মেঘনাকুলের আর্তনাদ”
গ্রীষ্ম শেষে বর্ষা যবে
আসে ধীরে ধীরে,
উপকুলের ভিটে-বাড়ি সব
মেঘনা নেয় যে কেড়ে।।
মেঘনার প্রবলস্রোতে
ভেঙ্গে যায় একুল ও ওকুল,
অসহায়ের আর্তনাদে ভারি হয়
মেঘনার উপকুল
বাপের বসত্ ভিটেমাটি
মেঘনা নেয় কেড়ে,
তবুও তারা যায়না মেঘনার
উপকুল ছেড়ে।।
ভিটে-বাড়ী হারিয়ে তারা
হয় নিঃস্ব যাযাবর,
আত্মকেন্দ্রিক আমলারা কেউ
নেয়না তাদের খবর।।
আশায় তারা থাকে রে ভাই
জাগবে আবার চর,
সেই চরে তে বাঁধবে তারা
হারানো সুখের ঘর।।
আশায় থাকে জনম ভরে
জাগে না আর চর,
পরিশেষে হয় তারা পথের যাযাবর।।
দিনের পরে দিন চলে যায়
পায়না সুখের দেখা,
মেঘনাকুলের অসহায় সব
নিঃস্ব বড় একা।।
প্রভু,আমরা তোমার কাছে
করি প্রার্থনা,
অসহায়দের বাঁচাও এবার
আর ভেঙ্গোনা।।
চাষা-মজুর,জেলে- কুলি
কাঁদে তোমার আছে,
দেওয়ার মত সবই প্রভু
তোমার কাছে আছে।।
উপকুলে দয়া বিলাও রোধ কর
রাক্ষুসিনীর স্রোত,
দুষ্টু বাতাস মিষ্টি লিয়া
আকাশজুড়ে মেঘের ভেলা
দেখলো যখন লিয়া,
খুঁজতে গেলো এদিক সেদিক
কোথায় তার জানু।
আসলে বৃষ্টি হঠাৎ জোরে
ভিজবে লিয়ার মাথা,
তাই তো লিয়া একটু ভেবে
খুললো সবুজ ছাতা।
দখিনা ঐ দুষ্ট বাতাস
করছে ভীষণ ধাওয়া,
একলা পথে দাড়িয়ে ভাবে
কোথায় এখন যাওয়া?
ভাবছে লিয়া বৃষ্টি এলেই
ভিজেই হবে কাবু,
তাকাই সে যে এদিক ওদিক
কোথায় আছে তাবু।
সামনে দু’চোখ তুলে দেখে
পাড়ার ছিদ্দিক,
বলছে তারে- ভিজবো দুজন
কোথাও তাবু নাই।
তখন তাদের দুষ্টু বাতাস
খুব দেখালো ভয়,
মিষ্টি লিয়া ছাতা মাথায়
ছিদ্দিকের কানে কয়-
দুষ্ট বাতাস ভয় করি না
আমি মিষ্টি লিয়া,
থেমে গেলো দুষ্ট বাতাস
তার কোনো বেগ নাই,
ফরসা হলো কালো আকাশ
সেখানেও মেঘ নাই।
মিষ্টি লিয়া সামনে আবার
যখনই চোখ তুলে।
লিয়া
এবার যাবে ঘরে,
বলছে লিয়া- ও দুষ্টু বাতাস
এবার তুই মর।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত