৫ বছরেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি সরাইল যুবলীগ!
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যুবলীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে সংগঠনটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় তিন বছর পর পর। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা যুবলীগ সম্মেলনের পাঁচ বছর পার করলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি মন্তু-শের আলম কমিটি।
গত ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টাউন হলে কেন্দ্রীয় যুবলীগ, জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের উপস্থিতিতে সরাইল যুবলীগ সম্মেলন করে আশরাফ উদ্দিন মন্তুকে সভাপতি ও শের আলম মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের সরাইল উপজেলা যুবলীগ এর কমিটি ঘোষণা করেন জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
যুবলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর শেষ করার পর, অতিরিক্ত দুই বছরসহ মোট পাঁচ বছর দায়িত্বে থাকার পরও মন্তু- শের আলম এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেননি। মজবুত করতে পারেননি দলের ভিত্তি। আদৌ সম্মেলন হবে কিনা তাও বলতে পারছেন না নতুন নেতৃত্বে আসতে চাওয়া দলের অনেক নেতা।
অভিযোগ উঠেছে, পূর্ণাঙ্গ কমিটি তো করছেই না, উল্টো পাঁচজনের কমিটির সিনিয়ির সহ-সভাপতি আল ইমরান, যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক জিয়াউল হক জজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সেলভীকেও মাইনাস করে রেখেছে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। অর্থাৎ মন্তু শের আলমের দুই সদস্যর কমিটিতেই সরাইল যুবলীগের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও, পার করেছে গত পাঁচ বছর।
দীর্ঘদিন সম্মেলন না করা ও গত পাঁচ বছরে উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দেওয়ার বিষয়টিকে মন্তু-শের আলমের কারসাজি বলছেন উপজেলা নেতারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরাইল উপজেলার সাবেক যুবলীগ নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, সরাইল আওয়ামী লীগের রাজনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে এই দু’জন। মন্তুর রাজনৈতিক জীবনের উত্তান হয়েছে ইকবাল আজাদ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে। একসময়ের সাধারণ কর্মী থেকে এখন রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন। নিজের অ্যাডভোকেট পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে, হামলা-মামলা, মিথ্যা গুজব অপপ্রচারের ভয় দেখিয়ে নিজের পক্ষে কাজ করান মন্তু। গত কয় বছরে বনে গেছেন সরাইলের স্বঘোষিত ডন। তা না হলে গত পাঁচ বছরে কি এমন আলাদিনের চেরাগ পেল মন্তু যে ত্রিশ লাখ টাকার গাড়ি, নিজের ও স্ত্রীর নামে ঢাকায় ফ্ল্যাট, বাড়ি আর নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হয়ে গেল।
তিনি আরও বলেন, মন্তুর পক্ষে কাজ না করায় মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেন কালিকচ্চ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুছা মৃধার ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল মৃধাকে। মন্তুর মাদক ব্যবসার ফোন রেকর্ড ফাঁস হলে সাক্ষ্য প্রমাণে কোর্ট থেকে মুক্তি পায় যুবলীগ নেতা রাসেল। তাদের সঙ্গে যারা কাজ করেনা তাদেরকে কৌশলে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন মন্তু-শের আলম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে কয়েক দফা তারিখ ঘোষণার পরও সম্মেলন করতে করতে দেননি উপজেলা যুবলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া উপজেলার আওতাধীন ৯টি ইউনিয়েনের কোনোটিতেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি তারা। উপরন্তু যেখানে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে তাদের মনপুত না হলে সেখানেই বিতর্কিত আরও একটি কমিটি ঘোষণা করে বিতর্কিত মন্তু-শের আলম সিন্ডিকেট। শাহজাদাপুর ইউনিয়ন ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নে যুবলীগের কমিটি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিনিমেয় বিএনপি ও জামায়ত ঘরানার লোকদের যুবলীগের শীর্ষ পদে বসিয়েছেন। নোয়াগাঁও ইউনিয়নরে যুবলীগে এক নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন, নোয়াগাঁও বিএনপির সাবেক ছাত্রদল নেতা আলী হায়দারকে যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক করার বিনিময়ে মন্তু তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন। এই কথার সত্য নিশ্চিত করেন হায়দারে ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
