TadantaChitra.Com | logo

১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাগুরার সেই ডাক্তারে বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৮ দফা অভিযোগ কর্মচারীদের!

প্রকাশিত : জুন ০৭, ২০২০, ১১:৫৯

মাগুরার সেই ডাক্তারে বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৮ দফা অভিযোগ কর্মচারীদের!

মাগুরা প্রতিনিধিঃ সরকারী অর্থ আত্মসাৎ,ক্ষমতার অপব্যবহার,স্বেচ্ছাচারিতা,ব্যাভিচার ও ঘুষ দুর্নীতিতে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন মাগুরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: আব্দুস সালাম। তার এসব অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে মাগুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী , স্বাস্থ্যমন্ত্রী ,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও খুলনা বিভাগের ডিআইজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন গত ২৭/১০/২০১৭ ইং তারিখে।

এ অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন যে, যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এইযে, ডা: মো: আব্দুস সালাম কোড নং ৪৩৬০১ মেমো নং ০২২২৭৭,তাং ০৩/০৫/২০০১ ইং তারিখে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিসিএস এর মাধ্যমে শালিখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসাবে চাকুরীতে যোগদান করেন। সিনিয়র অনেক থাকা সত্ত্বেও তিনি অবৈধ যোগাযোগের মাধ্যমে ১৬/০৮/২০১৬ ইং তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাগুরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে চলতি দায়িত্বে যোগদান করেন। তিনি শুধুমাত্র মাগুরাতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের দিন ছাড়া আর কোন দিন সকাল ৯.০০ ঘটিকা হইতে বিকাল ৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত অফিস করেন নাই।

১। তিনি বেসরকারী ক্লিনিকে রোগী অপারেশন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তিনি নিয়মিত অফিস করেন না। অফিসের সময় অনকলে মাগুরা শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ( সানরাইজ ক্লিনিক, সানমুন ক্লিনিক,হ্যাপি ক্লিনিক,গরীব শাহ ক্লিনিক ইত্যাদি) অপারেশন করে বেড়ান যা আইনের পরিপন্থি।

২। মাঠকর্মীদের ই.পি.আই কাজের সময়সূচী সকাল ৮.০০ ঘটিকা হতে ২.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত এবং সি.এইচ.সি.পি দের কাজের সময়সূচী সকাল ৯.০০ ঘটিকা হাুতে ৩.০০ ঘটিকা পর্যন্ত । ইহাদের কাজ তদারকি করার বিধান আছে ডা: আব্দুস সালাম সাহেবের। ওই তদারকির কাজ করার জন্য সরকারী অর্থ থেকে ডিএ ( দৈনিক ভ্রমণভাতা) পাবেন, ৮ ঘন্টার কম সময়ে ভ্রমণের জন্য হাফ ডিএ =৪৩৭/- টাকা পাবেন। প্রকাশ থাকে যে, ইপিআই কাজ ও কমিউনিটি ক্লিনিক সময়সূচী সকাল ৮.০০ ঘটিকা থেকে ২.৩০ ঘটিকা এবং সি.সি ৯.০০ ঘটিকা হইতে ৩.০০ ঘটিকা পর্যন্ত । সেইক্ষেত্রে কখনই ৮ ঘন্টা সময় ভ্রমণকাজে ব্যয় হয়না । তাহলে তিনি কি করে ফুল ১২ দিনের ডিএ ৮৭৫/- টাকা হারে গ্রহন করেন?

৩। মাঠ কাজ তদারকি করার সময় কর্মীদের সাথে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। রেজিষ্ট্রার খাতা ছুঁড়ে কর্মীদের মুখে মারেন জন সাধারণের সামনে। ইহাতে কর্মীদের মান সম্মান হানী ও ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। ইহা ছাড়াও অফিস সহায়কদের সাথে ওইরূপ আচরণ করেন।

