আসাদুজ্জামান রিপন (যশোর): যশোর জেলার শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন পুটখালী’র চেয়ারম্যান-মাষ্টার হাদীউজ্জামান এর উপর ফক্কা নাসিরের সন্ত্রাসী হামলার প্রকৃত ঘটনা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা,অনলাইন এবং ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এবং প্রচারিত হয়। একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব হচ্ছে সত্য উদঘাটন ও সত্যের বিকাশ ঘটানো,আত্মসচেতনতার মাধ্যমে পেশার দায়িত্ব ও নির্দেশনা মেনে চলতে হয়। তবেই দেশ ও দেশের মানুষের সেবা নিশ্চিত হয়।
গত ১৩ এপ্রিল সোমবার পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যান- মাষ্টার হাদীউজ্জামানের উপর হামলার প্রকৃত ঘটনা গনমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিকরা তুলে ধরেছেন। যেখানে চেয়ারম্যান এবং গ্রামবাসীর স্বাক্ষ্য প্রমান রয়েছে। কাউকে হেয় করার লক্ষ্যে সংবাদকর্মীরা পক্ষ-বিপক্ষের ক্ষেত্র তৈরী করার কোন পরিকল্পনা করেনি। অথচ, ফক্কা নাসির সত্য ঘটনা আড়াল করতে একটি অনলাইন পত্রিকায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন, যা সংবাদকর্মীদের জন্য মানহানিকর।
ঐ পত্রিকার বক্তব্যে ফক্কা নাসির সাংবাদিকদের ঢালাওভাবে অসাধু বানিয়েছেন, তার নাম বিকৃত করে প্রচারিত করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ফক্কা নাসিরের নামের বিকৃত শব্দটি পুটখালী গ্রামবাসীই দিয়েছেন কোন সাংবাদিক দেন নাই, যা সংবাদকর্মীদের নিকট আবদ্ধ রয়েছে।
চেয়ারম্যান হাদীউজ্জামান নিজে বেনাপোল পোর্ট থানায় গিয়ে ফক্কা নাসিরের হামলার অভিযোগ এনেছেন, এখানে গরুর কোন খাটাল হস্তান্তরের জন্য যাননি। অথচ ঐ পত্রিকায় বার বার খাটাল হস্তান্তরের বিষয়টি টেনে এনে মূল ঘটনাকে আড়াল করতে চেয়েছেন। তাহলে খাটাল দখল নিয়েই গত ১৩ই এপ্রিল ফক্কা নাসির পরিকল্পনা অনুযায়ী চেয়ারম্যানকে মারার পরিকল্পনা করেন বলে ধরে নেওয়া যায়? পত্রিকাটিতে বলা হচ্ছে তাদের টেন্ডার অনুযায়ী গত ২৬শে মার্চ পুটখালী খাটাল দখলের একটি পরিকল্পনা করে কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে পুটখালী ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়।
তবে কি ধরে নেওয়া যায় ফক্কা নাসির প্রথম পরিকল্পনায় ব্যর্থ হয়ে গত ১৩এপ্রিল খাটাল দখলের দ্বিতীয় পরিকল্পনা করে? পত্রিকাটি আরও বলছে,পুটখালী গরুর খাটাল পরিচালনার দায়িত্ব নাকি ফক্কা নাসির পেয়েছেন? তাহলে সরকারি অর্ডার পত্র কেন প্রকাশ করছেন না,আবার যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর খাটাল পরিচালনার জন্য ফক্কা নাসিরকে দায়িত্ব দিল,কেন তাদের স্মরনাপন্ন হচ্ছেন না। এসবের কোন প্রশ্নের জবাব পেতে আমরা উদগ্রীব নই। গত ১৩এপ্রিল প্রকাশিত সংবাদে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান এবং ফক্কা নাসিরের মধ্যকার গোলযোগের কথা উত্থাপন করা হয়েছে, যেখানে চেয়ারম্যান এবং গ্রামবাসী জবানবন্দি দিয়েছেন। ঐ জবান বন্দিতে মৃত বুদো মাষ্টারের ছেলে নাসির উদ্দিন জড়িত নয় বলে তারা বলেছেন।
তাহলে কেন অহেতুক ফক্কা নাসির সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চড়াও হয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন। পুটখালীর ঘটনাটির সত্যতা তুলে ধরে যে সকল সাংবাদিকবৃন্দ সংবাদটি প্রচার এবং প্রকাশ করেছেন তা কিন্তু কোন অসাধু পন্থায় করেনি,অহেতুক এমন মিথ্যা অপবাদের জন্য ফক্কা নাসিরের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত