ঢাকা: নাজমুল হোসেন শান্ত’র প্রথম তিন টেস্টে গ্যাপ বেশ বড় বড়। ক্রাইস্টচার্চে টেস্ট অভিষেকে ১৮ এবং ১২ ! এই অপরাধে ২২ মাস টেস্ট দলের বাইরে ! সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ও ১৩’র পর টেস্টে ফিরতে ১৫ মাসের প্রতীক্ষা !
পছন্দের পজিশন ৩ নম্বরে ফিরে এসে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ৪৪ এবং ৩৩ ! এখানেই পূর্নজন্ম হয়েছে শান্ত’র। ৪র্থ টেস্টে এসে দেখলেন প্রথম হাফ সেঞ্চুরির (৭১) মুখ।
ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষিত নাজমুল হোসেন শান্ত’র বদলে যাওয়াটা শুরু বঙ্গবন্ধু বিপিএল দিয়ে। খুলনা টাইগার্সের হয়ে সেঞ্চুরি করে আলোচনায় এসেছেন শান্ত।বিসিএলে সেন্ট্রাল জোনের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরিতে ঢাকা টেস্টের ব্যাটিং প্র্যাকটিসটা করেছেন। তার সুফলই পেয়েছেন শান্ত।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য মানসিকতায় এনেছেন পরিবর্তন। কোচিং স্টাফের পক্ষ থেকে পেয়েছেন সাপোর্ট। ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে এমনটাই জানিয়েছেন শান্ত-‘সত্যি কথা বলতে কি, এর আগে যখন খেলেছি তখন একটা ভয় কাজ করতো। মনে হতো যে খারাপ খেললে বাদ পড়তে পারি বা এমন কিছু একটা ছিল। মানে আগে যখন ২০১৭ সালে অভিষেক হয়েছে তখন ছিল, তবে এখন আমি মানসিকভাবে তেমন কিছু চিন্তা করছি না। ভালো খেলি কিংবা খারাপ খেলি সেটা আসলে আমার পার্ট। দলে থাকবো কি থাকবো না সেটা নিয়ে ভাবছি না। তবে চেষ্টা করছি নিয়মিত ভালো খেলার। আর একটা ইতিবাচক দিক হলো আমাদের কোচিং স্টাফ যারা আছেন তারা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে এবং এগুলো নিয়ে চিন্তা করতে বারণ করছে। তারা বার বার বলছে তুমি অনেক সুযোগ পাবে, এখন শুধু খেলায় ফোকাস করো।’
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দল, হাই পারফরমেন্স স্কোয়াডে খেলার সুযোগ দিয়ে একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে পেরেছেন। এটাকেও বড় করে দেখছেন শান্ত-‘লম্বা সময় ধরে আমি পরিকল্পনায় আছি, এটা একটা ইতিবাচক দিক। যখন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লাম এরপরও আমি হাই পারফরম্যান্স, ‘এ’ দলে ছিলাম। এটা আমার জন্য একটা ইতিবাচক দিক যে নির্বাচকেরা আমাকে ঐ জায়গাতে সুযোগ দিয়েছে। আমি এখন ফিল করছি যে মাঠে যখন নামি তখন আগের চেয়ে বেশি রিল্যাক্স থাকি। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।’
বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন সোহেল ইসলাম। তার একটা উপদেশেই বদলে গেছেন শান্ত-গত দুই তিন মাস ধরে আমাদের সোহেল স্যার যিনি আছেন ওনার সঙ্গে বেশি কথা হচ্ছে। উনি একটা কথাই বলেছেন যে খুব বেশি চিন্তা করিস না এসব নিয়ে। শুধু খেলায় ফোকাস কর। আর বিশ্বাস করতে শেখ যে এখানে তুই রান করতে পারবি বা এখানেও রান করবি যেটা তুই ঘরোয়া ক্রিকেটে করিস। তাই আমি খুব বেশি খেলা নিয়ে চিন্তিত নই। নিজের যে স্কিল আছে সেটার উপরে বিশ্বাস রাখছি এবং এই কারণে আমার কাছে মনে হয় যে আস্তে আস্তে বড় রান করা শুরু হয়েছে।’
‘কুষ্টিয়ায় চায়ের দোকানে দুজনকে গুলি, আওয়ামী লীগ নেতাসহ আটক ২’
কুষ্টিয়ার মিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতার গুলিতে দুজন আহত হয়েছে বলে......বিস্তারিত