স্টাফ রিপোর্টারঃ সৃষ্টি জগতের শুরু থেকে চাহিদা নেই এমন মানুষ খুব কমই আছে কিন্তু কিছু মানুষের স্বপ্ন থাকে রাতারাতি ধনী হওয়ার। কমবেশি সবাই জানে সৎ ভাবে রাতারাতি ধনী হওয়াই দায়। আর অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে রাতারাতি ধনী হওয়া খুব সহজ। ধনী হতে পারলেও এ আয়ের অর্থ বেশির ভাগ সময় থাকে অনিশ্চয়তা আর শঙ্কার মধ্যে। খুব কম লোকই আছেন যারা হঠাৎ সংক্ষিপ্ত পথের আয় নিজের পকেটে পুরতে পারেন। রাতারাতিই চলে যান কোটিপতি বনে। আর তাদের ভিতরে অল্পসংখ্যক মানুষ সেগুলো ধরে রাখতে সক্ষম হন। এমন একজন লোক নিয়েই আজকের আলোচনা।
ছিলেন একজন সাধারণ সিএনজি চালক তবে থানার কর্তাদের টাকা দিয়েই এখন রেন্টেকার আর খামারেরের ব্যবসা করেই চলে চোখের আড়ালে তার সাধারণ জীবন। প্রকৃতির ওপর নির্ভর তার অনেকটা এমন ভাবও থাকে অনেকসময়। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস প্রকৃতির দয়ায় কোনো বছর ভালো ব্যবসা তো পরের বছর হয়তো বিপাকে পড়া। পরিকল্পিত ব্যবসা হয়তো সবাইকে বিপাকে ফেলতে পারে না। আর্থিক দৈন্যতা কাটিয়ে করে তোলে স্বাবলম্বী। তবে পুরো ব্যাপারটিই ঘটে দিনের পর দিন। সিএনজি চালিয়ে রাতারাতি ধনী হয়ে যাওয়ার কোনো উপায় এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি।
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার ছোট নয়োগাঁও গ্রামে জাকিরের লোক দেখানো রেন্টেকার ও খামারের ব্যবসা, কথিত আছে থানার কর্মকর্তা ও কিছু নেতাদের মদদেই চলছে তার মাদক ও চাঁদাবাজির অবৈধ ব্যবসা, গত ২৩ই এপ্রিল ২০২০ইং ভোর ৩টায় মেঘনা থানার মানিকারচর বাজারে RAB-4 এর এক গোপন অভিযানে বিশাল মাদকের এক চালান আটকের খবর।অবশ্য মাদক ভর্তি পিকাব ভ্যান ও এর সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট কাউকে স্থানীয় পুলিশ এখনো সনাক্ত করতে পারেনি বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে জানায়।
গোপন সূত্রে জানাযায়, ঐ বিপুলসংখ্যক মাদকের সাথে স্থানীয় রেন্টেকার ব্যবসায়ী জাকির জড়িত এবং সে ঐ রাতে ২০ (বিশ) লক্ষ টাকার বিনিময়ে মাদকের চালানটিকে মুক্ত করে এবং সম্পূর্ণ বিষয়টাকে ধামাচাপা দিতে আপাতত সক্ষম হয়। ঠিক তখনই কাজ করতে শুরু করলো একদল অনুসন্ধানি টিম, খোঁজ নিতে থাকে কে সেই জাকির ?
এখন পর্যন্ত তথ্য মতে জানাযায়, কিছুদিন আগেও সে ঢাকার মানিকনগরে একজন সাধারণ সিএনজি ড্রাইভার ছিলো ( সম্ভবত মাদকের হাতেখড়ি সেখান থেকেই), আজকে সে তার গ্রামের বাড়ি মেঘনা উপজেলার নয়োগাঁও গ্রামেই শুধু নয় পুরো মেঘনাতেই পরিচিত একজন বড় মাপের ডোনার।
মেঘনা উপজেলাতে অনুষ্ঠিত বেশিরভাগ বড় প্রোগ্রামগুলোতেই থাকে তার সৌজন্য। শুধু তাই নয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও তার বড় শুভাকাঙ্ক্ষী, রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার কথা আমরা অনেকেই শুনেছি কিন্তু রাতারাতি পুরো কলার বাগিচা বানানোর গল্প এখানেই দেখা যায়, ইতিমধ্যেই সে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
রেন্টেকার ব্যবসার নামে তার রয়েছে একশত এর উপরে মাইক্রোবাস, বিশাল এগ্রো ফার্ম যেখানে কয়েক শত গরু, বিশাল মাছের ঘের, এবং যে বিশাল অট্টালিকা করে রীতিমতো পুরো উপজেলার মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এবং কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মান করতে যাচ্ছেন নিজের জন্য বিশাল ভবন যার ডিজাইন করা হয়েছে ইন্ডিয়া থেকে কোটি টাকা দিয়ে।
শুধু এখানেই শেষ নয়, আরো অজানা অনেক সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন মাত্র এক দশকের মধ্যেই, কি করে সম্ভব তা হয়তো আরো অনেক বেশি অনুসন্ধানের দাবী রাখে সচেতন মহল তথা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দুদকের কাছে।
কিন্তু সত্য কখনো চাপা থাকেনা, আধিপত্যবাদীদের ভয়ে সাধারণ মানুষ কেউ মুখ না খুললেও সত্য নিজে থেকেই উম্মোচিত হয়ে সত্য প্রতিষ্ঠা করে নিজ অস্তিত্ব রক্ষায়, এক্ষেত্রেও তার বিপরীত ঘটেনি, সেদিনের সেই মাদক চালানের বিষয়ে এখনো স্থানীয় পুলিশ সুনির্দিষ্ট কিছু বলেনি, কিন্তু অপরাধী তার নিজ অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে খুব বড়সড় করেই।
মেঘনা উপজেলা থেকে মাদক আটকের খবর যখন স্থানীয় সচেতন সাংবাদিকগণ কলম হাতে তুলে নিল ঠিক তখন থেকেই এই জাকিরের ঘুম হারাম হয়ে যায়, সে তার অবৈধ টাকার শক্তি কাজে লাগিয়ে নেমে পরে সত্যের গলা টিপে ধরতে, স্থানীয় সাংবাদিকদের নানারকম হুমকি ধামকি দেয়া শুরু হয় চারদিক থেকে, কখনো প্রশাসনের কোনো কর্তা দিয়ে আবার কখনো নিজের পালিত শীর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে।
তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বনামধন্য ‘দৈনিক অন্যদিগন্ত’ পত্রিকার সহ সম্পাদক হোসেন মনিরকে কয়েকবার বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে নানারকমভাবে ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়ে লেলিয়ে দেওয়া হয় এলাকার একসময়ের কুখ্যাত সন্ত্রাসী মহিউদ্দিন মহীকে, সে মেসেন্জারে কল করে বর্তমানে প্রবাসে থাকা জনাব হোসেন মনিরকে সরাসরি মেরে ফেলার হুমকি ও মেঘনাতে বসবাসরত তার পরিবারকে আগুন জালিয়ে দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। যাহা সকল প্রমাণ পত্রিকার বার্তা কক্ষে রয়েছে।
‘ভোলায় অস্ত্রসহ ৩ দস্যু আটক, ২ অপহৃত উদ্ধার’
ভোলায় জলদস্যুতার অভিযোগে ৩ দস্যুকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।......বিস্তারিত