ঢাকা: প্রাইভেট মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে হাফেজ আলেম পরিবারে সহায়তা প্রদানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এমনটায় জানিয়েছেন প্রাইভেট মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এর চেয়ারম্যান জনাব শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী।
তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যেন কোন আলেম পরিবার দুঃখে কষ্টে না থাকে, এই করোনা দূর্যোগে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি গুলো বন্ধ আছে। বন্ধ আছে বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সেই দিকে বিবেচনা করে আমরা প্রথমে উদ্যোগ নিয়েছি দেশের প্রতিটি প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাড়ি ভাড়া মওকুফ ও শিক্ষকদের বেতন ভাতা সরকার যেন বাজেট করে। এই উদ্যোগ চলমান রয়েছে।
ইতিমধ্যেই আমরা আরেকটি উদ্যোগ হাতে নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি, তা হলো দেশের হাফেজ আলেম পরিবারের মাঝে সামান্য হাদিয়া পৌছে দেয়া। কারন দেশের সকল মাদরাসা বন্ধ থাকায় সাবাবিক ভাবেই প্রায় শিক্ষকদের চলা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।
নেছার আহমাদ আন নাছিরী আরোও বলেন, আগামিকাল বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এ কার্যক্রম চলবে, আমি আমার নিজ উদ্যোগে এ আয়েজন শুরু করেছি। পরবর্তিতে যদি সরকার কর্তৃক কোন সহায়তা আসে তাহলে তা আরো ব্যাপক আকারে আমরা কার্যক্রম চালাবো ইনশা’আল্লাহ।
প্রসঙ্গত:করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ থাকা দেশের হাজারো প্রাইভেট মাদ্রাসাসমূহের বাড়ি ভাড়া মওকুফে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন প্রাইভেট মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
আজ প্রাইভেট মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেছার আহমাদ আন নাছিরী গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের প্রাইভেট হেফজ মাদ্রাসাগুলো ছাত্রদের বেতনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বর্তমান সময়ে মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারণে অর্থ আয়ের পথ বন্ধ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি আরো বলেন, তাই আপনি বাড়ির মালিকদেরকে ভাড়া মওকুফের জন্য নির্দেশ দিন। এবং বাড়ির মালিকদের যাবতীয় বিল মওকুফ করুন।
তিনি আরো বলেন,আমরা জানি আপনার একটি ঘোষণাই পারে ভাড়ায় চালিত দেশের হাজারো ছোট ছোট হাফিজি মাদ্রাসা গুলো সুন্দর ভাবে টিকে থাকতে।দীর্ঘদিন মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারণে অধিকাংশ মাদ্রাসার প্রধানগণ ভাড়া দিতে অক্ষম।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ স্টাফ এবং শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। শিক্ষকদের বেতন না দিলে তারাও চলতে পারবে না।তাই ভাড়া মওকুফ হলে শিক্ষকদের দাবি পূরণ হয় সাথে সাথে মাদ্রাসার সমস্যা ও সমাধান হয়।
তিনি আরো বলেন,এ মহাদুর্যোগের মুহূর্তে কওমি, হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং নগদ অর্থ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এ সমস্ত হাফিজি মাদ্রাসা গুলো সরকারের সহযোগিতা বা সাধারণ মানুষের দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।
বাড়ির মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের এই ভয়াবহতায় বাড়ির মালিকগণ সহায়তার হাত প্রসারিত করবেন। এই দুর্যোগ মুহূর্তে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো ছাড়া এই দুর্যোগ থেকে উত্তরণ কঠিন। আল্লাহ তাআলা যেন আপনাদেরকে এই দুর্যোগে হাফেজ যে কোরআন দের পাশে থাকার তাওফীক দান করেন এবং বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে করোনা ভাইরাসের এই মহামারী থেকে হেফাজত করেন।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত