বরিশাল ব্যুরোঃ মহামারি এই ক্লান্তিলগ্নে মাদক বিক্রির সু-সময় ভেবেই মাদক ব্যবসায়ীরা আবারো মাথা নাড়া দিয়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের ধারণা, পুলিশ এখনো করোনা নিয়ে ব্যস্ত, এই সময় উপযুক্ত মাদক বিক্রির। তাই পিছিয়ে নেই ক্ষমতাসীন দলে কথিত নেতা কর্মীরা। স্বল্প আয়ে অধিক ব্যবসা এই মরণঘাতি মাদক পৌছে দিচ্ছেন মাদক সেবীদের বাসায়। ঠিক সেই সময়ই ভোলা আলীনগর এলাকার মাদক সম্রাট মাকসুদকে হাতেনাতে মাদক সহ গ্রেফতার করেন পুলিশ।
জানা গেছে, তিনি ভোলা জেলা সেচ্ছসেবকলীগ নেতা। আলীনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা সেন্টু মিলিটারির ছেলে মাকসুদ। গতকাল রাতে তার এক সহযোগিসহ ৮১ পিছ ফেনসিডিল সহ ভেলুমিয়া থেকে আটক করে ভোলা থানা পুলিশ। ফেনসিডিল চালান পাচারের সময় তাকে আটক করা হয়। এই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরেক ইয়াবা ও ফেনসিডিল ব্যবসায়ী মাহাবুব মার্কেট এর সত্ত্বাধিকারী জাকির ও ছাত্রলীগ নেতা কালীনাথ বাজারের জনি তালুকদার দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তবে জেলা আ’লীগের ক্ষমতাসীন এক নেতার আস্থাবাজন হওয়ার কারণে পুলিশ এ ব্যাপারে এখনো মুখ খুলতে রাজি হননি। অনেকেই ধারণা করছেন সেই নেতার ফোন পেলে হয়তো পুলিশ তাকে ছেড়ে দিবে।
এছাড়াও জেলা সেচ্ছসেবকলীগের আহ্বায়ক আবু সায়েমের অনুসারীও মাকসুদ। সেচ্ছসেবকলীগের এ নেতার দাপট খাটিয়ে ভোলা কাঁপাতেন মাকসুদ। মাদক ব্যবসায়ী মাকসুদকে কি আদৌ বহিষ্কার হবেন কি না তা নিয়েও দলের অনেকর মধৌ কৌতুহল দেখা দিয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, তাকে ছাড়িয়ে নিতে জেলা আ’লীগের এক নেতা জোড় তদবীর চালালেও এসপি সাহেব মামলা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাই ডিবি অফিসে মাদক মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র জানায়, পালিয়ে যাওয়া জাকিরের বোন টেকনাফ থেকে ইয়াবা ও ফেনসিডিল চালান পাঠায় এবং জাকির ও তার ভাই সহ আরও কয়েক জন মিলে ভোলা সহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে। এর আগেও কয়েকবার তার বোন ও ভাগিনা ১০০০ পিছ ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার হয়েছে।
‘সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সর্ভিস’
সুন্দরবনে অগ্নিনির্বাপণ অভিযানের ৪৮ ঘণ্টার মাথায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে......বিস্তারিত