আঠারো বছর সংসার জীবনে কি পেলো রানু,,,,হ্যা পেয়েছেইতো,, দুইটা ফুটফুটে ছেলে মেয়ে, পেয়েছে গা ভর্তি গহনা,শাড়ি,খাবার,আর অমানসিক নির্যাতন, পায়নি ভালোবাসা আর সন্মান।তাইতো এতোকিছু পাবার পরেও আঠারো বছরের সংসারকে, কলিজার ধন সন্তানদের কে রেখে চলে এসেছিলো সীমান্তর হাত ধরে।
সীমান্তের কথা মতন নিজের হাতে গোছানো সংসারকে ত্যাগ করতে দ্বিধা বোধ করেনি রানু,শুধু একটু ভালোবাসার জন্য,রানুতো ভালোবাসার কাঙ্গাল।
গত ছয়টা বছরে রানু তার জীবনের সবচাইতে মধুর সময় কাটিয়েছে।যত অপূর্ণতা,ভালোবাসা স্বপ্ন সব কিছু পেয়েছে সীমান্তের কাছে থেকে।যদিও সীমান্ত রানুকে গা ভরা গহনা দিতে পারেনি,দামি শাড়ি কিনে দিতে পারেনি তারপরও এই সংসার ছিলো স্বর্গ সুখের মতন। রানুর ধ্যান জ্ঞান সবটাই জুড়ে শুধু সীমান্ত।
সীমান্তও রানুকে রানুর স্বপ্নকে, রানুর সন্তানদেরকে খুব ভালোবাসত।রানুর সন্তানরা যখন রানুর সাথে দেখা করতে আসতো তখন তাদের নিয়ে সীমান্তের কি বাড়াবাড়ি,রানুর ছেলেমেয়েরাও সীমান্তকে দারুন পছন্দ করত। রানু দেখে আর ভাবে কেনো আঠারো বছর আগে সীমান্তের সাথে দেখা হয়নি।
বেশ কেটে যাচ্ছিল টুনাটুনির সংসার। রানুর বন্ধু,সীমান্তের বন্ধুদের নিয়ে মাঝে মাঝেই রানুর বাড়িতে আড্ডা বসে,,রানু সীমান্ত দুজনাই দারুন গান করে।
এর মাঝে রানুর এক কাজিন সুজানা আছে রানুর বাসায়, রানু আর সীমান্তের সুখের সংসার দেখে সেতো মহা খুশি।যাক রানু তুই তোর নিজের মতন একটা সংসার পেয়েছিস,খুব ভালো লাগলো তোদের দেখে নির্দিধায় বলতে থাকে সুজানা, সীমান্তের প্রশংসায় সবসময় পঞ্চমুখ। এরপর প্রায় সুজানা রানুর বাসায় আসে,আড্ডা দেয় ঘন্টার পর ঘন্টা।রানুর সুখের সংসার দেখে সুজানার খুব ভালো লাগে।
বেশ আনন্দে মজাই দিন কেটে যাচ্ছিল ওদের হঠাৎ করেই এক কালবৈশাখী ঝড় নেমে এলো রানুর জীবনে, একদিন বাইরে থেকে ফিরে ঘরে ঢুকতেই এক নারী কন্ঠের হাসি শুনতে পায়, দরজা খুলে যা দেখে তারপর রানুর আর কোন কিছুই মনে নেই,জ্ঞান ফিরে দেখে সে মেঝেতে পরে আছে, সীমান্ত বা সুজানা কেউ নেই ঘরে। সীমান্ত সেই যে গেলো আর ফিরে এলোনা, রানু এখন একা বড্ড একা। তবে সে বুঝে গেছে সুখ তার জীবনে ক্ষনিকের তরে এসেছিলো, সুখ তার জন্য নয়।নীরবে একটা মুচকি হাসি দিয়ে প্রতিরাতে আকাশের পানে চেয়ে থাকে রানু।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত