নিজস্ব প্রতিবেদক: দলীয় পদ পদবী ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন এক ছাত্রলীগ নেত্রী। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও করেছেন। তবুও তিনি ছাত্রলীগের ইডেন কলেজের নেত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একাধিক বিয়ে বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নাম তার সুস্মিতা বাড়ৈ। বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া। ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি ইডেন মহিলা কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
আর এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আর এ ঘটনায মূল অভিযুক্তের মধ্যে তার নাম রয়েছে। জানা গেছে, সাবিকুর নাহার তামান্না, নাজমা আক্তার এবং সুস্মিতা বাড়ৈ এর নেতৃত্বে এ সংঘর্ষ সংঘটিত হয়।
সুস্মিতা বাড়ৈ এর বিরুদ্ধে কলেজ ক্যান্টিনে খেয়ে টাকা না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত দুই বছরে তার কাছে প্রায় কয়েক হাজার টাকা বাকি রয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্যান্টিন সংশ্লিষ্টরা। অনেক শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তুলার অভিযোগ রয়েছে এই শিক্ষার্থীর।
ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি নানা ধরণের অপরাধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ একাধিক শিক্ষার্থীর। সুস্মিতা বাড়ৈ এর বিরুদ্ধে হল বানিজ্য করার অভিযোগও রয়েছে।
জানা গেছে ,সুস্মিতা বাড়ৈ ছাত্রলীগের কোনো ইউনিটের নেতা না হয়েও অবৈধ ভাবে হলে থাকছেন।
জানা যায়, ০১-০৭-১৮ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক চিরনজিৎ রায়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে , কোনো শিক্ষার্থী বিবাহ করলে হলের থাকার যোগ্যতা হারাবে ঐ শিক্ষার্থী। কিন্তু সুস্মিতা বাড়ৈ বিবাহ করলেও তিনি হলেই থাকছেন।
এ বিষয়ে সুস্মিতা বাড়ৈ এ ঘটনার বিষয়ে নিজে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।
বিবাহর বিষয়ে অস্বীকার করে সুস্মিতা বলেন, হিন্দু সম্রদায়ের বিবাহের কোনো ধরনের কাগজ থাকে না। ঢাকা কলেজের চিরনজিৎ রায়ের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন যদি নিউজ করা হয় তাহলে আমি মামলা করব। মারধরের বিষয়েও তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন আইনজীবি বলেন , কোনো ধরনের দালিলিক প্রমাণ ছাড়া বিবাহ সম্পন্ন হয় না। এবং সেটা যদি হয় তবে সেই দম্পতি কোন ধরনের সমস্যায় পড়লে রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাবে না। হিন্দু এবং মুসলিমদের বিবাহর এখন কোন পার্থক্য নেই। শুধু মুসলিমদের জন্য মুসলিম আইনজীবি এবং হিন্দুয়ের জন্য হিন্দু আইনজীবি।
হিন্দু বিবাহর দালিলিক প্রমান সুরক্ষার উদ্দ্যেশে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে জাতীয় সংসদ গেজেট প্রকাশ করে হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষের বিয়ের আইনী ভিত্তি দেয়ার মাধ্যমে বিশেষ করে হিন্দু নারীদের মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে বিবাহ আইনের খসড়া প্রস্তাবটি তৈরী করা হয়েছে।
এর আগে হিন্দু বিবাহ আইনটি ১৯৫৫ সালে ভারতীয় সংসদের আইন দ্বারা গঠিত হয়। এই সময় হিন্দু কোড বিলের অংশ হিসাবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজও করা হয়েছিল।
‘রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসায়ী”র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ব্যবসায়ীক ও যুবলীগ নেতা’
নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতে নির্দেশনা অমান্য করে জালিয়াতি মাধ্যমে জমি হাতিয়ে......বিস্তারিত