চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যখাতের প্রতি আমাদের সম্মান এবং বিশেষ মনযোগ দিতে হবে

“রেজাউল করিম চৌধুরী”

চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যখাতের প্রতিটি সদস্যরা এই মুহূর্তে আমাদের অন্যতম সুরক্ষাসেবাদানকারী। করোনা সংকটের এই সময় আমাদের কী করা উচিত। করোনার ফলে পরিবর্তিত বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থার উপর একটি রাজনৈতিক রচনা পড়ছিলাম। একটি সমীক্ষা বলছে, জাতীয়তাবাদী চিন্তাভাবনা থেকে উদ্দীপ্ত হয়ে মানুষ সাধারণত প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রসহ একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী কামনা করে। এখন উন্নত এবং স্বল্পোন্নত উভয় ধরণের দেশেই জাতীয়বাদী সেই চেতনায় পরিবর্তন এসেছে। এখন বরং জাতীয়তাবাদের উত্তমরূপটিও চায় চিকিৎসক, নার্স ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জামসহ একটি শক্তিশালী চিকিৎসা ব্যবস্থা। কারণ এটি একটি শক্তিশালী ও সুস্বাস্থ্যসম্পন্ন জাতি গঠন করবে, যারা কভিড-১৯ জনিত মহামারির মতো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবে। সীমান্ত রক্ষার চেয়েও এটি এখন জরুরি বেশি।

কভিড-১৯ সংকটকালে চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে একটি বিলবোর্ডে প্রদর্শিত তাঁর একটি মন্তব্য আমার হৃদয়ে দারুণভাবে দাগ কেটে যায়। তিনি বলেছেন, আমি অসুস্থ হলে আমাকে বিদেশে নিবেন না, আমার নিজের দেশেই আমি চিকিৎসা নিতে চাই। বাংলাদেশের একটি নিজস্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এই ধরনের চেতনা প্রশংসনীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিও প্রতিটি চিকিৎসকের জন্য প্রায় ৫০ লাখ রুপির বীমা ঘোষণা করেছেন।

কভিড-১৯ মোকাবেলায় আমরা আরও বিশেষ কিছু উদ্যোগের কথা ভাবতে পারি, যেমন- (১) চীনের মতো আমরাও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, সুরক্ষা উপকরণ এবং বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়োগ দিতে পারি। (২) বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, যাদের বীমা এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা অপ্রতুল, তাদেরকেও বীমা ও সুযোগ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা যায়। এটি করতে হবে ব্যক্তিখাতের লোকজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে।
(প্রথম অংশ-০১)