আহসান হাবীবঃ আজ অদৃশ্য এক মারনাশ্র থেকে রক্ষা পাবার জন্য সাড়া বিশ্ব তাদের সর্বোচচ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, খুঁজে বেড়াচ্ছে এই ভাইরাস দমনের জন্য একটা উপায়। মিলছে না কোন সমাধান। বিশ্বের শক্তিধর দেশ গূলো তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে স্বার্থের লোভে সেনাসৈন, মরনাশ্র দিয়ে হাজার হাজার মাইল দূরে এসেও অন্য একটা দেশ কে ধবংশ করে দিয়ে নিজ দখলে নিয়ে নিতে পারে।
আজ সেই সকল দেশে বিনা অপরাধে হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। প্রথম কিংবা ২য় বিশ্ব যুদ্ধের হতাহতের চাইতে এই অদৃশ্য মরনাশ্র অনেক বেশি জীবন কেড়ে নিবে বলে সকলের ধারনা। অথচ শক্তিশালী দেশ গূলো সেই মহামারী নিয়ে কখনো তাদের চেলেনস ছুরে দিতে বার্থ।সেখানে বাংলাদেশের কি ক্ষমতা আছে এই করোনা ভাইরাস ঠেকাবার? অথচ আমরা বড় বড় কথা বলতে কোন দিধা করি না। আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, স্পেন সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মানুষ যেখানে আজ দিশেহারা,সেখানে বাংলাদেশের মানুষ নাকি নিরাপদে।
আমাদের বাংলাদেশের মানুষ এখনও জানে না করোনাভাইরাস কি? যদি কোথাও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায় ,দল বেঁধে ছুটে যায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর কাছে, এক নজর দেখার জন্য ।এমনি এক অসচেতন দেশের মানুষ আমরা।
আজ বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো মৃত্যুর মিছিল যেখানে থামাতে ব্যর্থ, সেখানে বাংলাদেশের মতো দেশে শুনতে পাই,আমরা করোনার চাইতে ও শক্তিশালী।আমরা নাকি করোনা ভাইরাস রোধে যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।যে দেশে নাই সাধারন রোগীর ভর্তির যথেষ্ট হাসপাতাল, নাই কোন উন্নত মানের যন্ত্রপাতি, নাই কোন ডাক্তারের সৎ আচরণ, যে দেশে রযেছে ঔষধে ভেজাল, যে দেশে ডাক্তার গন হাসপাতালের ডিউটি ফাঁকি দিয়ে ক্লিনিকে টাকা রোজগারের বাস্তু, যে দেশে হাসপাতালের ঔষধ বাহিরে বিক্রি করে নিজের পকেট ভারী করে, যে দশে পিয়ন, নার্স ওয়ার্ড বয় রোগীর অপারেশন করে থাকে, যে দেশে ফেলে দেয়া অনটাইম ইনজেকশন এর সিরিন্স আবার ব্যবহার হয়, যে দেশের হাসপাতালে নাই পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন বেবস্থা, যে দেশে নেই বিনামূল্যে চিকিত্সা আর ঔষধের বেবস্থা, অপ্রতুলতা রয়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রে।যে দেশে নেই পর্যাপ্ত মাক্স, নেই পিপিই, নেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, যে দেশ নিজের দেশের চাহিদা পূরনে অক্ষম,অথচ মালদ্বীপ, ভারত সহ অন্যান্যদেশে সুনাম অর্জনের লক্ষে চাল ডাল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সহ চিকিত্সা সরঞ্জাম পাঠিয়ে দেয়, সেই দেশ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কতটা সক্ষম হবে তা সময় বলে দেবে।
উন্নত দেশগুলোতে মানুষের জীবন রক্ষা করতে সব রকম বেবসহা করে যেখানে ঠেকাতে পারছে না মৃত্যুর মিছিল,সেখানে বাংলাদেশের অবস্থা কতটা ভয়ানক হবে তা বলারঅপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যে খাদ্যের অভাবে মানুষ আত্মহত্যা করতে শুরু করেছে।সেই দেশে চাল চুরি,আল তেল চুরি বিশ্ব বিবেক কে নাড়া দেয়। সুতরাং বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা কতটা ভয়ানক হবে তা ভাবতেই শিউরে উঠি।একমাত্র আললাহ ছাড়া আমদের বাঁচাবার কেউ নেই।
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত