নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শিক্ষা শান্তি প্রগতি ছাত্রলীগের মূলনীতি। এই মূলনীতিকে সামনে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিট। দেশে যখন সর্ব বৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিয়ে একের পর এক বিতর্ক তৈরি হচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তেই বিতর্কিতদের ঝেরে ফেলে ক্লিন ইমেজের নতুন নেতৃত আসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগ সূত্রাপুর থানা কমিটি দিতে খুজছেন নতুন নেতৃত্ব ও ক্লিন ইমেজের ছাত্রলীগ কর্মী।
এদিকে সুত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বেশ কিছু বিতর্কিত ছাত্রনেতা। যাদের নামে ও বেনামে রয়েছে বহু অভিযোগ। এদের মধ্যে অনেকেই নানাবিধ অপকর্মের কারনে এলাকায় পরেছেন নানা সমালোচনায়।
জানা যায়, সুত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের আগামী নেতৃত্বে আলোচিত ও সমালোচিতদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে তৌসিক বিন কামালের (সাবেক সভাপতি ৪৩ নং ওয়ার্ড) নাম। তৌসিক বিন কামাল সংগঠক হিসেবে একজন পরিশ্রমী ছাত্রনেতা তবে তার ওয়ার্ডে নানা বিতর্কে জড়িয়ে আছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক, চাঁদাবাজি সহ নানান অভিযোগ।
সম্প্রতি সদরঘাট লঞ্চ-টার্মিনালে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে তৌসিক বিন কামাল। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারনে ২০১৭ সালের ২৫ মার্চ ৪৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছিল, যা আর কখনো পুনর্বহাল করা হয়নি। ইতি মধ্যেই তার মাদক সেবনের একটি ছবি ব্যাপক আলোচনায় এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এছাড়াও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রচারনায় বিরোধিতা করেন তৌসিক। ৪৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি সজল কুন্ডের বিরুদ্ধেও অভিযোগের মাত্রা কম নয়। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে চাঁদাবাজি ও ইভটিজিংসহ নানা অভিযোগ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সজল কুন্ড তার সহযোগীদের নিয়ে ৪৪ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারনা চালিয়েছেন বলেও জানা যায়।
তবে বিতর্কিতদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে রয়েছেন সুত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে মাদক, ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। গত বছর ২১সে আগস্ট এক ব্যাক্তিকে প্রাণ নাশের উদ্দেশে হামলা চালায়। এ বিষয়ে সুত্রাপুর থানায় রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে ঐ মামলায় তাকে জেল হাজতেও যেতে হয়। এদিকে মামলার আসামী থাকা সত্ত্বেও রেজাউল করিম ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ লাভ করায় ক্ষুব্দ প্রতিকৃয়া ব্যাক্ত করেছে অনেক ছাত্রনেতা। এছাড়াও সজল কুন্ড ও রেজাউল করিমের প্রতিটি অপকর্মের সঙ্গী সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব মাতব্বর।
লক্ষ্মীবাজার এলাকার ফুটপাত দখল ও চাঁদাবাজির আতঙ্কের আরেক নাম রাজিব মাতব্বর বলে জানা যায়। স্থানীয় অনেকেই জানান, এদের মধ্যে কেউ যদি সুত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসে তাহলে এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা বাড়বে আর তাতে সাধারণ জনগণ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা হারাবে।
‘কুষ্টিয়ায় চায়ের দোকানে দুজনকে গুলি, আওয়ামী লীগ নেতাসহ আটক ২’
কুষ্টিয়ার মিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতার গুলিতে দুজন আহত হয়েছে বলে......বিস্তারিত