আসাদুজ্জামান রিপন (যশোর): শার্শা উপজেলায় আম্ফান তান্ডবে ঘরবাড়ী ওগাছপালার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিতে ভিন্ন ভিন্ন গ্রামে গাঁছ চাপায় ৪ জন মৃত্যুবরন করেছেন। কয়েক যুগ পরে দক্ষিন-পশ্চিমা অঞ্চলে আঘাত আনা ঘূর্নি ঝড়ের কবলে শার্শা উপজেলার বৈদেতিক লাইন, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। বুধবার সন্ধ্যা হতে শুরু হওয়া ঝড়ে(৬৫/৮০কিঃমিঃ গতি) উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনবসতী এলাকার ঘর-বাড়ী ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে।
বসতবাড়ী ও রাস্তার ধারে থাকা বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে প্রধান সড়ক সহ কয়েকটি গ্রামের শাখা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। উপজেলার শার্শা গ্রামের জেলে পাড়ায় মৃত সুনিল মন্ডলের পুত্র গোপাল বিশ্বাস (৬৫), জামতলা গ্রামের মোক্তার আলী (৬০), গোগা গ্রামের শাহাজানের স্ত্রী ময়না খাতুন(৩৫) ও মহিষাকুড়া গ্রামের মোবারকের পুত্র মিজানুর রহমান(৪০) নামের ৪জন ব্যাক্তি মৃত্য বরন করেছেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রাকিতিক দূর্যোগে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু বরন করেছেন বলে নিশ্চিত করেন।
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শার্শা জোনাল অফিসের সহকারী জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নেয়ামুল হাসান বলেন, উপজেলা ১১টি ইউনিয়নে ঝড়ে লাইনে গাছ পড়ে বৈদেতিক খুঁটি ভেঙ্গে লাইনের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার ভোর রাত হতে ১১জন লাইনম্যান ও ৫০ জনের মত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত লেবার বৈদেতিক সংযোগ চালু করার কাজ চালাচ্ছে। ঈদ উৎসবের আগেই উপজেলায় গ্রাহকরা বিদ্যুৎ সেবা পাবেন বলে তিনি আরো জানান। করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই আম্ফান ঝড়ে থমকে গেছে শার্শার জনজীবন। বিদ্ধস্ত ঘর-বাড়ী মেরামতে সকাল হতেই উপজেলার টিন ও হার্ডওয়ার দোকান গুলোতে ক্রেতা সাধারনের ভিড় বেড়েছে।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত