TadantaChitra.Com | logo

১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভাড়া বৃদ্ধিতে যাত্রী-শ্রমিকদের মধ্যে সাংঘর্ষিক সৃষ্টি হতে পারে

প্রকাশিত : জুন ০৩, ২০২০, ১৫:০৪

ভাড়া বৃদ্ধিতে যাত্রী-শ্রমিকদের মধ্যে সাংঘর্ষিক সৃষ্টি হতে পারে

মোঃ দীন ইসলাম: গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধির কারণে যাত্রী-শ্রমিকদের মধ্যে একটা সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ অটোরিক্সা হালকাযান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। বুধবার (৩ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংগঠনটির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ”অনাহারী শ্রমিকদের ত্রাণ ও আর্থিক প্রণোদনা চাই, ঝুঁকি ভাতা চাই। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বরাদ্দকৃত ত্রাণ ও আর্থিক প্রণোদনা গেল কোথায়? শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হোসাইন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম ফারুক। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক জামিরুল ইসলাম ডালিম, দপ্তর সম্পাদক হুমায়ুন মুজিব, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মামুনুর রশীদ পিন্টু, ফারুক আহমেদ এবং ফেডারেশনের উপদেষ্টা মোস্তফা আলমগীর রতন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গণপরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি না করেও শিল্পের স্বার্থ রক্ষা করা যেত। বরং ভাড়া বৃদ্ধির কারণে যাত্রী-শ্রমিকদের মধ্যে একটা সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। যা সামাজিক বিশৃঙ্খলায় রূপ নিতে পারে। ২৬ মার্চ থেকে দেশে লকডাউন শুরু হয়েছে। সাথে সাথে গাড়ীর চাকাও বন্ধ হয়েছে। এর সাথে বন্ধ হয়েছে চালকদের সংসারের চাকা। লকডাউনের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেহনতি মানুষের জন্য বিভিন্ন ত্রাণ ও আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণার জন্য ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

তারা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে অনেক ত্রাণ ও আর্থিক প্রণোদনার কথা থাকলেও সেগুলো কোথায় ও কীভাবে বিতরণ হল বুঝতে পারলাম না। অথচ এই করোনা ভাইরাসটি ‘কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ’ হিসেবে পরিণত হয়েছে-যা আপনারাও অবগত আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, যে চাঁদা সংগঠন বা শ্রমিক কল্যাণ বয়ে আনবে না, সেই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। সংগঠনের চাঁদা আর চাঁদাবাজি এক কথা নয়। পরিবহন শ্রমিকরা বেঁচে থাকলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি জেলায় চালকদের পক্ষ থেকে ত্রাণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অধিকাংশ জেলায় ত্রাণ পাওয়া যায়নি।

সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এ অবস্থায় আমাদের ফেডারেশনসহ হালকাযান (ত্রি-হুইলার) স্ব-স্ব জেলার শ্রমিক ইউনিয়নগুলো তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে শ্রমিকদের সাধ্যমত ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। করোনা ঝুঁকির মধ্যে আজ পরিবহন শ্রমিকরা নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য রাস্তায় গাড়ী চালাচ্ছে। এই চালক শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পোশাক দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে যেকোন মুহুর্তে চালক-শ্রমিকরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। তাই প্রত্যেক চালক-শ্রমিককে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পোশাক ও ঝুঁকি ভাতা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।