নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বৈশ্বিক মহামারি এক করোনা ভাইরাসে আজ পুরো বিশ্ববাসী স্তব্ধ। যে দেশেই হানা দিয়েছে এই মহামারি ভাইরাস সেই দেশের অর্থনীতি করে দিয়েছেন পঙ্গু। সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার মান একবারে তলানিতে। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। রাস্তায় বের হলেই প্রতিদিন খাদ্যসংকটে হাজারো মানুষের আজাহারী শুনতে হয়। ত্রাণের অপেক্ষায় রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় নিন্মবিত্ত অনেক মানুষকে। রাজধানীর এ চিত্র প্রতিদিনের।
এদিকে অনেকেই নিজেদের অর্থ দিয়ে এই সাধারণ মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। ঠিক এমন মহামারি ভাইরাসের সময় থেমে নেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আলহাজ্জ্ব কামরুল হাসান রিপন। তিনি প্রতিদিন অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে নিজেকে রেখেছেন নিয়জিত। নিজের সামর্থ ও দলীয়ভাবে যখন যাকে পারেন তাকেই সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। রমজান উপলক্ষ্যে প্রতিদিনই চেষ্টা করে যাচ্ছেন রাজধানীতে পথচারীদের ইফতার সরবরাহ করতে। অব্যাহত রয়েছে তার এই আয়োজন। পথচারীরা তার হাতে ইফতার পেয়ে মহান আল্লাহ’র দরবারের শুকুরিয়াও জ্ঞাপন করেন।
যদিও অল্প কয়েকদিন হয়েছে তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এ সময় বেশি কিছু না পেলেও দলীয় লোকজনের মন জয় করতে সঙ্গম হয়েছেন এ ছাত্রনেতা। ছাত্র রাজনীতি থেকেই তিনি মানুষের কথাই ভাবেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই শেখ হাসিনার অর্পিত দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন কামরুল হাসান রিপন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশ মোতাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণকে ইতোমধ্যেই নতুন করে ঢেলে সাজানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
সাবেক এক ছাত্র নেতা বলেন, রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামের লড়াকু সৈনিক কামরুল হাসান রিপন আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর কাছে একটি জনপ্রিয় নাম। সবার কাছে জনপ্রিয়তার জন্য সে ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে বার বার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে।
জবি সূত্র জানায়, ১/১১ সময় যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে আদালতে নেয়া হয়, তখন সর্বপ্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে কামরুল হাসান রিপনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী বাঁধা দিলেও তা উপেক্ষা করে মিছিল চালিয়ে যান রিপনসহ নেতাকর্মীরা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। ওইদিনে পাঁচটি মামলা করা হয় এবং একটি মামলার প্রধান আসামী করা হয় কামরুল হাসান রিপনকে। অনেক নির্যাতন সহ্য করেও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত পিছপা হয়নি রিপন। এদিকে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় তার নামে ১৫টি মামলা হয় এবং তিনবার কারাবরণ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক জানান, সংগঠনে রিপনের ব্যাপক সুনাম রয়েছে। কারণ, তিনি কর্মীবান্ধব নেতা। দিনরাত পরিশ্রম করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তার অবদান রয়েছে। ক্যাসিনোসহ অন্যায়, অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন না তিনি। ছাত্রজীবনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবির বিরোধী আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা রাখেন তিনি। রিপনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা শিবির বিরোধী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে। নেতাকর্মীদের আশা, রিপন ইতিবাচক ভাবধারার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে আরো এগিয়ে যাবেন।
রিপন ২০০৬ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে নির্বাচন করে ৮০০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন। পরে সিনিয়র সহ-সভাপতি করা হয় (২০০৬-২০১১)। ২০০৩-২০১০ মেয়াদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এর আগে (১৯৯৮-২০০২) জবির প্রচার সম্পাদক এবং হিসাববিজ্ঞান বিভাগ জবি ছাত্রলীগের আহবায়কের (১৯৯৫-১৯৯৮) দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া দনিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ( ১৯৯৪-১৯৯৫) ছিলেন। এদিকে ২০১৯ সালে জবি এলামনাইয়ের সভাপতির দায়িত্ব নেন তিনি।
‘ভোলায় অস্ত্রসহ ৩ দস্যু আটক, ২ অপহৃত উদ্ধার’
ভোলায় জলদস্যুতার অভিযোগে ৩ দস্যুকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।......বিস্তারিত