জেলা যুবলীগ ও শীর্ষ নেতারা ২০১৭ সালে শাহবাজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি করলে এই কমিটি মেনে নেয় উপজেলা নেতৃবৃন্দসহ সবাই। তবে ইউনিয়ন যুবলীগের দুই শীর্ষ নেতা তাদের কথায় উঠাবসা না করায় দুই বছর পর ভুইফোর অনলাইনে এই কমিটিকে অবৈধ ঘোষনা করে নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে মন্তু। শুধু তাই নয়। শাহবাজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির কাজী সালামের মুজিব কোর্ট পড়াকেও কটুক্তি করে মন্তু। নিউজ করে মন্তু।
এলাকায় খোজ নিয়ে জানা যায়, সালাম যুবক বয়স থেকেই মুজিব কোর্ট পড়েন। এই বিষয়ে সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সালাম বলেন, ভাই আমার বিষয়ে খোঁজ নেন, যদি কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আমাকে যুক্ত পান আপনি নিউজ করবেন আমার আপত্তি নাই। তবে আপনি সত্যটা লিখলে আমার দোষ থাকলে মাথা পেতে নেবো।” তবে উপজেলা যুবলীগকে নিজেদের অভিভাবক উল্লেখ করে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না বলে জানিয়েছেন সালাম।
যুবলীগের এই দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তৃণমূলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে বিতর্কীত করেছেন তারা। কমিটি দেওয়ার নাম করে টাকার লেনদেনের জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও তাদের উপর নাখোশ। সরাইলের পার্শ্ববর্তী প্রতিটি ইউনিয়নেই নিজেদের মনগড়া কমিটি দিয়েছেন। যেখানে জেলা থেকে কমিটি ঘোষণা হয়েছে সেই কমিটি ভেঙ্গ নতুন করে নিজেরাই আজ্ঞাবহদের দিয়ে কমিটি করেছেন উপজেলা যুবলীগের এই দুই শীর্ষ নেতা। বেশির ভাগ কমিটি হয়েছে টাকার লেনদেনে। উপজেলার বর্তমান যুবলীগের কমিটি মন্তু-শের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্যের আজ্ঞাবহ কমিটি বলে দাবি করেছেন মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী। তাই মাঠ পর্যায়ে কোনো নেতাকেই আর তোয়াক্কা করছেনা শের আলম-মন্তু।
অভিযোগ আছে, যুবলীগ সভাপতির পরিচয় নিয়েও। এ বিষয়ে মারুফ রুবেল নামের সরাইল যুবলীগের এক কর্মী নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, অবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ব্যাবহার করে বিভিন্ন কৌশলে শুরু করেছে ধান্ধাবাজি ও জালিয়াতি। সরাইলে বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে অবৈধ কলেজ ও শিক্ষা নিয়ে জালিয়াতি বাণিজ্য শুরু করেছে রাজাকার নাতি মন্তু। তিনি আরও লিখেন, মাদক সম্রাট মন্তু যে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী তার বিভিন্ন প্রমাণ থাকার পরও অদৃশ্য শক্তি ছায়া ও দলীয় পদের অবৈধ ব্যবহারের কারণে এখনও তার কিছু হয়নি। সরাইলে মাদক ছড়িয়ে দিয়ে আশরাফ উদ্দিন মন্তু আজ সরাইলে মাদক সম্রাট নামে খ্যাত।’ তারা সরাইল যুবলীগ থেকে মন্তু-শের আলমের স্থায়ী বহিষ্কার চান।
শুধু যুবলীগ নয়, মন্তু ও শের আলমকে সরাইল আওয়ামী লীগের বিষফোঁড়া বলছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। জেলা ও কেন্দ্রের সঙ্গে লিয়াজু ও কায়দা করে এই দুজন সরাইলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে বলেও জানান তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, ‘হঠাৎ করে মন্তু ও শের আলমের এতো পয়সা কোথা থেকে এলো দুদক খোঁজ করলেই পাবে।’ তবে এরা দুজন থানা ও স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদার বলে উল্লেখ করেন এই প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা।
তবে এই মুহূর্তে মন্তু স্থানীয় নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে মাইনাস ফর্মূলায় বিশ্বাসী বলেও জানান সরাইল তৃণমূল যুবলীগ। ইকবাল আজাদের হত্যার পর সাধারণ কর্মী থেকে সাংসদ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন রাজাকারের উত্তরসূরী মন্তু। আর নিজের সহচর হিসেবে বেছে নিয়েছেন একাধিকবার নারী কেলেঙ্কারি, মাদক মামলার আসামী হওয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শের আলম মিয়াকে।
