স্পোর্টস ডেস্ক: সন্তানের কাছে বাবা-মা হয় পরম আশ্রয়স্থল। আর সন্তান বড় হলে সে হয় বাবা-মায়ের শক্তি। সেই সন্তান যখন বিশ্বজয় করে ফিরে তখন বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল হয়, গর্বে ভরে যায় বুক, চোখে চলে আসে খুশির অশ্রুবিন্দু।
বাংলাদেশকে প্রথমবার অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানো ক্যাপ্টেন আকবর আলীর বাবা-মা ছেলের এমন সাফল্যে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না। ছেলের এমন দিগ্বিজয়ে কাঁদলের আকবরের বাবা-মা।
‘মায়ের ছেলে জয় নিয়ে দেশে ফিরবে- এ পণ করেই খেলতে গিয়েছিল। সন্তান আমার অদম্য। তার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। সঙ্গে আমরা একটা বিশ্বকাপ জিতলাম।’ ছেলের বীরোচিত জয়ের পর এভাবেই গর্বভরা কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন আকবর আলীর মা সাহিদা আক্তার। কথাগুলো বলতে বলতে তার চোখের পাতা ভিজে উঠছিল।
গতকাল রবিবার পচেফস্ট্রুমে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতে বাংলাদেশ। সেই জয়ে অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন আকবর আলী। রাতে যখন খেলা শেষ হয় যখন বিশ্বকাপটা লাল-সবুজের যুবাদের হাতে শোভা পাচ্ছিল ততক্ষণে এলাকার লোকজন ও সাংবাদিকরা আকবরের বাড়িতে এসে ভিড় করে তার বাবা-মাকে অভিনন্দনে সিক্ত করছিলেন।
এই রত্নগর্ভা বলেন, ‘আমার ছেলে আমার দোয়া নিয়ে খেলতে গিয়েছিল। আল্লাহর রহমতে দেশের মুখ বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে সে। তার এ জয় পুরো দেশবাসীর।’
টেলিভিশনের পর্দায় ছেলের খেলা দেখেছিলেন আকবরের বাবা মোস্তফা। সন্তানের এমন কৃতিত্বে তার চোখের কোণায়ও দুফোটা অশ্রুর রেখা গড়িয়ে পড়ে। হাউমাউ করে কেদে উঠেন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে মোস্তফা বলেন, ‘আমি কান্না থামাতে পারছি না। এ কান্না খুশির। আল্লাহ আমার ছেলের ওপর রহমত বর্ষন করেছেন। তাই সে পুরো দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পেরেছে।’ এসময় ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া চান তিনি।
সন্তানের সাফল্যে বাবা-মায়ের চোখে যখন আনন্দের অশ্রুপাত ততক্ষলে এলাকার লোকজন পুরো গ্রামে বিজয় মিছিল শুরু করে দিয়েছিল। জয়ধ্বনি উঠছিল গ্রামের কৃতি সন্তান আকবরের নামে। মধ্যরাতে ‘সাবাশ বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হচ্ছিল পুরো গ্রাম।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত