TadantaChitra.Com | logo

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রতারক চক্রটি এজেন্টদের কমিশন দিয়ে হাতিয়ে নিতো গ্রাহকদের টাকা

প্রকাশিত : মার্চ ১৩, ২০২০, ০৮:০৪

প্রতারক চক্রটি এজেন্টদের কমিশন দিয়ে হাতিয়ে নিতো গ্রাহকদের টাকা

ঢাকা: মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্টদের নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দিয়ে গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতো প্রতারক চক্রটি। তারপর মোবাইল ব্যাংকিং অফিসের নম্বর ক্লোন করে গ্রাহককে ফোন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো।

চক্রটি গ্রাহকদের বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলতো অথবা তারা মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন লিংক পাঠাতো। গ্রাহকরা সেই কোড বা লিংকে ক্লিক করলেই প্রতারক চক্র গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা নিয়ে নিতো।

শুক্রবার দুপুরে র‍্যাব-৩ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রকিবুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মিরপুর-১ এর ১৯ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মো. সোহেল আহম্মেদকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড ও মাল্টি সিম গেটওয়ে ডিভাইসসহ মোবাইল জব্দ করা হয়।’

গ্রেপ্তারকৃতর কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি মাল্টিসিম গেটওয়ে, একটি সিগন্যাল বুস্টার, তিনটি মডেম, বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে তিনি এ প্রতারণার কাজে জড়িত। প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এখন পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

কী পরিমাণ টাকা তিনি আয় করেছেন, তা জানাতে পারেননি র‍্যাবের এ কর্মকর্তা। আসামি সোহেল মাদকাসক্ত। সে যা আয় করেছে তা মাদকের পেছনেই ব্যায় করে ফেলেছে বলে আমরা ধারনা করছি।

তিনি আরও বলেন, ‘সোহেল তার চক্রের আরো ৪/৫ জনের নাম আমাদেরকে বলেছে। তাদের নাম তদন্তের স্বার্থে এখন বলা যাবে না। আমরা অতি শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবো।’

কিভাবে তারা প্রতারণা করতো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো গ্রাহক যদি মোটা অংকের টাকা লেনদেন করতো, তাহলে সেই নম্বর ও তথ্য এজেন্টরা চক্রটিকে জানিয়ে দিতো। তখন তারা মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির নম্বর ক্লোন করে সেন্ডার বা রিসিভার করে কল দিয়ে বলতো- আমি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অফিস থেকে বলছি, আপনি যেই টাকা পাঠিয়েছেন বা এসেছে, সেই টাকা ভুল নাম্বারে চলে গিয়েছে। এমন সব ভুয়া কৌশল অবলম্বন করে গ্রাহকদের বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলতেন অথবা তারা মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন লিংক পাঠাতো। গ্রাহকরা সেই কোড বা লিংকে ক্লিক করলেই প্রতারক চক্র টাকা নিয়ে নিতো।

গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।