সরাইলের সাবেক ও বর্তমান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতাকর্মীরা জাতির পিতার আদর্শের আওয়ামী লীগের কোনো যুদ্ধাপরাধী ও মাদক ব্যবসায়ীকে দেখতে চান না। সরাইল আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ তৃণমূলকর্মীদের একটাই দাবি “মাদক সম্রাট অনুপ্রবেশকারী মন্তু হটাও, সরাইল বাঁচাও।” তারা চান প্রধানমন্ত্রী যে শুদ্ধি অভিযান পরিচলান করছে, এই অভিযান যেন সরাইলেও অব্যাহত থাকে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সরাইল যুবলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, সম্মেলনের পরপরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সভাপতি কাছে জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অনুমোদন হয়নি।’ বিষয়ের সত্যতা যাচাই করতে সরাই উপজেলার একাধিক যুবলীককর্মী তার কথার কোনো সত্যতা নেই বলে নিশ্চত করেন। বরং জেলা যুবলীগের কমিটির বয়স ১৮ বছর হয়েছে বলে উল্টো ফোড়ন কাটেন মন্তু। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন কমিটি না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত চলমান কমিটি দায়িত্ব পালন করে। ”
কমিটি কেন হয়নি জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে বিষয়টি জানতে বলেন।
পাঁচজনের কমিটির সিনিয়ির সহ-সভাপতি আল ইমরান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সেলভীকেও মাইনাস করে রেখেছেন, এ বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ কাউকে মাইনাস করতে পারে না, কেউ কাউকে এগিয়েও দিতে পারে না। যার যার কর্মদক্ষতা দিয়ে রাজনীতিতে এগিয়ে যেতে হয়।
রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ হয়, কিন্তু এসব অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। আর মাদক দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানির বিষয়টিও অস্বীকার করেন মন্তু।
রাসেল মৃধাকে মাদক দিয়ে অভিযোগ দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাসেলের বিরুদ্ধে ৮ থেকে ১০টি মাদকের মামলা আছে। সে মাদকের মামলায় গ্রেফতার হবার পরে জেলা যুবলীগের নির্দেশে আমরা তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছি এবং পরবর্তীতে কমিটি ভেঙে দিয়েছি।
তিনি বলেন, রাসেল এখনো মাদক মামলায় জেলে আছে। এখন আমি যদি রাসেলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেই, আর রাসেল যদি বলে যুবলীগের সভাপতি আমাকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। এটা দুঃখজনক।” কিন্তি রাসেলকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন এমন একটি ফোনালাপ ভাইরাল হয়েছে এমন প্রশ্নে নিশ্চুপ থাকেন মন্তু।
তিনি বলেন, আরো দু একজন যুবলীগের নেতাকর্মী আছে যারা মাদকের মামলায় মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি।
অভিযোগ রয়েছে, সরাইলে মাদক ছড়িয়ে দিয়ে মন্তু এখন মাদক ব্যবসার গডফাদার। মন্তু নিজেই নিয়ন্ত্রণ করেন উপজেলার মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট। যার ইতিমধ্যে অনলাইনে অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আশরাফ উদ্দিন মন্তু সরাইলের জনপ্রিয় নেতা একে এম ইকবাল আজাদকে হত্যা করিয়ে বনে গেছেন সরাইলের রাজনীতির শীর্ষ নেতা। মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে এমন কোনো দুই নাম্বারি আকাম-কুকাম করে নাই যার দায় মন্তু-শের আলম এড়াতে পারবে না বলে অভিযোগ করেন জেলা আওয়ামীলীগের এক প্রবীণ নেতা।
এদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই গুজব অপপ্রচার নয়তো মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেয় রাজাকারের নাতি মন্তু। ইকবাল আজাদ হত্যাকাণ্ডের মাষ্টার প্লানার খুনি যে মন্তু, এটা সরাইলের এখন ওপেন সিক্রেট। এই কর্মকাণ্ডের জন্য মন্তু ব্যাপকভাবে সমালোচিত। ইকবাল আজাদ হত্যার দায় এড়াতে মন্তু উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগের নেতাদের কৌশলে মামলায় ফাঁসিয়ে সরাইলের মাটিকে নিজের রাজনীতির জন্য প্রস্তুত করছেন এমন অভিযোগও করেছে অনেক নেতাকর্মী এমন প্রশ্নে মন্তু বলেন, এর কোনো সত্যতা নেই, কেউ প্রমাণও করতে পারবে না বিষয়গুলো।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত