TadantaChitra.Com | logo

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দিনে ড্রাইভার রাতে ইয়াবা ব্যবসায়ী মাঈন উদ্দিন

প্রকাশিত : জুলাই ২০, ২০২০, ১৫:৫১

দিনে ড্রাইভার রাতে ইয়াবা ব্যবসায়ী মাঈন উদ্দিন

অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। তবুও থেমে নেই মাদকের বেচাকেনা। কৌশল পাল্টেছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। মোবাইল ফোনে খদ্দেরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন স্থানে গাঁজা বা ইয়াবা পৌঁছে দিচ্ছে তারা। অথবা তাদের কথামতো নির্ধারিত স্থানে গিয়ে চাহিদা মতো মাদক কিনছে মাদকসেবীরা। তবে একটু পরপরই অবস্থান বদলাচ্ছেন মাদকের কারবারিরা। তাই নির্দিষ্ট স্থানে তাদের অবস্থান ট্রেস করা সম্ভব হচ্ছে না। পুলিশ ও কয়েকজন মাদকসেবীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, রাজধানীর সাত তালা বস্তিতে এক সময় মাদকের রমরমা ব্যবসা ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে সব মাদক স্পট ভেঙে দিয়েছে। এই বস্তিতে এক সময় যারা প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করতো, বর্তমানে তারা পলাতক থাকলেও বস্তির বাইরে মাদক ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছেন।

বেশ কয়েকজন মাদকসেবীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘মাদক ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণভাবে নেশাজাতদ্রব্য বিক্রি করছে। বিকাশে টাকা দিলে জায়গামতো পৌঁছে দেওয়া হয় ইয়াবা। ইয়াবা ব্যবসা আড়াল করতে ড্রাইভার হিসেবে পরিচয় দেয় কিছু মাদক কারবারি। অনুসন্ধানে দেখা যায় বেদে বস্তির অন্যতম ডেঞ্জারম্যান ভাগিনা মাইনুদ্দিন নামে পরিচিত যার সকল অপকর্মের সহযোগিতায় সোর্স মরম আলী। ভয়ংকর সোর্স সুমন, মানুষকে মিথ্যে হয়রানি সহ মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের সোর্স থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ালেও পুলিশের সাথে থাকার সুবাদে কেউ তাকে কিছুই বলেনি। ইতিপূর্বে অপেনলি বেদে বস্তি মাঠে রাত হলেই জুয়ার আসর সহ মাদকের আড্ডা বসিয়ে নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা বড় ভাই হিসেবে পরিচয় দেন। ভাগিনা মাঈনুল উদ্দিন।

এলাকা বাসির দাবি, তার বাবা ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাছির কার্যালয়ের সামনে সবজি বিক্রি করে সেই সুবাদে এত দাপট দেখায় ভাগিনা মাঈন উদ্দিন। খুব ঠান্ডা মাথায় বিভিন্ন স্থানে মাদক পৌঁছে দিচ্ছেন এমনটাই জানিয়েছেন এলাকা কিছু মাদকসেবি। এবং তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যায়না কারণ ভাই ছাত্র লীগ।

তারা আরো জানান, স্থানীয় সম্মানী ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে নিজের অপকর্মে লিপ্ত। মাইনুদ্দিন ও তার দলবল খুব দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ। ড্রাইভিং লাইসেন্স এর চাকরিটা হচ্ছে তাদের একটি লোক দেখানো মাত্র, মূল উদ্দেশ্য এক গন্তব্য থেকে আরেক গন্তব্যে মাদক দ্রব্য পৌঁছানো। ওরা কখনও এক জায়গায় বেশিক্ষণ অবস্থান করে না। এখন নির্দিষ্ট স্পটে নয়, মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেই মাদক কেনাবেচা চলছে।’

সাততালা বস্তির শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি বলেন, ‘এখন ইয়াবা কিনতে হলে মোবাইলে কল দিয়া বিকাশে ট্যাকা (টাকা) পাঠাইতে হয়, এরপর পাইটু (ছোট বাচ্চা/চেলা) আইসা (ইয়াবা) দিয়া যায়। কে বেচে এইটা দেখা যাবে না, ট্যাকা দিলে ঘণ্টা খানেক পরে মাল পাওয়া যাইবো। তবে পরিচিত খোর ছাড়া কারও কাছে মাল বেচে ওরা।’ ঘুরে ঘুরে স্থান পরিবর্তন করে চলছে মাদকের ব্যবসা।

এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, রাজধানীর সাততালা বস্তির চিহ্নিত ২৪ মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে রিপন ওরফে গামাসি রিপন ও শাকিল বর্তমানে কারাগারে আছে। বাকি ২২ জন মাদক ব্যবসায়ী বর্তমানে পলাতক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে সাততালা বস্তির ভেতরে মাদক ব্যবসায়ীরা প্রবেশ করতে পারে না।

সরজমিনে দেখা যায়, একাধিক মামলার আসামীরা বর্তমান সোর্স হিসাবে কাজ করছে। সাততালা বস্তিতে আওয়ামীগ নেতার পরিচয় দিয়ে শদিদুল, ফর্মা ইলিয়াস, ফর্মা লিটন, সাততালা মাদক ব্যবসায় করে। সাততালা ফাড়িতে সর্বক্ষন থাকে ইলিয়াস। ফাড়ির পুলিশ কর্মকর্তা সাথে তার ভালো সম্পর্ক।

অনুন্ধানে দেখা যায়, গুলশান থানার (ওসি) তার বন্ধু এলাকায় দাবি করেন শদিদুল। তবে ওর ১০-১২ জন পাইটু (ছোট বাচ্চা) আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকাভুক্ত একজন মাদক ব্যবসায়ী। এর আগে মাদক বিক্রির অপরাধে একাধিকবার পুলিশের কাছে ধরা খেয়েছে। বারবার বের হয়ে সে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে।

এছাড়াও তার তিন শ্যালক রাসেল, সালাম, মোখলেছ পলাতক থেকেই গোপনে মাদক বিক্রি করে। মহাখালীর সাততালা বস্তির স্থানীয় বাসিন্দা সালাউদ্দিন বলেন।, ‘এখন সাততালা বস্তিতে মাদকের কোনও স্পট নাই। পুলিশ সব উচ্ছেদ করে দিয়েছে। এখন এখানে মাদক ব্যবসায়ীরা ঢুকতে পারে না। র‌্যাব-পুলিশ প্রায় সময় এখানে টহল দেয়। বস্তিতে মাদক বেচাকেনা না হলেও বস্তির বাইরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাদক বিক্রি হয়।’ এলাকায় কি হয় সব তথ্য দেয় পুলিশের বন্ধু নামধারী শহিদুল ও ফর্মা ইলিয়াস। ফাঁড়িতে সবাই তার বন্ধু এমটি দাবি করেন শহিদুলের তার ছোট ভাই লিটন। এভাবে ডিজিটাল সিস্টেমে চলছে তাদের সর্বনাশা ইয়াবা ব্যবসায়ী।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।