মোঃ দীন ইসলাম, সোনাইমুড়ীঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সরকারি ত্রাণের তালিকায় হতদরিদ্রের নাম দেওয়ায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়শা আক্তার পারুলের ছেলে ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লা আল মামুনের উপর সন্ত্রাসী হামলা, অপপ্রচার ও মিথ্যে মামলা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়শা আক্তার পারুল বাদী হয়ে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী ২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০টি নিম্ন আয়ের পরিবারের নামের তালিকা করার জন্য নির্দেশ দেন। বাঁরগাও ইউনিয়নের মেয়াপুর গ্রামে ওই তালিকায় ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন হতদরিদ্র ২টি পরিবারের নাম দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এতে মিয়াপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল কাইউম মনু, ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সভাপতি ইয়াছিন মাষ্টারের ভাতিজা রেদোয়ান হোসেন তারেক মামুনের দেয়া নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে তাদের আত্মীয়দের নাম দিয়ে তালিকাটি প্রস্তুত করেন। এনিয়ে মামুন ও মনুর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। শুক্রবার (০১-০৫-২০২০) সন্ধ্যায় মামুন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলমকে বিষয়টি জানিয়ে কাশিপুর বাজার থেকে রওনা হন।
পথিমধ্যে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা রেদোয়ান হোসেন তারেক ও আব্দুল কাইউম মনু একই গ্রামের মতিউর রহমান মহোনকে নিয়ে আব্দুল্লা আল মামুনের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো চেনী, এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মেরে পকেটে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে যায়।
তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মামুনের স্বজনরা বিষয়টি স্থানীয় মান্যগণ্য এবং হামলাকারীদের পরিবারকে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারীরা বহিরাগত একদল মুখোশ পরা সন্ত্রাসী নিয়ে পুনরায় আহত মামুনের বাড়িতে হামলা চালায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গেলে অন্যরা পালিয়ে গেলেও রেদোয়ান হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ভাইস চেয়ারম্যান আয়শা আক্তার পারুল জানান, পুলি ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী হিসেবে রেদোয়ানকে তুলে নিয়ে গেলেও এক ঘন্টার মধ্যে চিত্র পাল্টে যায়। অদৃশ্য শক্তির বলে রেদোয়ান হোসেন তারেক বাদী হয়ে উল্টো তার ছেলে আহত মামুন সহ ২০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে। যাদের অনেকেই পূর্ব থেকে দেশের বাহিরে রয়েছে।
তিনি জানান, রেদোয়ান হোসেন একসময় ছাত্র শিবিরের সাথী ছিলো। বর্তমানে ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তারেক একাধিকবার জেল হাজতেও গিয়েছে। হামলারীরা নিজেদের বাড়ির সীমানাপ্রাচীর ভেঙ্গে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালি বেড়াচ্ছে।
সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উজ্জ্বল চন্দ্র তারেককে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, ৯৯৯ নাম্বারে কল দিয়ে তারেকের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার কথা বলা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারেক পুলিশের সাথে থানায় এসে মামলা করে। মামলায় বিদেশে থাকা আসামীদের নাম দেওয়ায় বিষয়টি তদন্ত করা হবে বলেও জানান।
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত