TadantaChitra.Com | logo

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এনজিও নেটওয়ার্কসমূহের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত : জুন ০৭, ২০২০, ১৭:৩৮

এনজিও নেটওয়ার্কসমূহের সংবাদ সম্মেলন

করোনা প্রতিরোধে ১৫৬ কোটি টাকা ব্যয় এনজিওদের, ১০% নিজস্ব তহবিল আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতি স্থানীয়করণ সহয়তা ও সরকারের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাসহ অংশগ্রহনমূলক সমন্বয়ের দাবি ঢাকা, ৭ জুন ২০২০: আজ দেশের কয়েকটি এনজিও নেটওয়ার্ক, বিডিসিএসও প্রসেস, সিসিএনএফ (কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরাম), ডিজাস্টার ফোরাম, নাহাব (ন্যাশনাল এলায়েন্স ফর হিউম্যানিটারিয়ান এক্টরস ইন বাংলাদেশ), নিরাপদ (নেটওয়ার্ক ফর ইনফরমেশন, রেসপন্স এন্ড প্রিপেয়ার্ডনেস একটিভিটিজ ইন বাংলাদেশ), এডাব (এসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ) এবং এফএনবি (ফেডারেশন অব এনজিওস ইন বাংলাদেশ) একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনের শিরোনাম ছিল, “বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধে এনজিও কর্মসূচি”। তারা ২৫ মে পর্যন্ত বাংলাদেশে এনজিও কর্তৃক করোনা প্রতিরোধ কর্মসূচির একটি হিসাব দেন যেখানে তারা ১ কোটি ৪৮ লাখ মানুষকে সহায়তা প্রদান করেন। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন বিডিসিএসও প্রসেসের জনাব রেজাউল করিম চৌধুরী এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নাহাবের টেকনিক্যাল এডভাইজার জনাব আব্দুল লতিফ খান।

বক্তব্য রাখেন নাহাবের ড. এহসানুর রহমান, ডিজাস্টার ফোরামের জনাব গওহর নইম ওয়ারা, সিসিএনএফের জনাব আবু মোরশেদ চৌধুরী ও জনাব বিমল চন্দ্র সরকার, নিরপদের জনাব হাসিনা আখতার মিতা, এডাবের জনাব একেএম জসিম উদ্দীন এবং এফএনবির জনাব রফিকুল ইসলাম। জনাব আব্দুল লতিফ খান তার মূল বক্তব্য উপস্থাপনায় বলেন,

এনজিওরা করোনা প্রতিরোধ কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত ১৫৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে যার ১০% (১৫.৬ কোটি টাকা) তাদের নিজেদের তহবিল। স্থানীয় সংগঠন হিসেবে দ্রæত সাড়া প্রদানের জন্য তারা এই অর্থ ব্যয় করেছেন। এই এনজিওদের মধ্যে ৫৬% হচ্ছে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা ও বাকিগুলো অধিকার ভিত্তিক এনজিও। ৮টি বিভাগে ৪৯টি জেলায় ২১২টি এনজিওর মাধ্যমে তারা এই সহায়তা প্রদান করে। সহায়তা কর্মসূচি সবচেয়ে বেশি সংঘটিত হয়েছে রংপুর বিভাগে, এরপর ক্রমান্বয়ে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঢাকা বিভাগে।

খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এনজিও কাজ করেছে। এই সহায়তা কর্মসূচির মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে সচেতনতা বৃদ্ধি, এরপরে ক্রমান্বয়ে রয়েছে খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও নগদ টাকা। বিতরণকৃত আইটেমসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে সাবান ও হাত ধোয়ার সামগ্রি এর পরে ক্রমান্বয়ে রয়েছে খাদ্যসামগ্রি, মাস্ক, সচেতনতামূলক লিফলেট ও পিপিই।

উপস্থাপনার মধ্যে মূল দাবি ছিল- পক্ষসমূহের মধ্যে অংশগ্রহনমূলক সমন্বয় এবং স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের এনজিওসমূহকে সরাসরি তহবিল প্রদান। বিডিসিএসও প্রসেসের জনাব রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের এনজিও যারা দ্রæততম সময়ের মধ্যে দুর্যোগে সাড়া দেন, এমনকি প্রাথমিকভাবে দাতা সংস্থার জন্য অপেক্ষা না করেই, তাদের কাজ তুলে ধরার এটাই সময়। নাহাবের ড. এহসানুর রহমান বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের এনজিও কর্তৃক দুর্যোগে সাড়াপ্রদান একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের কাজ হচ্ছে, তাদের ব্যাপারে তথ্য হালনাগাদ চালু রাখা।

ডিজাস্টার ফোরামের জনাব গওহর নইম ওয়ারা বলেন, বিশেষ করে জেলা পর্যায়ের সাড়া প্রদান কাজে স্থানীয় এনজিও এবং স্থানীয় সরকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বয় ও যোগাযোগ খুব দরকারী। সেই সাথে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং সেখানে এনজিওদের অংশগ্রহনের জায়গা তৈরি করা। সিসিএনএফের জনাব আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, এ জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দাতা সংস্থাদের উচিত স্থানীয় এনজিওদের কাছে সরাসরি তহবিল হস্তান্তর করা। নিজেরা বাস্তবায়নের কাজে যুক্ত না থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের উচিত নিজেদের কাজকে মনিটরিং ও কারিগরি সহায়তার মধ্যে সীমিত রাখা।

তিনি আরো বলেন, দাতা সংস্থাগুলোর উচিত গ্র্যান্ড বারগেইনে দেয়া নিজেদের প্রতিশ্রæতিসমূহ পালন করা। নিরাপদের জনাব হাসিনা আক্তার মিতা বলেন, দূরবর্তী এলাকা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছতে চাইলে স্থানীয় এনজিওই সর্বোত্তম মাধ্যম। সিসিএনএফের বিমল চন্দ্র দে সরকার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্থানীয় এনজিওদের ত্রান, স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির বিবরণ তুলে ধরেন। বিশেষ করে তিনি উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নগদ টাকা প্রদানের কথা।

এডাবের জনাব একেএম জসিম উদ্দীন বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমন দীর্ঘমেয়াদী ও বহুমুখী এবং একারণেই সরকারকে অবশ্যই এই কাজে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের এনজিওসমূহের সম্পৃক্ততার গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এজন্যই সরকারের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পরিকল্পনা আসন্ন বাজেটে প্রতিফলিত হতে হবে। এফএনবি’র জনাব রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের একা কাজ করা উচিত নয়। তিনি আরো বলেন, এখন স্বাস্থ্য খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারকে পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। বার্তা প্রেরক: রেজাউল করিম চৌধুরী (০১৭১১৫২৯৭৯২), মোস্তফা কামাল আকন্দ (০১৭১১৪৫৫৫৯১)


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।