TadantaChitra.Com | logo

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাট শিল্প মরে যায়নি, বরং জেগে উঠেছে : পাটমন্ত্রী

প্রকাশিত : মার্চ ০৬, ২০২০, ১৬:২৮

পাট শিল্প মরে যায়নি, বরং জেগে উঠেছে : পাটমন্ত্রী

ঢাকা: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে সারা বিশ্বে পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য বর্জন শুরু হয়ে গেছে। পাট ও পাটজাত পণ্যের দিকে মানুষ ঝুঁকে পড়ছে। এর মধ্যে দিয়ে পাটের জাগরণ শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (০৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে পাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পাট পণ্যের বিস্তার ঘটেছে। আগে অনেকে বলতো পাট শিল্প মরে গেছ। কিন্তু না, বরং পাট শিল্প আবার জেগে উঠেছে। যার বড় প্রমাণ বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে পাটখাতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ পাট ও পাটজাত পণ্যে ৬১৬ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রফতানি আয় করেছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি।

বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদন প্রসঙ্গে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, পরিবেশ রক্ষায় পাটের তৈরি বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করছে বাংলাদেশ। আমরা ইতোমধ্যে ২৮২ টি বহুমুখী পণ্য উৎপাদন করছি। যা অনেকেই জানেন না। তাদের কাছে অনুরোধ আপনারা পাট মেলায় যাবেন এবং পাট সম্পর্কে জানবেন। সেখানে গেলে কোনো না কোনো পণ্য আপনাদের পছন্দ হবেই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, অনেকের ধারণা ছিল পাট দিয়ে বস্তা-ছালা এসব হয়। কিন্তু এখন ধারণা পাল্টেছে। এখন পাট দিয়ে বিভিন্ন রকমের গিফট আইটেম তৈরি হয়। চা’য়ের মতো পাট পাতার পানীয় হয়, যা খুবই স্বাস্থ্যকর। পাটের জুতা, ব্যাগ, সুতা, কাপড়, শাড়ি থেকে শুরু করে বহু পাটজাত পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় পলিথিনের বিকল্প ‘সোনালি ব্যাগ’ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বেশিদিন নেই যেখানে বিশ্ববাজারে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, বিশ্ব ফুটবলার রোনালদোর পায়ের সু বাংলাদেশের পাট দিয়ে তৈরি হয়। যেটি আর কোথাও বিক্রি হয় না, উৎপাদনের পর সরাসরি তাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তাই সবার কাছে অনুরোধ আমরা যখন প্রিয়জনকে উপহার দিই এবং বিদেশিদের গিফট আইটেম পাঠাই তখন যেন পাটের পণ্য দেওয়া হয়। এতে পাটের বিস্তার ঘটবে।

অন্যান্যের মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) সওদাগর মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট খাতে বিশেষ অবদানের জন্য ১১টি ক্যাটাগরিতে ১১ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হয়।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।