TadantaChitra.Com | logo

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হেমনগরের সন্ত্রাসের রাজা আইয়ুব খান

প্রকাশিত : জুন ০৮, ২০২০, ১৬:৫০

হেমনগরের সন্ত্রাসের রাজা আইয়ুব খান

মোটা অংকের চাঁদা না দেয়ায় কিনিক ভাংচুর, সীলগালার হুমকি ও মালিককে হত্যার চেষ্টা। ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ ও এমপিকে জড়ানোর অপচেষ্টা। নাটের গুরু চেয়ারম্যানকে জনগণের অনাস্থা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টাংগাইল গোপালপুর থানার হেমনগর ইউনিয়নের স¦রণকালের চাঁদাবাজ, মামলাবাজ ও দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের অত্যাচারে এলাকাবাসী দিশেহারা মর্মে হাজার হাজার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। চাঁদা, ঘুষ, দূর্নীতি ও নারীলোভ উক্ত চেয়ারম্যানের বংশগত বদ অভ্যাস বলে জানা যায়। একই কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে মাত্র ২০ বৎসরের ব্যবধানে চেয়ারম্যানের পিতা লাল মাহমুদ খান এবং আপন বড় ভাই দৌলত খানকে প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত লোকের উপস্থিতিতে নির্মমভাবে হত্যা করে। জানা যায়, চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের পিতা লাল মাহমুদ খান পাকিস্থান মুসলিম লীগের সদস্য ছিলেন এবং ১৯৭১ সনে আলবদর রুপ ধারণ করে তার লালিত পালিত হেমনগর এলাকার ৭ (সাত) ব্যক্তির সাথে নারী ক্যালেংকারী নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় তাহাদেরকে বিনা বিচারে ডাকাত পরিচয়ে যমুনার তীরে নিয়ে জবাই করে পানিতে ভাসিয়ে দেয়। এরা হলেন বানীপাড়া নিবাসী অফেদ উল্লার ছেলে দেলোয়ার হোসেন, ছবর আলী, আইজ উদ্দিন ও দারগ আলী এবং আইজ উদ্দিনের ছেলে সিরাজ, দরাজ ও সোহরাব আলী। এদের মধ্যে দারগ আলী জেল হাজতে থাকা অবস্থায় তার সুন্দরী স্ত্রীকে লাল মাহমুদ খান জোর করে ধরে নিয়ে শ্লীলতাহানির পর চাচাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেন। দারগ আলী জেল থেকে বাহির হয়ে লাল মাহমুদ খানের নিকট নিজের স্ত্রীকে ফেরৎ চান। অন্যাথায় দারগ আলী লাল মাহমুদ খানের স্ত্রীকে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। উক্ত হুমকির ঘটনায় লাল মাহমুদ খান ডাকাত পরিচয়ে একই পরিবারের ৭ জনকে হত্যা করে। হত্যার স্বীকার অসহায় সেই ৭ (সাত) পরিবারের সন্তানেরা আজও হেমনগরের মাটিতে ন্যায় বিচারের প্রার্থনায় আর্তনাথ করছে। স¦াধীনতার পরবর্তী হেমনগরে যত খুন হয়েছে তার প্রতিটি ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান বংশের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ছিল এবং আছে বলে এলাকাবাসী জানান। হেমনগর তহসিল অফিসে বিদেশী নায়েব হত্যার ঘটনায় চেয়ারম্যানের বাবা এবং ২০১৯ সনে ভোলার পাড়া গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা কবির হত্যা ঘটনায় চেয়ারম্যান আইয়ুব খান প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তদুপরি কবির হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান নিজের নাম বাদ দিয়ে তার পি এস শাহাদৎ হোসেনকে আসামী করে গোলা পানিতে মাছ শিকার করেন।

