তদন্ত চিত্র ডেস্কঃ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হওয়ায় পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে মারা গেছেন আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক।
পরিবারের অভিযোগ, আলমগীরকে ১৬ ডিসেম্বর রাতে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ আটকের পর অকথ্য নির্যাতন করেছে। এই নির্যাতনের কারণেই কারাগারে নেওয়ার পর সে মারা গেছে।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম বলেন, ‘তাকে ৮০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছিল। এই অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আমরা রিমান্ড আবেদন না করায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।’ তিনি বলেন, থানা হেফাজতে আলমগীরকে কোনও ধরনের নির্যাতন করা হয়নি।’ তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ঢামেকের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। আগামীকাল শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) তার ময়নাতদন্ত হবে বলে জানান ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
নিহতের ভাই আব্দুর রাজ্জাক জানান, আলমগীর পেশায় একজন প্রাইভেটকারচালক ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদরের কালিবাড়ি এলাকায়। ঢাকায় তিনি উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ফুলবাড়িয়াতে থাকতেন। স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে আলমগীরের। থানায় ধরে এনে নির্যাতনের কারণে আলমগীরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। পর দিন সকালে আমরা সংবাদ পাই। তার স্ত্রী আলো বেগম থানায় যায়।’
আলো বেগমের বরাদ দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘আলমগীরকে থানায় বেধড়ক নির্যাতন করেছে। তাকে যখন পুলিশ আদালতে নিয়ে যাওয়ার গাড়িতে তোলে, সে তখন খুবই অসুস্থ ছিল। কয়েকজন মিলে তাকে টেনে নিয়ে গাড়িতে তোলে। পরে আদালত থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল (বুধবার) আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে আজ কারাগারে আলমগীরের সঙ্গে দেখা করতে যাই। সেখানে যাওয়ার পর কারাগার থেকে জানানো হয়, আলমগীর অসুস্থ। তাকে মেডিক্যাল নেওয়া হয়েছে। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে শুনি, আমার ভাই মারা গেছে। আমার ভাই মরে নাই, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত