মোঃ দীন ইসলামঃ করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চলমান সাধারণ ছুটিতে কর্মহীন হয়ে পড়া ১০ হাজার পরিবারের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সহমর্মিতা ফাউন্ডেশন’। সংগঠনটির হটলাইনে খাবারের জন্য কল আসলেই স্বেচ্ছাসেবকরা ছুটি যাচ্ছেন খাদ্যসামগ্রী নিয়ে। এরইমধ্যে আট শতাধিক খেটে খাওয়া মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের একটি বড় অংশ মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত। যারা ঘরে খাবার না থাকলেও চক্ষুলজ্জার ভয়ে অন্যের কাছে হাত পাততে পারে না। এমন পরিবারগুলোকে বিশ্ব মহামারীর দুর্দিনে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করতে সংগঠনটি একটি হেল্পলাইন চালু করেছে। সেখানে ফোন করে সমস্যার কথা জানালে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা খাবার নিয়ে পৌঁছে যাবে পরিস্থিতির শিকার মানুষগুলোর বাড়িতে। এক্ষেত্রে খাদ্যসামগ্রী গ্রহীতার পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। তোলা হচ্ছে না কোনো ছবি।
সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর সহ বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে সহমর্মিতা ফাউন্ডেশন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক পারভেজ হাসান ঢাকা টাইমসকে জানান, সংঠনের দুই হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক বিভিন্ন পরিমানে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। যাদের অর্থ দিয়ে খাদ্যসামগ্রী কেনা হচ্ছে আর তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে করোনা সংকটে পরিস্থিতি শিকার হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের ঘরে ঘরে।
পারভেজ বলেন, ‘আমরা যাদেরকে খাবার দিচ্ছি তারা কেউ অসহায় না। পরিস্থিতির শিকার। এমন এখন পর্যন্ত আটশোর বেশি পরিবারের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। এরমধ্যে সাভারে চারশোর বেশি পরিবার, আর ঢাকা সিটিও এরইমধ্যে একই পরিমাণ পরিবারকে দেয়া হয়েছে। হটলাইনে কল আসলে আমরা সেখানে যাচ্ছি। সমস্যা নিশ্চিত হয়ে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছি। আমরা একটা লক্ষ্য নির্ধারন করেছি, আমরা অন্তত দশ হাজার পরিবারের ক্ষুধা মেটাতে চাচ্ছি। সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।‘
আর্থিক সহযোগিতার প্রশ্নে পারভেজ বলেন, ‘অর্থিক বিষয়টি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের সংগঠনের যারা সদস্য আছেন, তারাই মূলত আর্থিক সহযোগিতাটা করছে। এদের মধ্যে কেউ দেশে, কেউ প্রবাসে আছে। সবাইক কিছু কিছু করে দিচ্ছে, তা দিয়ে আমাদের এই কার্যক্রম চলছে। বাইরে থেকে যদি কেউ সহযোগিতা করতে চায়, আমরা তাদেরকে ওয়েলকাম জানাবো। কিন্তু আমরা কারো কাছে যাচ্ছি না।‘
সংগঠনের হটলাইন নম্বরটি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মধ্যবিত্ত মানুষগুলোর ক্ষুধার কষ্টের থেকে চক্ষুলজ্জার ভয় বেশি থাকে। তাই আমরা সহমর্মিতা ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে একটা হেল্পলাইন রেখেছি। ০১৬২৮০১৬৩৮৫ এই নাম্বারে কল দিলে তার পরিচয় গোপন করে খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিচ্ছি।‘
সহযোগিতা করতে গিয়েও সংগঠনটি কাউকে লজ্জায় ফেলছে না বলেও জানান এই সমাজকর্মী। বলেন, আমরা কারো ছবি তুলছি না। কারণ এই ছবি তোলার জন্য মানুষগুলো লজ্জায় পড়ে যায়। আমাদেরকে যারা হটলাইনে ফোন করছেন, আমরা তাদের দরজার সামনে খাবার রেখে দরজা নক করে চলে আসছি।‘
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত