নিজস্ব প্রতিবেদক : কোন সংবাদকর্মী নয় তবুও তিনি বিভিন্ন স্থানে পরিচয় দেন একজন সংবাদকর্মী হিসেবে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মাসিক মাসোয়ারা নিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তথাকথিত এই সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে। তার এলাকার লোকজন তাকে “শেল্টার জুয়েল” হিসেবেই চিনেন। তার পুরো নাম খলিলুর রহমান জুয়েল। তিনি এটিএন বাংলার ক্যামেরাপার্সন। তার অপকর্মের কারণে ইতিপূর্বে দেশটিভি থেকে ছাটাই করে দেশটিভি কর্তৃপক্ষ। দেশটিভি সূত্রে জানা গেছে, নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে রাজধানীর পাড়া মহল্লার চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মাসিক মাসোয়ারা আনতেন এমন তথ্য দেশটিভির কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে তাকে চাকরিচ্যূত করে। এরপর অনেক চেষ্টা করে এটিএন বাংলায় চাকরি নেন। চাকরি নিয়ে-ই শুরু করেন তার সাবেক অপকর্ম। অভিযোগ রয়েছে, তথাকথিত সাংবাদিক নামধারী খলিলুর রহমান জুয়েল ঢাকা সিটি নির্বাচনে বিতর্কিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেনের ভাড়াটে মাস্তান। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন অসংখ্য অপরাধের অভিযোগ মাথায় নিয়ে আবারও নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
হোসেনের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের অনুসন্ধান করতে সম্প্রতি দুজন সংবাদ কর্মী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোহাম্মদ হোসেনকে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই জুয়েল নামে এক ব্যক্তি নিজেকে এটিএন বাংলার চীফ রিপোর্টার ও একইসাথে মোহাম্মদ হোসেনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ০১৭১১৭০৮৬৭০ নম্বর থেকে ফোন দেন। একইসঙ্গে হোসেনের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে বলপ্রয়োগের চেষ্টা করেন। সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মী জুয়েলকে তার ফোন দেয়া ইখতিয়ার বহির্ভূত বললে জুয়েল রেগে গিয়ে বলেন, এসব পত্রিকায় নিউজ করলে(…..) হবে (প্রকাশ অযোগ্য ভাষা)। নিজেকে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট টেলিভিশনের চীফ রিপোর্টার পরিচয় দেয়া জুয়েল আরও বলেন, নিউজ করেন দেখতেছি বলেও শাসিয়ে কথা বলেন।
পরে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, খলিলুর রহমান জুয়েল এটিএন বাংলায় ক্যামেরাম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন। দীর্ঘদিন ধরেই সাবেক কাউন্সিলর ও আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোহাম্মদ হোসেনের সকল অপকর্মের সাথে এই জুয়েল জড়িত রয়েছে। কামরাঙ্গীচরের বাসিন্দা জুয়েল বার্তা বিভাগে ক্যামেরাম্যান হিসেবে কাজ করলেও বাইরে নিজেকে চীফ রিপোর্টার পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়ান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে এটিএন বাংলার এক সংবাদকর্মী জানান, জুয়েল মূলত একজন তারকা সাংবাদিকের দালাল হিসেবে কাজ করেন। টকশোতে অখ্যাত গেস্ট নির্বাচনের মাধ্যমে পার্সেন্টিজ পেয়ে থাকেন জুয়েল। তাই কারওয়ানবাজারে তাকে গণমাধ্যম কর্মীরা চেনেন পার্সেন্টিজ জুয়েল্লা নামে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন বলেন,মিডিয়া দেখার দায়িত্ব জুয়েলের। সে যেভাবে ভাল মনে করবে সেভাবেই ডিল করবে। দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান একজন কাউন্সিলরের ভাড়াটে মাস্তান তথা দালাল হিসেবে কাজ করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত