
সাহাব রীমুঃ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে চাঁদাবাজি ও নারীব্যবসার শীর্ষে শাহাদাতের বিরুদ্ধে রয়েছে পাহার সমান অভিযোগ। এলাকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হারুনর রশিদ মুন্না ও থানার ওসির ছোট ভাই পরিচয়েই চলছে শাহাদাতের নানা অপকর্ম। এ বিষয়ে স্থানীয় থানা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তোলপাড় শুরু হয় এলাকায়।
সাবেক ওই ছাত্রনেতা তার ফেসবুকে উল্লেখ করেন, শাহাদাৎ তালুকদার” – মাদক ব্যবসা, একাধিক ফ্ল্যাট বাসায় নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা, (কিশোর গ্যাং পরিচালনা করা) উঠতি বয়সী ছেলেদের দিয়ে ছিনতাই করানো, যাত্রাবাড়ী মোড়ে অবস্থিত কাঁচাবাজার থেকে চাঁদা উঠানো, ফুটপাতে অবস্থিত ভ্রাম্যমান দোকান থেকে চাঁদা উঠানো, বিভিন্ন যানবাহন এমনকি রিকশা ভ্যান থেকেও চাঁদাবাজি করে আসছে। তার নামে থানায় মাদক মামলা সহ বিভিন্ন ধরনের একাধিক মামলা রয়েছে।
বর্তমানে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা এবং এর আশে পাশের এলাকায় চলমান সকল অসামাজিক কাজের মূলহোতা তিনি। কিছুদিন আগেও যার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো না। রাতারাতি কার কিংবা কাদের ছত্রছায়ায় প্রশাসনের নাকের ডগায় হঠাৎ করে আঙুল ফুলে কলাগাছ তথা কয়েক লক্ষাধিক টাকার মালিক বনে গেছেন।আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার সাথে সেলফি তুলে তাদের নাম ভাঙিয়ে এসব কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শাহাদাত দির্ঘদিন যাবত যাত্রাবাড়ী এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। মাদক ব্যবসার অপরাধে বেশ কয়েকবার হাজতবাসও করে শাহাদাত। মাদারীপুর এলাকায় এক সময়ের জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতো সে। এতে এলাকাবাসি ক্ষিপ্ত হয়ে শাহাদাতের পুরো পরিবারকে এলাকা থেকে বিতরিত করে।
পরে ঢাকায় এসে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর যাত্রাবাড়ীতে ফুটপাতে হকারের কাজে নেমে পরে শাহাদাত। এসময় তার সাথে পরিচয় হয় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হারুনর রশিদ মুন্নার সাথে। সেই সুবাদে হারুনর রশিদ মুন্নার নাম ভাঙিয়েই এলাকায় শাহাদাত শুরু করে মাদক ব্যবসা। তবে এর কিছুই অবগত নন আ”লীগ নেতা হারুনর রশিদ মুন্না।
বর্তমানে শাহাদাত তালুকদারের এলাকায় রয়েছে প্রায় শতাধিক উঠতি বয়সী সদস্য। এদের দিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের ভুয়া টোকেন বানিয়ে নবাগত মেয়রের নাম ভাঙিয়ে করছে প্রকাশ্য চাঁদাবাজি। আর এতে সরাসরি শাহাদাততে গোপন উৎকোচের মাধ্যমে সেল্টার দিচ্ছে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজাহারুল ইসলাম।
এছাড়াও ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার রাকুবুলের নামেও শাহাদাত যাত্রাবাড়ী এলাকার মৎস্য আড়ত সংলগ্ন এবং পার্ক সংলগ্ন ফুটপাত থেকে দৈনিক চাঁদা উত্তলণ করে আসছে।
বর্তমানে উঠতি বয়সী যুবকদের টার্গেট করেই শাহাদাত লোভনীয় অফার দিয়ে তাদের নামিয়ে দিচ্ছে মাদক ও চাঁদাবাজিতে। এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বক্তব্য আনতে গেলে সাংবাদিকদের থানায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
