ঢাকা: একদিন বাদেই ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট উৎসব। তার আগেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি দুই শিবিরে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ‘বহিরাগত সন্ত্রাসী’। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যও বলছে, ভোটকে প্রভাবিত করতে সন্ত্রাসীদের জড়ো করার চেষ্টা করছে কোনো কোনো গোষ্ঠী। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চালানো হচ্ছে অভিযান।
গোপীবাগ সংঘর্ষের পর থেকেই ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে আওয়ামী লীগ শিবিরে। দলটি বলছে, সারা দেশ থেকে বহিরাগতদের ঢাকায় এনে জড়ো করছে বিএনপি। এরমধ্যে রয়েছে অস্ত্রধারী গুণ্ডাও। এই পরিস্থিতিতে ভোটের পরিবেশে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে বিএনপি সারা দেশ থেকে বহিরাগতদের ঢাকায় এনে জড়ো করছে। এদের মধ্যে চিহ্নিত ও দাগী সন্ত্রাসীরাও রয়েছে।’
তবে, আওয়ামী লীগের অভিযোগকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়ে বিএনপি বলছে, বাইরে থেকে কর্মী এনে ঢাকাকে সয়লাব করে ফেলেছে ক্ষমতাসীনরা। ভোটে প্রভাব খাটাতে এনেছে অস্ত্র।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল বুধবার পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রায় ৩০ লক্ষ নেতাকর্মী ঢাকা শহরে জড়ো করেছে। এমনকি অস্ত্রও এনেছে তারা।’ এসব অস্ত্রধারী নেতাকর্মীদের শহরে ঢুকতে পুলিশ তাদের সহযোগীতা করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
সন্ত্রাসীদের জড়ো করা নিয়ে প্রধান দুই শিবিরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে পুলিশ বলছে, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ঢাকায় এনে ভোটের দিন পরিবেশ নষ্টের পাঁয়তারা করছে কোনো কোনো গোষ্ঠী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ‘কোনো কোনো গোষ্ঠী বহিরাগতদের ঢাকায় নিয়ে এসে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। কারা কারা এমন চেষ্টা করছেন বা করছেন না সেসব তথ্যে সংগ্রহে গোয়েন্দারা কাজ করছেন। সে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই আমাদের অভিযানও চলমান রয়েছে।’ তবে, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলেও জানান কৃষ্ণ পদ রায়।
পহেলা ফেব্রুয়ারি ভোট উৎসবে অশুভ শক্তির থাবা ঠেকাতে রাজধানীজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত