স্পোর্টস রিপোর্টার: করোনা মহামারীর মধ্যেও ফেডারেশনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত শুটিং অঙ্গন; পরিস্থিতি এতোটা ঘোলাটে যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের মুখোমুখি পর্যন্ত হতে হয়েছে শুটারদের। কারণ খুঁজতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিল বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে। যেখানে সরকারের একজন যুগ্ম সচিব হোসনে আরা বেগম, পুলিশের প্রথম মহিলা ডিআইজি ইয়াসমিন গফুর ও ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে তদন্ত রিপোর্টও দিয়েছে।
তদন্ত কমিটি ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপুর বিপক্ষে অসংখ্য অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে, যাতে বলা হয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক ছাড়া এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেডারেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন মহাসচিব, যে কারণে দেশের শুটিং ক্রীড়া মারাত্বক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
অস্ত্র ও গুলি আমদানী করতে নির্বাহী কমিটিকে না জানিয়ে দেশের বিভিন্ন রাইফেল ক্লাব ও শুটিং ক্লাব থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়েছেন, কিন্তু টাকা অন্য খাতে ব্যয় করেছেন। অস্ত্র বা গুলি স্টোর ভেরিফিকেশন করা হয় না, তার তালাবদ্ধ একটি ট্রাংক ফেডারেশনের স্টোরে থাকলেও এর মধ্যে কি আছে তার কোন তালিকা দেয়া হয়নি।
গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মাধ্যমে কাগজপত্র বিহীন অস্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে। মহাসচিবের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ডেলকো বিজনেস এসোসিয়েটসের মাধ্যমে ১০ মিটার রেঞ্জের আধুনিকায়নে ১০টি ইলেক্ট্রনিক টার্গেট চেঞ্জার ক্রয়ে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। কেননা, শুটিং ফেডারেশনে বসানো প্রতিটি চেঞ্জারের মূল্য দেখানো হয়েছে ২৬ লাখ টাকা, একই চেঞ্জার সেনাবাহিনী বসিয়েছে ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকায়।
বিদেশ থেকে অনুমতি বিহীন ম্যাচ অস্ত্র ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করায় ফেডারেশনের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। কারণ ক্লাবকে অগ্রিম অর্থ পরিশোধ করতে হবে, অস্ত্র আমদানী করলে ফেডারেশন লাভবান হতো। বেশ কয়েকজন জাতীয় শুটারের বিপক্ষে সরকারি নিয়ম বরখেলাপ করে শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে দেশের ফেরার পথে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রের সাথে নতুন অস্ত্র ক্রয় করে দেশে এনেছে।
তদন্ত রিপোর্টে ফেডারেশন মহাসচিবকে দায়ী করা বলা হয়েছে, শুটিং দলের সাথে আনা এসব অস্ত্র উচ্চমূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। এই সকল অস্ত্রের কয়েকজন ক্রেতা তদন্ত কমিটির কাছে লিখিতভাবে জানান, ২০১৭ সালের মে মাসে জার্মানিতে বিশ্বকাপ শেষে ফেরার পথে চারটি ওয়ালথার এয়ার রাইফেল শুটিং দলের সাথে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করে দেশে নিয়ে আসা হয়।
বিগত কয়েক বছরে ফেডারেশনের যাবতীয় ঠিকাদারী, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, পুরাতন এসি লাগিয়ে নতুন এসির মূল্য নেওয়া, ফেসবুক পরিচালনায় ২৫ লাখ টাকা তোলা হয়েছে। প্রশিক্ষণ কমিটির আপত্তি থাকা স্বত্বেও রহস্যজনক কারণে বারবার জার্মানিতে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়।
নির্বাহী কমিটির অনুমোদন না নিয়ে এশিয়ান শুটিং কনফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে প্রার্থিতা দাখিল করেছেন। আবার নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত থাকলেও তৃণমূল পর্যায়ে এ.পি.এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম করেনি।
‘রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসায়ী”র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ব্যবসায়ীক ও যুবলীগ নেতা’
নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতে নির্দেশনা অমান্য করে জালিয়াতি মাধ্যমে জমি হাতিয়ে......বিস্তারিত