TadantaChitra.Com | logo

২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এ যেন স্বাধীনতা যুদ্ধের আরেক টিক্কা খান!

প্রকাশিত : মে ০৯, ২০২০, ১১:২৯

এ যেন স্বাধীনতা যুদ্ধের আরেক টিক্কা খান!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সমীপে, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার হেমনগর ইউনিয়নের স্মরণকালের সন্ত্রাসী, দেশ জাতী ও আওয়ামী লীগের কলঙ্ক, মামলাবাজ ও বহু মামলার আসামী খুনি চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের ছোবল থেকে হেমনগর বাসীকে রক্ষা করুন।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা যেই মহুর্তে স্মরণকালের মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে দেশবাসীকে রক্ষায় জীবনপণ সংগ্রাম করে যাচ্ছেন ঠিক সেই মুহুর্তে গোপালপুর থানার হেমনগর ইউনিয়নের স্মরণকালের চাঁদাবাজ, দূর্নীতিবাজ ও মামলাবাজ চেয়ারম্যান আইয়ুব খান মামলা হামলা, শালিস দরবার, খুন, মারামারি ও জয়ের মালা পরার কাজে ব্যাস্ত। তার কথা “দেশ মানুষ ও সরকার জাহান্নামে যাক, আমি হব হেমনগর ও গোপালপুরের রাজা”। এ যেন স্বাধীনতা যুদ্ধের আরেক টিক্কা খান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে অভাগা চেয়ারম্যান হেমনগর ইউনিয়নে তার পালিত সন্ত্রাশীদের ব্যতিত কাউকে এক মুঠো ত্রান দিতে পারে নাই। ইউনিয়নের সুধী জনের সাথে তার কোন যোগাযোগ নাই। সে প্রতিদিন ১০ কিলো দূরবর্তী থানা সদর হতে প্রাইভেট কারে পরিষদে আসিয়া সারাক্ষন ত্রাণের কাগজ পত্র ঠিক করেন এবং হিসাব মিলান। এলাকার প্রত্যেক গ্রাম হতে তার মনোনীত সন্ত্রাশীদের পরিষদে ডেকে এনে কোন গ্রামে কি ঘটনা আছে, কাহাকে মারতে হবে, কোন গ্রামে শালীশ করতে হবে, কে কার বিরুদ্ধে মামলা করবে, শালিসে কে কত টাকা দিবে ইত্যাদি খোঁজ খবর ও নিদের্শ দিয়ে বিকালে গাড়ী নিয়ে পূণরায় থানা সদরে চলে যান। তার এই পরিষদ কার্য্যক্রমে কোন দিন কোন ইউপি সদস্যগণকে রাখা হয় না। ইহাতে ইউনিয়নে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত (৯+৩)= ১২ ইউপি সদস্যের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করিতেছে বলে জানা যায়। ঘটনার আলোকে জনৈক ইউপি সদস্য হেমনগরে সংবাদিক পাঠায়ে নিম্ম বর্ণিত সদস্যদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ পূর্বক সরকারী ত্রাণ, চেয়ারম্যানের দূর্নীতি ও সন্ত্রাশী কার্য্যক্রমের সত্যতা যাচায়ের অনুরোধ করেন। ইউপি সদস্যগণ যথাক্রমে (১) জনাব মাহবুবুল হাসান টুটুল, (২) জনাব স¦পন মন্ডল, (৩) জনাব সাইফুল ইসলাম তালুকদার, (৪) জনাব আমিনুর রহমান, (৫) জনাব আকাব্বর হোসেন, (৬) জনাব জসীম উদ্দিন, (৭) জনাব মোসÍফা হোসেন, (৮) জনাব আজাহার আলী, (৯) জনাব গোলাম মাওলা, (১০) জনাব নাজমা বেগম, (১১) জনাব নাসিমা বেগম, (১২) জনাব মুক্তা বেগম ।

কে এই রওশান খান আইয়ুব ?
ফোনে চেয়ারম্যান আইয়ুব খান সর্ম্পকে সার সংক্ষেপ জানতে চাওয়া হলে তাহার নিজ গ্রাম শাখারিয়া নিবাসী জনৈক খান সাহেব জানান, চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের জান্নাতবাসী পিতা লাল মাহমুদ খান পাকিস্তান মুসলিম লীগের সদস্য ছিলেন। অন্যায় অত্যাচার, জুলুম নির্যাতন এবং সর্বপরি নারী লোভের কারণে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে স্বাধীনতার পর পর হেমনগরের জনগণ তাহাকে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। একই চরিত্রগত কারণে আইযুুব চেয়ারম্যানের একমাত্র বড় ভাই দৌলত খানকে প্রকাশ্য দিবালোকে স্থানীয় নলিন বাজারে শতাধিক লোকের সামনে নিজ গ্রামের দিন মজুর দিলশাদ খান নিজের লজ্জা ও কষ্ট সহ্য করিতে না পারিয়া সামান্য একটি কুঠারের আঘাতে হত্যা করেন। ঘটনার আলোকে খুনি দিলশাদ খান দীর্ঘ ২৫ বৎসর জেল হাজত খাটেন। জনাব খান সাহেব আরো জানান বর্তমান চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের অত্যাচার, ঘুষ দূর্নীতি, মামলা হামলা ও সন্ত্রাশী কার্য্যক্রমের ফিরিস্তি লিখতে হলে যে কোন সংবাদিকের কমপক্ষে ১ বৎসর সময় লাগবে। তাহার দেয় তথ্য মতে দালিলিক ২/১ টি ঘটনা দেশবাশীর মংগলের জন্য নিন্মে পেশ করা হল।

১। দীর্ঘ চেয়ারম্যান কালে তিনি তার চরিত্র ও কর্ম দ্বারা হেমনগর তথা গোপালপুর থানাকে সন্ত্রাশীদের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করিয়াছেন। বর্তমানে দেশের সবাই জানে গোপালপুর থানা কি জিনিস।

২। বিগত দিনগুলিতে হেমনগরে যত মানুষ খুন হয়েছেন, প্রত্যেক খুনের পিছনে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের মদদ রয়েছে। ২০১৯ সনে হেমনগরে ভোলারপাড়া গ্রাম নিবাসী ছাত্র লীগ নেতা কবির, চেয়ারম্যানের মদদে খুন হন।

৩। জানা যায় চেয়ারম্যান আইয়ুব খান নিজেই আইন এবং নিজেই আদালত। মাত্র কিছুদিন পূর্বে তার নিজ গ্রাম শাখারিয়া নিবাসী গরীব চাষী শামছু শেখের পুত্র জাহিনুর তাহাকে চেয়ারম্যানের পরিবর্তে আইয়ুব খান বলায় ছেলেটিকে শত শত লোকের সামনে নিজ হাতে মারতে মারতে জ্ঞান শূন্য করে ফেলে। পরে সিনেমার ভিলেনের মত জ্ঞান শূন্য জাহিনুরকে দু পায়ে রশি বেধে টানতে টানতে নিজের বাড়ীতে নিয়া গাছের সাথে বেধে লাঠি দ্বারা পেটাতে পেটাতে হাড় মাংশ এক করে দেন। এহেন অবস্থায় ছেলেটির বাবা দেখতে আসিলে তাহাকেও গাছের সাথে বেধে মারপিট করা হয়। এযেন স্মরণকালের আরেক এরশাদ সিকদার। জাহিনুর অদ্যবদি পঙ্গু ও প্রতিবন্দি অবস্থায় বেঁচে আছে। নির্মম এই সন্ত্রাশী ঘটনা দেশব্যাপী জানাজানি হলেও চেয়ার ম্যানের ভয়ে অদ্যবদি কেউ মুখ খুলতে সাহস করেনি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো স্মরণকালের সন্ত্রাশী চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের প্রতিদিনের চায়ের সাথী গোপালপুর থানার ওসি, এসি, এসিল্যান্ড, টিএনওসহ প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাই ঐ দিন সারাবেলা ঘুমিয়ে ছিলেন এবং অদ্যবদি ঘটনার আলোকে তাহারা ঘুমিয়ে আছেন। দেশে যেন মানুষ নেই। প্রশাসনসহ আইন আদালত সবই আইয়ুব খান চেয়ারম্যানের তাবেদার। যাচাই করে দেখা গিয়াছে বর্তমানেও আইয়ুব চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গোপালপুরের থানা পুলিশ ও অন্যান্য প্রশাসন কোন অভিযোগ গ্রহণ করেন না।

৪। একইভাবে সন্ত্রাশী, দূর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর চেয়ারম্যান আইয়ুব খান সম্পতি হেমনগর হক ন্যাশনাল ক্লিনিকের মালিকের নিকট থেকে রাস্তা নির্মাণ ও ফুলের বাগান রক্ষার জন্য গোপনে ২ দফায় ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা নেন। ঘটনা জানাজানি হলে চেয়ারম্যান ক্লিনিক মালিককে রাজবাড়ীর মাঠে ডেকে নিয়ে শত শত লোকের সামনে হেনেস্থা করণসহ চাঁদার কথা অস্বীকার করান। সর্বপরি ক্লিনিক মালিকের ছবি ও কথা ভিডিও করে ফেইজ বুকে ছেড়ে দেন। ঘটনাস্থলে অনেক পুলিশ সদস্যসহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যানে ভয়ে উপস্থিত সবাই হাত তালি দিয়ে বলেছিল মারহাবা, মারহাবা। চেয়ারম্যান সাহেব জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ। ফেইজবুক আজও ঘটনার সত্যতা প্রমান করিবে।

৫। মাত্র কিছুদিন পূর্বে চাঁদাবাজ চেয়ারম্যান আইয়ুব খান হেমনগর রাজবাড়ীর পুকুরপারে গরু পালার শর্তে জনৈক ইউপি সদস্য মাহবুবুল হাসান টুটুলের নিকট থেকে ১,৫০,০০০/- লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ করে। পরে জনতার চাপে চেয়ারম্যান নিজেই টিএনও কে সাথে নিয়া গরুর খামারটি ভেংগে দেন। কিন্তু অদ্যবদি গৃহিত ঘুষের টাকা ফেরৎ দেন নাই। টটুল মেম্বার তার সামনে আসিতেই সাহস করছেন না। ঘটনার অনেক সাক্ষী আছে।

সর্বশেষে হেমনগরের জনৈক নির্যাতিত ব্যক্তি মনের কষ্টে আর্তনাথ করে বলেন “হে চেয়ারম্যান সাহেব আপনি আমার জীবনের সবকিছু কেড়ে নিয়াছেন এবং আমার জন্মকে ব্যর্থ করে দিয়াছেন। তাই যদি বেঁচে থাকি আমি আপনাকে আদর্শ মানুষ বানিয়ে ছাড়রো। পারলে আমার নামে যত পারেন মাদক মামলা, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র মামলাসহ যাবতীয় মিথ্যা মামলা দিন। আদালতে গিয়া টের পাবেন, মামলা কত প্রকার ও কি কি এবং আরো টের পাবেন আমি কে? ভারতীয় সিনেমার এ কোন ফাটাকেষ্ট? জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, জয়হোক মেহনতি মানুষের। অপেক্ষায় থাকুন, আরো আছে”


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।