৪। তিনি সন্ধারপর অফিসে তাহার অফিসকক্ষে দরজা বন্ধ করে ভিতরে বসে মদ্যপান করেন এবং বহিরাগত মহিলাদের সহিত অফিস কক্ষে ব্যাভিচারে লিপ্ত হন। অফিস ভবনের ওপরতলার ভাড়াটিয়াগনের নিকট জিজ্ঞাসা করিলে উক্ত কাজের যথেষ্ট প্রমান পাওয়া যাইবে। ইতিমধ্যে উক্ত ভাড়া ভবনের মালিক তাহার বাড়ী ছাড়িয়া দেবার জন্য উক্ত ডা: আব্দুস সালাম সাহেবকে বলিয়াছেন। গত ইং ১৪/০৬/২০১৭ তারিখে ( ১৯ শে রমজান) তিনি ও মো: অলিয়ার রহমান তাহার অফিস কক্ষে মদ্যপান করিয়া তাহার টেবিলের ওপর অপরিচিত এক মহিলার সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত হইলে উক্ত টেবিল ভাংগিয়া যায়। এবং ১৮/০৬/২০১৭ ইং তারিখ (২৩ রমজান) মাগরীবের পর মদ্যপান করা অবস্থায় মদ ও গাজাসহ ডিবি পুলিশ তাহাকে গ্রেফতার করিয়া নিয়া যায়।

৫। তাহার কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মহিলারা তাহাদের ইজ্জত ও সম্মান বাঁচানোর তাগিদে অন্যত্র বদলী নিয়া চলিয়া গিয়াছে। এছাড়াও বর্তমানে যাহারা রহিয়াছে তাহারা অনেকেই উক্ত ডা: আব্দুস সালামের লালসার শিক রে পরিণত হইয়া কিভাবে এখান থেকে বদলী হইবে সেই চেষ্ট্য়া রহিয়াছে।

৬। হাজীপুর আলোকদিয়া ও চাদপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কনটিজেন্সী ফান্ডের সমস্ত টাকা মো: অলিয়ার রহমান ও ডা: আব্দুস সালাম জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে তাহার রুমে এ সি স্থাপন করেন এবং বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। একই সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ও.সি.সি ফান্ড থেকে ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মস্ৎ করিতেছেন। সরকারী বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের এবং জাতীয় প্রোগ্রাম বাবদ সরকারী টাকা ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে মো: ওলিয়ার রহমানের সহায়তায় আত্মসাৎ করিয়াছেন।

৭। উক্ত ডা: আব্দুস সালাম সাহেব মাদকাসক্ত ও চরিত্রহীন হওয়ার কারণে তাহার প্রথম স্ত্রী ডা: শাহানাজ নাজনীন পুর্বেই তাহাকে ছাড়িয়া চলিয়া গিয়াছে। এবং তাহার প্রথম পক্ষের কন্যারা তাহার সহিত কোন প্রকার যোগাযোগ করেনা। এবং ২য় স্ত্রীর সহিতও তাহার দাম্পত্য জীবন সুখকর নয়।
৮। উক্ত ডা: আব্দুস সালাম মো: অলিয়ার রহমানের দুর্নীতি ও অপরাধের চিত্র ভয়াবহ। সে ইতি মধ্যে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করিয়া যশোরে বিশাল অট্রলিকা তৈরী করিয়াছে। এবং বিলাশবহুল গাড়ী ব্যবহার করিতেছে। তাই তাহাদের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন আবশ্যক হইতেছে।

বিনীত নিবেদক-মাগুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে এই লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডা আব্দুস সালামকে মাগুরা থেকে সাতক্ষীরায় বদলী করা হয়। তিনি মাত্র এক বছর সাতক্ষীরায় থেকেই আবার তদবীর করে মাগুরায় স্বপদে ফিরে এসে আবার আগের মতই তার মাদক সেবন, নারী বিলাস ও অনিয়ম দুর্নীতি দ্বিগুনমাত্রায় চালিয়ে যাচ্ছেন।
সচেতন মাগুরাবাসীর দাবী- মাগুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গত ৫ বছরের আয় ব্যয় হিসাব নীরিক্ষা করা হোক। ডা: আব্দুস সালাম নিয়মিত মাদক সেবন করেন কি না তা নিশ্চিত হতে তার রক্ত পরীক্ষা করা হোক। তিনি কিভাবে যশোর শহরে অট্রলিকা বাড়ী নির্মাণ করলেন দুদকের মাধ্যমে সেটি অনুসন্ধান করা হোক।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।