারা অনেকের নামই বলেছে। এর মধ্যে আপনি যার নাম বলেছেন সে জড়িত থাকতে পারে এটা অস্বাভাবিক কিছু না। যুবলীগ কার্যক্রমে আজ যুবলীগ প্রশ্নবিদ্ধ কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ হলো একারণে যদি আমি কারো কাছ থেকে সুবিধা ভোগ, তাহলে তাকে তো কিছু ছাড় দিতে হবে। তাহলে এটা কি এক ধরনের প্রশ্রয় দেওয়া নয়?

এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সুনামের সহিত দেশের উন্নয়নে কাজ করে গিয়েছে? সেই যুবলীগ আজ প্রশ্নবিদ্ধ? এমন প্রশ্নের জবাবে যুবলীগের দায়িত্বশীল এ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, সামান্য দুই একটা লোকের নেতৃত্বের কারণে ভুল এবং লোভে পড়ে তারা যে অন্যায় করেছে এজন্য যুবলীগ আজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। দুর্বলতার কারণে নেতৃত্বে অতিরিক্ত ঘাটতির কারণে আজ যুবলীগ দুর্বল হয়ে পড়েছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার।

যুবলীগের এই নীতিনির্ধারক আরো বলেন, আপনারা জানেন দেশের জন্য যুবলীগের অনেক এচিভমেন্ট রয়েছে যুবলীগ এখনও বাংলাদেশ একটি জনপ্রিয় সংগঠন এবং যুবলীগ কর্মীরা এখনো সবচেয়ে দেশের রাজনীতির সচেতন কর্মীর সমৃদ্ধ একটি সংগঠনের অংশীদার। যুবলীগের নেতাকর্মীরা এখনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার যে কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্ষম। কিন্তু এই জনপ্রিয় সংগঠনটি হাতেগোনা সামান্য কয়েকজন লোকের ভুলের কারণে অনিয়মতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের কারণে যুবলীগের সমালোচনা এদায়ভার যুবলীগের হতে পারে না! এটা নেতৃত্তের ঘাটতি কারণে হয়েছে বলা যায়। কোন ব্যক্তির দায়ভার যুবলীগ সমর্থন করে না এবং আমিও এই দায়ভার সমর্থন করিনা। আমি মনে করি এটা কিছু ব্যক্তির অপরাধ এটা সংগঠনের অপরাধ কখনো নয়। এটা যুবলীগের অপরাধ নয়। নিয়মনীতি বহির্ভূত কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে আজ যুবলীগ এমন অবস্থা হয়েছে এজন্য এ বদনামের ভাগ যুবলীগের কাঁধে উঠেছে।

শুধু এই চিঠি নয় বরং পাবনাসহ সারাদেশ থেকে যুবলীগের দপ্তরে বেশ কিছু চিঠি আসছে এগুলো কি আপনারা অফিশিয়াল কোন আলোচনা করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের যুবলীগ প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি লেডার্শিপ পরিচালিত হয়। কেউ ইচ্ছা করলে বা চাইলে দলকে চালাতে পারে না। এটি যাদের লিডারশিপের পরিচালিত হয় তারাই মূলত এখানে প্রভাব খাটাই। যেটার প্রমাণ হলো এই যুবলীগের লিডারশিপের কর্মকাণ্ডে। যুবলীগের দু-একজন ছাড়া কেউ এমন অন্যায় কাজ কেউ প্রশ্রয় দেয় না। আজ যদি যুবলীগের চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে এমন  অভিযোগ না হয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ হতো তাহলে এটি গণমাধ্যমে বেশি আলোচিত হতো না। এ ঘটনায় দলের লিডারশিপ জড়িত থাকায় এমন চাপের মুখে পড়েছে হয়েছে দলটির। এজন্য আমি বলবো দায়িত্বহীন লিডারশিপ ও কর্মকাণ্ডের দায়ভার যুবলীগ নিতে পারে না। আমি গর্বের শহীদ বলতে পারি আওয়ামী যুবলীগ তার সঠিক পথে আছে এবং থাকবে, কিছু ব্যক্তি হয়তো কিছু অন্যায় করেছে তার দায় সংগঠনের নয়।

শহীদ সেরনিয়াবাত বলেন,  আমি যুবলীগের দায়িত্বশীল পথে রয়েছি এমন ঘটনাই হাজার লক্ষ পার্সেন্ট এর মধ্যে আমার চুল পরিমান এর সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে কেউ বলতে পারবে না। তাহলে আমি কেন এ বদনামের দায়ভার কাঁধে নিব। আবার মত লক্ষ লক্ষ যুবলীগের নেতাকর্মী আছে যারা এই অন্যায়-অপরাধ সমর্থন করে না। পাবনা থেকে গতকাল একটি অভিযোগ এসেছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটাতো সঠিক কথা। রানিং কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে, আবার নতুন কমিটি করা হয়েছে! এটা কেন বলতে পারেন? এর পিছনে তো কিছু একটা রয়েছে? তার জন্য এমন ভাবে তড়িঘড়ি করে কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাবনার একটি অভিযোগ দপ্তরে এসেছে। তিনি বলেন, তারপরও যুবলীগ একটি স্বনামধন্য সংগঠন আলোচনা সমালোচনা থাকবে এটা স্বাভাবিক।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ  সকল সংকট কাটিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সংগঠন আরো শক্তিশালী হবে। এবং দেশের উন্নয়নে কাজ করবে এমনটায় প্রত্যাশা করেন যুবলীগের এই নেতা।

 

জি/য়া/তদন্ত চিত্র


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।