TadantaChitra.Com | logo

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাংবাদিকদের দরকার অার্থিক সহযোগীতা; পরে টিসিবি পণ্য

প্রকাশিত : এপ্রিল ২১, ২০২০, ১৩:২৩

সাংবাদিকদের দরকার অার্থিক সহযোগীতা; পরে টিসিবি পণ্য

জাফরুল আলমঃ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রূপ নিয়েছে ভয়ঙ্কর মহামারিতে। একের পর এক গ্রাস করছে দেশ থেকে অঞ্চল। এর ছোবলে বাংলাদেশও অাক্রান্ত। প্রতিদিনই বাড়ছে অাক্রান্ত অার মৃতের সংখ্যা। কোভিড-১৯ আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন ঢাকা জেলায়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ৪৩৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে দেশে সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ হাজার ৩৮২ জনে এবং ৯ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের। সরকার দুর্যোগকালীন এ অবস্থায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু সাংবাদিকদের পাশে কে দাঁড়াবে! বরং অার্থিক সুবিধার বদৌলতে ভাগ্যে জুটছে টিসিবি’র পণ্য।

এরই মধ্যে সাংবাদিক নেতারা তথ্যমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে সাংবাদিকদের সমস্যার বিষয়টা অবহিত করেছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে অাশার বাণীও শুনেছেন। তবে প্রথমেই ভাগ্যে জুটেছে টিসিবি পণ্য। এতে ফেসবুকে অনেক সংবাদকর্মী নারাজ হয়ে মনঃক্ষোভ হয়েছেন। কয়েকজন সাংবাদিক নেতাও অার্থিক সহযোগীতার বিষয়ে জোর দিয়েছেন।

অন্যদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে প্রণোদনাসহ বিভিন্ন খাতে সুযোগ সুবিধা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সাথে জীবনবাজি রেখে যারা সংবাদ সংগ্রহ করছেন। অাবার অনেকেই এই মুহূর্তে অার্থিক কষ্টে ভুগছেন।মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের বিষয়ে এখনো কোন পদক্ষেপ নেননি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ থাকবে, অাপনি এই মহামারিতে সাংবাদিকদের জন্য অার্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করুন। অামরা নানা সমস্যায় জর্জরিত। অাপনি নিজ দায়িত্বে সমাধান করুন। বাংলাদেশে একমাত্র পেশা রয়েছে। যেখানে চাকরির নিশ্চয়তা নেই। সেটা হচ্ছে সাংবাদিকতা। এ পেশার মানুষই সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত। নামেমাত্র কয়েকটা মিডিয়ায় ওয়েজবোর্ড; কিছুটা নিয়মিত, অনিয়মিত এবং বাকিদের বেতন দিতেই মালিকের গড়িমসি!

যাই হোক, “নতুন অাশার অালো বেঁধেছি মনে; বাকিটা না হয় আসিবে স্বপনে” এখন অার স্বপনে নয়, বাস্তবেই দেখতে চাই। সেই আশায়ই আমরা বুকবেঁধে আছি। প্রথম অাশার বাণীতে আজ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের জন্য টিসিবি পণ্যের ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু এই টিসিবি’র পণ্য তো যে কোন নাগরিকই ক্রয় করতে পারেন। যা বাজার মূল্যের চেয়ে কিছু কম মূল্যে। টিসিবি কর্তৃক বিক্রিত পণ্যের সাথে বাজারমূল্য পণ্যের কতোটুকু পার্থক্য; সেটা কমবেশি আমরা অবগত। অার যতোটুকুই পার্থক্য রয়েছে এর মধ্যে লকডাউন অবস্থায় যানবাহন একেবারেই সীমিত। তাই বেশি ভাড়া বা পায়ে হেঁটে প্রেসক্লাবে এসে পণ্য ক্রয়ে কতোটুকু সুবিধা পাবেন সাংবাদিকরা! যাদের বাসাবাড়ি অাশেপাশে তাদের পক্ষেই এটা সম্ভব হবে।

তাই এ মুহূর্তে ন্যায্যমূল্যে পণ্যের চেয়ে সাংবাদিকদের অার্থিক সহযোগীতা বেশি জরুরি। পকেটে টাকা না থাকলে পণ্য কিনবেই বা কিভাবে! তাই আগে পকেটে টাকার দরকার। তারপরে ন্যায্যমূল্যে পণ্য। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ যারা আছেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে। আপনারা সাংবাদিকদের জন্য আর্থিক সহযোগীতার বিষয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ করুন। মহামারির এ অবস্থায় সাংবাদিকদের আর্থিক সহযোগীতা নিশ্চিত করুন। তারপরেই ন্যায্যমূল্যে টিসিবি’র পণ্য।

লেখকঃ সাংবাদিক


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।