ঢাকা : চীনে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আগেই সতর্ক করে দেওয়া সেই চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল উহানে মারা যান তিনি।
এর আগে, গত ১২ জানুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে করোনা ভাইরাসের বিষয়টি ধরা পড়ে ১ ফেব্রুয়ারি। রোগীর দেহ থেকে লির শরীরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
লি ওয়েনলিয়াং সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, সার্সের মতো মহামারি আকার ধারণ করতে পারে এই নতুন ভাইরাস। তবে তখন তার সে কথায় পাত্তা দেয়নি দেশটির কর্তৃপক্ষ। পাল্টা তাকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে হুমকি দেওয়া হয়।
লি একজন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ। কর্মরত ছিলেন উহান সেন্ট্রাল হাসপাতালে। ডিসেম্বরে সাত ব্যক্তির শরীরে তিনি নতুন এই ভাইরাসটি শনাক্ত করেন এবং ভেবেছিলেন এটা সার্সের মতো মহামারি আকার ধারণ করতে পারে, যেটা ২০০৩ সালে দেখা গিয়েছিল।
তখন ধারণা করা হয়েছিল, এ ভাইরাসটির উৎপত্তি উহানের হুনান শহরের একটি সামুদ্রিক বাজার থেকে এবং এই ভাইরাসে আক্রান্ত ওই সাত রোগীকে তার হাসপাতালের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।
বিষয়টি জানতে পেরে ৩০ ডিসেম্বর একটি চ্যাট গ্রুপে সহকর্মীদের এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন লি এবং বলেন, এ রোগ সার্সের মতো মহামারি আকার ধারণ করতে পারে। এ রোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তাদের নিরাপত্তামূলক পোশাক পরিধান করার পরামর্শ দেন তিনি।
তবে ডাক্তার লি যে ভাইরাস আবিষ্কার করেছিলেন, তখন তিনি জানতেন না যে এই নতুন ভাইরাসটির নাম নভেল করোনা ভাইরাস।
এর আগে ১০ দিনের নিরবচ্ছিন্ন লড়াইয়ের পর হঠাৎ হৃদযন্ত্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান সং ইংজি (২৭) নামে এক চিকিৎসক। তীব্র শীতের মধ্যে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে একটানা কাজ করার পর সোমবার তিনি মারা যান।
সং ইংজি চীনের হুনান শহরের গাড়িচালকদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। মহামারি আকারে দেখা দেওয়া বিরল রোগ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজের জীবন উৎসর্গের জন্য বীর হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় চীনে আরও ৭০ জন মারা গেছেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৫ জনে।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত