উত্তরা প্রতিনিধি: রাজধানী উত্তরা আব্দুল্লাহ পুরের চা বিক্রেতা, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামীলীগের স্থগিত কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরু চাঁদাবাজীর টাকায় এখন কোটিপতি নুরুল ইসলাম।
সরেজমিন অনুসন্ধান তথ্যে জানা যায়, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরু ২০০৩ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ছিলেন আব্দুল্লাহ পুর ও রাজলক্ষীতে চা বিক্রেতা জানান এলাকাবাসী। আব্দুল্লাহ পুরে চা বিক্রির সুবাধে ২০০৯ সালে উত্তরা আওয়ামীলীগ নেতারা আব্দুৃল্লাহ পুরের যানজট নিরসনে মহাখালী বাস মালিক সমিতি থেকে যানজট নিরসন কমিটির একটি শাখা আব্দুল্লাহ পুরে নিয়ে আসেন।
যানজট নিরসনে যারা সরাসরি রাস্তায় ট্রাফিকের সহকারি হিসেবে কাজ করবে এমন বাছাইকৃত ব্যক্তিদের নিয়ে শাখা কমিটি গঠন করা হয়। শাখা কমিটির সাধারন সম্পাদক হিসেবে মনোনিত হন উত্তরা ফিলিং ষ্টেশন এর পাশে চা বিক্রেতা নুরুল ইসলাম নুরু। কারন হিসেবে তার একাধিক সহকর্মিরা জানান, আমরা প্রখর রোদে ক্লান্ত হয়ে গেলে তার দোকানে বিশ্রাম নিতাম। এ কারনে তাকে আমরা সাধারন সম্পাদক নির্বাচন করি।
যানজট নিরসন কমিটিতে আওয়ামীলীগের ত্যাগী সাধারন কর্মীদেরকে দৈনিক হাজিরায় কাজে খাটানোর সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। নুরুল ইসলাম নুরু সভাপতির সাথে সমন্বয় করে আওয়ামীলীগের ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে তার গ্রামের বাড়ী মাদারিপুর থেকে বিতাড়ীত বিএপির ক্যাডারদের এনে দৈনিক মোটা অংকের টাকা হাজিরায় যানজট নিরসনের কাজে লাগিয়ে দেয়।
ক্যাডার হিসেবে নুরুল ইসলামের উত্থানঃ উত্তরা আব্দুল্লাহ পুরের যানজট নিরসনে মহাখালী বাস মালিক সমিতি থেকে দেওয়া একটি কমিটিকে কেন্দ্র করে আব্দুল্লাহ পুরে উত্থান ঘটে নুরুল ইসলাম নুরুর। কমিটি সদস্যদের দৈনিক হাজিরার জন্য বাস মালিক সমিতি মহাখালি থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার প্রতিটি গাড়ী থেকে গাড়ী বেদে ১০ থেকে ১৫টাকা উঠানোর অনুমতি দেয়। মহাখালী বাস মালিক সমিতির এই অনুমতিকে কাজে লাগিয়ে গেইট পাশের (জিপি) টোকেন বানিয়ে থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ম্যানেজ করে আব্দুল্লাহ পুর, গাজীপুর ও ঢাকার লোকাল বাসসহ সব ধরনের যানবাহন হতে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত উঠিয়ে থাকে
ভুয়া জিপি দিয়ে উঠানো টাকার পরিমানঃ নুরুল ইসলাম বর্তমানে ভুয়া জিপির কাগজ দেখিয়ে আব্দুল্লাহপুর বাসষ্ট্যন্ড হতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা উঠিয়ে থাকে। তার ক্যাশিয়ার নিমাই এর নথিকরা বিভিন্ন খাতাপত্র ঘেটে দেখা যায়, জিপি থেকে আসা দৈনিক চাঁদার পরিমান প্রায় ৫ লক্ষাধিক পর্যন্ত হয়ে থাকে।
চাঁদাবাজীর টাকা উঠানোর কৌশলঃ নুরুল ইসলাম তার চাঁদা উঠাতে তার পরিবারের সকল সদস্যকে একেকটি পদে নিয়োগ করেছে। পরিবারের সদস্য এবং আত্বীয়-স্বজন ব্যাতীত তার যানজট নিরসন কমিটিতে অন্য কোন জনবল নেই। নুরুল ইসলাম নুরু এখন কোটি টাকার মালিক তাই সে আর নিজ হাতে চাঁদার টাকা গ্রহন করেননা।
ভাগবাটোয়ারায় চাঁদার টাকাঃ জিপির নামে উঠানো টাকার বৃহৎ অংশ যায় হাইওয়ে পলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, টিআই, সার্জেন্টসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পকেটে।
বাড়ি-গাড়ীর ভোগবিলাশে নুরুল ইসলামঃ নুরুল ইসলাম চাঁদার টাকায় দক্ষিখান থানাধীন ট্রান্স মিটার এলাকায় গড়ে তুলেছেন একটি বহুতল ভবন, উত্তরা ৯নং সেক্টরে রয়েছে নিজিস্ব ফ্ল্যাট, গ্রামের বাড়ি মাদারি পুরে রয়েছে বিলাস বহুল বাড়ি। আব্দুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়া রাস্তায় চলাচল করে আশুলিয়া ক্যালাসিক নামে কয়েকটি গাড়ী। রেন্টে কার এ রয়েছে দুইটি নোহা, একটি হাইস, নিজের ব্যবহারের জন্য রয়েছে একটি এলিয়ন।
ছোট ভাই হুমায়ূনের নেতৃত্বে আব্দুল্লাহপুরের ফুটপাতঃ নুরুল ইসলামের ছোট ভাই নামধারী ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ূনের নেতৃত্বে রয়েছে আব্দুল্লাহপুরের ফুটপাত। হূমায়ূন ফুটপাত থেকে দৈনিক লক্ষাধিক টাকা উঠিয়ে থাকেন বলে তার লাইনম্যানরা জানান।
ক্যাসিনোতে জুয়াড়িঃ নুরুল ইসলাম তার চাঁদার টাকা খরচের জন্য বেছে নিয়েছেন ক্যাসিনোর জুয়াড় আসড়। উত্তরার বিভিন্ন ক্লাবে নিয়মিত জুয়াড়ি হিসেবে রয়েছে তার নাম। বর্তমানে ক্যাসিনো বিরোধি অভিযান শুরু হলে নুরুল ইসলাম গাঁ ঢাকা দিয়ে এলাকায় চলাফেরা করেন। এব্যাপারে নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, আমার পরিবহন ব্যবসা আছে। আমি কোন চাঁদাবাজীর সাথে জড়িত না।
‘ভোলায় অস্ত্রসহ ৩ দস্যু আটক, ২ অপহৃত উদ্ধার’
ভোলায় জলদস্যুতার অভিযোগে ৩ দস্যুকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।......বিস্তারিত