স্বরণকালের করোনা মহামারির মধ্যে দেশ এখন খুনি সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য। রাষ্ট্রের দূর্বল মূহুর্তে কোর্ট কাচারী বন্ধ থাকায় ভুক্ত ভুগিদের মাথায় হাত। সন্ত্রাসীদের চাপে মামলা নিতে অপারগ থানা পুলিশ ।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সদাশয় সরকার যেই মূহুর্তে স্বরণকালের মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে জাতীকে রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, রাষ্ট্রের সেই দূর্বল মূহুর্তে চিরচেনা খুনি ও সন্ত্রাসীরা দেশকে সন্ত্রাসের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। কোর্ট কাচারী বন্ধ থাকায় খুনি ও সন্ত্রাসীরা অভাধে তাহাদের তন্ডব লিলা চালায়ে যাইতেছে।
এমনই পরিস্থিতির স্বীকার টাংগাইল জেলার গোপালপুর থানার হেমনগর হক ন্যাশনাল ক্লিনিকের মালিক। এলাকার সন্ত্রাশী ও চাঁদাবাজ চেয়ারম্যানকে মোটা অংকের চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীরা বেশ কিছুদিন যাবৎ ক্লিনিক মালিককে নানা ভাবে হয়রানী নির্যাতন ও নানা অজুহাতে ক্লিনিক বন্ধের পায়তারা করিয়া আসিতেছে।
চাঁদা না দেওয়ায় খুনি ও সন্ত্রাসীরা জোট ভুক্ত হয়ে গত ৬/৫/২০ তারিখে মালিককে হত্যার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট হত্যা মিশন পরিচালনা করে। হত্যাকারী ৩ জন হোন্ডাযোগে ক্লিনিকের গেইটে আসিয়া দুই জন রোগী পরিচয়ে ক্লিনিকে ঢুকে পরে। দুই জনের মধ্যে একজন ক্লিনিকের ভিতরে পাহারায় থাকিয়া অপরজন সরাসরি ক্লিনিক মালিকের অফিস কক্ষে ঢুকে পরে। খুনি অফিস কক্ষে মালিককে একা পেয়ে পকেট রাখা দাড়ালো ছোড়া দিয়ে আঘাত করিতে দাড়িয়ে পরে। মালিক সংগে সংগে চিৎকার দিয়ে লাফ দিলে খুনি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ক্লিনিক মালিকের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন দৌড়ে এসে সন্ত্রাশীকে ধরার চেষ্টা করে। ততক্ষনে খুনি দৌড়ে এসে ক্লিনিকের গেইটে প্রস্তুত থাকা হোন্ডায় উঠে পালিয়ে যায়। ঘটনার সাথে সাথে থানায় ফোন করা হলে ১৫ মিনিটের মধ্যে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে আসিয়া ক্লিনিকে রক্ষিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামী সনাক্ত ও ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করে। পরবর্তীতে পুলিশের পরামর্শে ক্লিনিক মালিক ঘটনার আলোকে ৮/৫/২০ তারিখে গোপালপুর থানায় এজাহার দায়ের করিলে থানা পুলিশ সন্ত্রাশীদের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে মামলা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করিয়া আসিতেছেন।
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে ক্লিনিক মালিক নিরুপায় হয়ে ঘটনার আলোকে মামলা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ বরাবরে আবেদন করিয়াছেন। দীর্ঘ দিন পরও পুলিশ মামলা গ্রহণ না করায় সন্ত্রাসীরা আনন্দে ক্লিনিক ভাংগার হুমকি প্রদানসহ মালিককে স্বপরিবারে দেশ ছাড়ার হুমকি দিয়ে আসিতেছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে ক্লিনিক মালিক পরিবার পরিজন নিয়া মানবেতর জীবন যাপন করিতেছেন। সর্বশেষে ক্লিনিক মালিক ঘটনার আলোকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত