“মো. তাইমুন ইসলাম রায়হান”
কিছুদিন আগেও এই দুনিয়ার আধুনিকতার ছোয়ায় যেন মৃত্যুর কথা ভুলেই গিয়েছিলো অনেকে। দুনিয়াবিহী সকল কাজকর্মের মাঝে সৃষ্টিকর্তা নামক ১জনের কথাটা মুছে গিয়েছিল মনথেকে। এখন অনেকেই তা উপলব্দি করতে পারছেন। বুঝতে পারছেন সৃষ্টিকর্তা চাইলে কিনা করতে পারে। যেই মানুষগুলো সর্বদা দুনিয়ার ভাবনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো তারাই এখন বলছে ধর্মের কথা। প্রতিনিয়ত করছে মৃত্যুর ভয়। পালন করছে যে যার ধর্ম। মনে হচ্ছে মৃত্যু যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে সকলকে।
বর্তমানে গোটা পৃথিবী ব্যস্ত হয়ে পরছে অদৃশ্য এক ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায় খুজঁতে। যেভাবে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা, বাচাঁর মনোবল হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রথম যখন শুনলাম চীনে এক ভয়ংকর ভাইরাস হানা দিয়েছে তখনই ঘা শিউরিয়ে উঠলো। চীনের খবর পরলে তখন কেনই যেনো মনে হতো এটা সৃষ্টিকর্তার গজব, কেননা এখনো পৃথিবীর যতো সস্তা ও দুই নম্বারি জিনিস চীনেই বেশি তৈরি হয়। তবে সময়ের সাথে সাথে কেটে গেলো সব ভুল ধারণা। একে একে প্রায় সকল দেশে হানা দিলো করোনা। ধ্বংষের মুখে পৃথিবীর অর্থনীতি। এ থেকে রেহাই পেলামনা আমরাও।
ভাবতে অভাগ লাগে এই যখন দেশের পরিস্তিতি তখনও কেন সচেতনতার অভাব মানুষের মাঝে। শহর থেকে গ্রাম প্রতিটি যায়গায় সচেতনা মূলক প্রচার করা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে খাদ্র সহায়তা, তবুও কেন এই অবস্থ? সরকারের এত কার্যক্রম কোন রকম পাত্তা দিচ্ছেনা মানুষ। চলাফেরা করছে যে যার মতো। এখনো দেশের বিভন্ন হাটবাজারে দেখা যায় মানুষের উপচেপড়া ভিড়। তাছাড়া একজন মানুষ থেকে আর একজন মানুষের তিন ফিট দুরে থাকতে বলা হলেও থাকছেনা তিন ইঞ্চিও। গ্রামের চায়ের দোকানের আড্ডাও যেন কমতি নেই। আবার কেউ কেউ ছুটছে ত্রাণের পিছু। সবার কাছে দুনিয়াটা যেন একটা রঙ্গমঞ্চ। পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই এখনও সময় আছে সচেতন হোন ঘরে থাকুন। নিজে বাচুন অন্যকে বাচতে সাহায্য করুণ।
লেখকঃ সাংবাদিক
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত