ঢাকা: অঝোরে কাঁদলেন বহুল আলোচিত-সমালোচিত নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) হারু অর রশিদ। তাঁর দাবি, নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর জেলা পুলিশ লাইন্সে তার বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এসপি হারুন।
বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন ফারুককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করে আলোচনায় আসা এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গত রবিবার (৩ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। পুলিশ অধিদফতরের টিআর পদে সংযুক্তি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
৮ কোটি টাকা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় গত ১ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে স্ত্রী ফারহা রাসেল এবং পুত্র আহনাফ রাসেলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে এসপি হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন পারটেক্স গ্রুপের কর্ণধার আবুল হাসেমের ছেলে আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেল।
২০তম বিসিএসের এই ক্যাডার সবচেয়ে আলোচনায় আসেন ২০১১ সালে বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করে। ব্যাপক সমালোচনা হলেও এমপি পেটানো তৎকালীন এএসপি হারুনকে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
এরপরও আলোচনায় আসেন বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যাপারে কঠোর এই প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। ইসির নির্দেশনা উপেক্ষা করে পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে ২০১৬ সালে গাজীপুর সিটি নির্বাচনেও আলোচনায় আসেন। সেই সময় বিএনপি ও অন্যান্য দলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত