অনলাইন ডেস্কঃ ঘটকালি ব্যবসার আড়ালে রাজধানীজুড়ে চলছে জমজমাট প্রতারণা বাণিজ্য ও দেহ ব্যবসা। এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে গড়ে উঠেছে হিসেব ছাড়া ম্যারেজ মিডিয়া প্রতিষ্ঠান। বেকার সমস্যা এবং দারিদ্র্যকে পুঁজি করে এসব প্রতিষ্ঠান বিয়ের মতো সামাজিক ও পবিত্র একটি বিষয়কে নিয়ে প্রতারণা বাণিজ্যে মেতে উঠেছে।
রাজধানীর অলিতে-গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা অনেক ম্যারেজ মিডিয়াই বর্তমানে এমন প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছে। আর তাতে প্রতারিত হচ্ছেন বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী খুঁজতে আসা ক্লায়েন্টরা। কেউ বুঝতে পেরে প্রথম ধাক্কাতেই ফিরে যাচ্ছেন। আবার কেউ না বুঝে ফাঁদে পড়ে সারাজীবন পস্তাচ্ছেন। অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠান মোটামুটি বিশ্বাসযোগ্য তাদের রেটও আবার চড়া। বিয়ে হোক বা না হোক প্রাথমিক নিবন্ধনেই তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। এরপর বিয়ের দিকে গড়ালে তো কথাই নেই! পদে পদে, ধাপে ধাপে টাকা গুনতে হয় পাত্র-পাত্রীর পরিবারকে। ম্যারেজ মিডিয়াগুলো ঘুরে জানা গেছে, নিবন্ধনের জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লায়েন্টদের আর্থিক অবস্থা বুঝে ২ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নেয়। এরপর বিয়ে দিতে পারলে আরও টাকা-পয়সা দাবি করে।
রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় রয়েছে কান্তা ম্যারেজ মিডিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জাবিন সুলতানা কান্তা। তার বিরুদ্ধে এই ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন মেয়ে দিয়ে দেহ ব্যবসার অভিযোগও রয়েছে। এই এলাকায় তাকে অনেকেই চিনেন সম্প্রতি গ্রেফতার নারী ব্যবসায়ী পাপিয়া হিসেবে। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে নারী সাপ্লাই দেন জাবিন সুলতানা কান্তা। ক্ষমতাসীন অনেক নেতা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যর সাথে ছবি তুলে তা ফেসবুকে ঢালাও প্রচার করেন এ নারী। তিনি নিজেকে মানবতার সেবকও দাবী করেন। যেখানেই যান তিনি এক নয় একাধিক নারী থাকে তার বহরে। নিয়োগ দিয়েছেন পিএস। নাম তার অলিউর রহমান। বিচক্ষণ এই পিএস সুযোগ বুঝে নিজেকে একাধিক পরিচয় দেন। কখনো হন পুলিশের লোক আবার কখনো তিনি আইনজীবি। আবার কখনো নিজেকে পরিচয় দেন সাংবাদিক, আবার কখনো রাজনীতিবিদ।
অভিযোগ রয়েছে, এর আগে তিনি ভূয়া ডিবি পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগেও গ্রেফতার হয়েছেন। গ্রেফতার হওয়ার পরই তিনি লেবাস পরিবর্তন করে ভূয়া ম্যারেজ মিডিয়ার আড়ালে বিভিন্ন মেয়ে দিয়ে রাজধানীতে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বিভিন্ন নামিদামী এলাকা থেকে শুরু করে নিন্মবিত্ত এলাকায় রয়েছে তার এই সিন্ডিকেটের নারী সদস্যরা। রামপুরা, বনশ্রী থেকে শুরু করে গুলশান, বারিধারা, উত্তরা, মহাখালী, শ্যামলী এলাকাসহ বেশ কিছু নারী সদস্যকে দিয়ে তিনি এ ব্যবসা করাচ্ছেন। উচ্চবিত্ত থেকে নিন্মবিত্ত মানুষের কাছে নারী পাঠিয়ে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করেন। তার বেশিরভাগ টার্গেট শিল্পপতি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ধর্নাট্য ব্যক্তিবর্গ।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিকেও মেয়ে সাপ্লাই দিয়ে থাকেন জাবিন সুলতানা কান্তা। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন তিনি সেই সরকারের লোকজনের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে সেলফি বা ছবি তুলে সাধারন মানুষের মাঝে প্রচার করে নিজেকে রাজনৈতিক অঙ্গনের নেত্রী পরিচয় দিয়ে মেয়ে সাপ্লাই দেন। কোন দলের রাজনীতির সাথে জড়িত তা তিনি নিজেও জানেন না। তবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তিনি বিএনপির নেত্রী শ্যামা ওবায়েদ ও তার মায়ের কাছে যাতায়েত রয়েছে। এ নারী এর আগে বিএনপি জামায়েত সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরো নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ। এ ব্যবসা করেই তিনি আজ কোটিপতি। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রামপুরাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে তার ব্যবহৃদ মোবাইল ফোনে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায় নি। পরের পর্বে আসছে তিনি কি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য পদ লাভ করেন তার বিস্তারিত।
‘বাগেটহাট চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের নতুন কমিটি ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা ঝড়!’
স্টাফ রিপোর্টারঃ আওয়ামী লীগ আমলে কয়েকটি মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া......বিস্তারিত