সম্প্রতি চাঁদাবাজ ও মামলাবাজ চেয়ারম্যান আইয়ুব খানকে হেমনগর হক ন্যাশনাল ক্লিনিকের মালিক চাহিদামত চাঁদা না দেওয়ায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা কয়েক দফা কিনিক ভাংচুরের চেষ্টা করেন। ঘটনার আলোকে ক্লিনিক মালিক বিগত ছয় মাসে স্থানীয় গোপালপুর থানায় ৩ দফা জিডি করেন। শেষ মূহুর্তে চেয়ারম্যান আইয়ুব খান আক্রোশ মূলকভাবে ক্লিনিকের ক্ষতি করার অসৎ উদ্দেশ্যে বিগত ২৭/৪/২০ তারিখে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গোপাল পুরের সহকারী কমিশনার ভুমিকে সাথে আনিয়া ক্লিনিকের সামনের ছোট একটি ফুলের বাগান ভেংগে তছনছ করে দিয়ে যান। সেই সাথে ক্লিনিক সীলগালা করার হুমকি দিয়ে যান। ইহাতেও ক্লিনিক মালিক চাহিদামত ২,০০,০০০/- টাকা চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান আইয়ুব খান গত ৬/৫/২০ তারিখে কিনিক মালিককে হত্যার উদ্দেশ্যে হোন্ডা যোগে ৩ সন্ত্রাসীকে ক্লিনিকে পাঠায়। সন্ত্রাসীরা যথারিতি আক্রমন করিলেও ভাগ্যগুণে মালিক বেঁচে যায়। সন্ত্রাসীদের হত্যা মিশন কিনিকের সিসি ক্যামেরায় যথারিতি রেকর্ড হয়। ঘটনার আলোকে কিনিক মালিক ৮/৫/২০ তারিখে গোপালপুর থানায় এজাহার দায়ের করিলে চেয়ারম্যানের চাপের মূখে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে। বাধ্য হয়ে কিনিক মালিক সন্ত্রাশী হামলা ভিত্তিতে মামলা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপার টাংগাইল এবং উপমহা পুলিশ পরিদর্শক ঢাকা রেঞ্জ, ঢাকা বরাবরে এজাহারের কপি প্রেরণ করেন। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান আইয়ুব খান হত্যা মামলার দায় এড়ানোর অসৎ উদ্দেশ্যে ১১/৫/২০ তারিখে উল্টো ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ আনায়নে গোপালপুর থানায় ৩৩০ নং মিথ্যা জিডি করেন। অবশ্য ক্লিনিক মালিকের ৮/৫/২০ তারিখের দাখিলকৃত এজাহার ভিত্তিতে গোপালপুর থানা পুলিশ উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ১/৬/২০ তারিখে মামলা গ্রহণ করেন। যাহার মামলা নং ১ তারিখ ১/৬/২০ ইং। উক্ত মামলায় চেয়ারম্যান আইয়ুব খান হুকুমের প্রধান আসামী বটে।

জানা যায়, বর্তমান চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের নিকট এলাকার জনগর, সরকারী সম্পত্তি ও সরকারের এাণ সামগ্রী কোন কিছুই নিরাপদ নয়। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান ৩,৫০,০০০/- হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে স্থানীয়. বাংলাবাজারের সমাজ সেবা অফিসের জমি ও পাকা ঘর অন্যের দখলে দিয়ে দিয়েছেন। হেমনগর মুচি বাড়ীর কালি মন্দিরটি টাকার বিনিময়ে বন্নি গ্রাম নিবাসী জনৈক ব্যক্তিকে দিয়ে দেয়। নারী সমাজ তার নিকট নানাভাবে লাঞ্চিত। স্থানীয় ষ্কুল কলেজ ও ইউনিয়ন পরিষদে চাকুরী নিতে এসে বহু নারীরা চেয়ারম্যানের শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। ২০০৩ সনে তার পরিচালিত গোপালপুর সিনেমা হলের জনৈক পিয়নের মেয়েকে শ্লীলতাহানী করায় চেয়ারম্যানের নামে টাংগাইল জেলা আদালতে মামলা হয়। পরে বহু টাকার বিনিময়ে ঘটনার নিষ্পত্তি করে। আরো রয়েছে অনেক দূর্নীতি ও অত্যাচারের খবর।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।