গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক কমিটিকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম ইটিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা খাতুন। যিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশে গড়া সৈনিক বলে জাহির করে থাকেন। অথচ তিনি ছিলেন জামাত-বিএনপি দলের একজন নেতা যার একাধিক প্রমান কুষ্টিয়াবাসী জানেন।
শিক্ষিকা ফাতেমার অতিত ইতিহাস : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইটিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা খাতুন ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের ছাত্রদলের একজন দাপটশালী নেত্রী। ফাতেমার স্বামী মো: মিজানুর রহমান ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের একজন পোষ্টেড লিডার। এই পোষ্টের উপর ভিত্তি করেই (২০০১-২০০৬) বিএনপি শাসনামলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে চাকরী পান। সেখানে যেয়েও তিনি থেমে থাকেননি। তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনীতি শুরু করেন বিএনপি পন্থী শিক্ষক প্যানেলের সঙ্গে। এমনকি ফাতেমার স্বামী মিজানুর রহমান নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপি পন্থী শিক্ষকদের প্যানেলে হয়ে বরাবরই শিক্ষক সমিতির নির্বাচন করে আসছেন। সদ্য প্রফেসর হওয়া এই মিজানুর রহমানের বাড়ি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের ঠিক সামনে।
ব্যাপক অনুসন্ধান ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, শিক্ষিকা ফাতেমার আপন শ্বশুর, দাদা শ্বশুরসহ পূর্ব পুরুষ সবাই বিএনপি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত। প্রকৃতপক্ষে ফাতেমা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয় কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষে পড়ালেখা চলাকালীন যখন তার স্বামী মিজানুর রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তখন থেকেই। যেহেতু মিজানুর রহমান ছিলেন খুব প্রভাবশালী ছাত্রদল নেতা সেই সুবাদে ফাতেমা খাতুনও খুব গর্বের সঙ্গে একই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
উল্লেখ্য যে, ফাতেমা খাতুন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রভাষক পদে চাকরীর জন্য আবেদন করলে তার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিএনপি জামাতের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তার নিজের ডিপার্টমেন্টেই চাকরী হয়নি। অবশেষে ফাতেমা খাতুন হামদার্দ ইউনিভার্সিটিতে কয়েক বছর চাকরী করার পর শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি (যার নামে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর থাকাকালীন জিয়া পরিষদের সঙ্গে রাজনীতি করার অভিযোগ আছে) প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন তাকে কোন প্রকার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড তোয়াক্কা না করে নিয়োগ প্রদান করেন।
গোপালগঞ্জে অবস্থিত জাতির পিতার নামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিএনপি-জামায়াতের শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে কলংকিত করা হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন অভিজ্ঞ মহল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএনপি-জামায়াতের শিক্ষকদের অপসার ও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারন ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিজ্ঞ মহল।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত