অবশেষে গোপালপুরের অবুঝ সহকারী কমিশনার ভূমিকে বদলী করা হলেও স্মরণকালের দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান আইয়ুব খান বহাল তবিয়তে, মহামান্য হাইকোর্টসহ নিম্ম আদালতে একাধিক মামলা ও জিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশ এবং সদাশয় সরকার যেই মূহুর্তে স্মরণকালের মহামারী করোনা ভাইরাসের ছোবল থেকে জাতীকে রক্ষার সংগ্রামে ব্যস্ত। ঠিক সেই মূহুর্তে গোপালপুরের সহকারী কমিশনার ভূমি জনাব পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকা ক্ষমতার অপব্যবহারে গত ২৭/৪/২০ তারিখে হেমনগরের সরকারী পুকুর পাড়ে পরিত্যাক্ত জায়গায় স্থাপিত ১৫ ফুটের ১টি ফুলের বাগান অপসারণ করেন। হেমনগরের দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে আলোচ্য কর্মকর্তা সকল আইন কানুন বিধি বিধানকে উপেক্ষা করে ফুলের বাগানটি তছনছ করেন বটে। ফুলের বাগান অপসারণের ব্যপারে আলোচ্য কর্মকর্তা কোন প্রকার সরকারী আদেশ বা টিম গঠনের প্রয়োজনীয়তা মনে করেন নাই। তিনি নিজ খেয়ালের বশবর্তী হয়ে বাগান মালিককে কোন প্রকার নোটিশ বা আত্মপক্ষ সর্মথনের কোন প্রকার সুযোগ না দিয়ে নিজ ইচ্ছামত তার অফিসের পিয়ন ও কারনিকদের সাথে নিয়া ফুলের বাগানটি অপসারণ করেন। বাগান অপসারণকালে তিনি তার বাহামভুক্ত লোকজন দ্বারা পুকুর পাড়ে রোপিত শত শত দেশী বিদেশী ফলের গাছ নিধন করেন এবং বাগানে রক্ষিত লক্ষাধিক টাকার লোহার গ্রীল ইট ও অন্যান্য মালামালের কোন প্রকার সিজার লিষ্ট না করে উৎসুক জনতার মাঝে বিলিয়ে দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই মূহুর্তে “গাছ লাগাও, পরিবেশ বাঁচাও’’ শ্লোগান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক সেই মূহূর্তে দেশে চলমান করোনা মহামারীর মধ্যে সহকারী কমিশনার ভূমির এহেন অবৈধ ও নেক্কার জনক কর্মকান্ডে স্থানীয় সুধীজনেরা ধিক্কার জানান। ঘটনার আলোকে সপ্তাহিক তদন্ত চিত্রসহ দেশব্যাপী মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ পাইলে প্রশাসন আলোচ্য অবুঝ সহকারী কমিশনার ভূমিকে তড়িঘড়ি করে গোপালপুর হইতে অন্যত্র বদলী করেন। সর্বপরি ঘটনার আলোকে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে ভি,সি রিট পিটিশন নং ৪১১/২০ এবং গোপালপুর থানায় ১/২০২০ নং ফৌজদারী মামলাসহ একাধিক জিডি ও মামলা দায়ের হইয়াছে।
অপরদিকে হেমনগরের স্মরণকালের দূর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাশী চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনতা ও বিবিধ সংস্থার পক্ষ হতে সুনিদিষ্ট প্রমাণসহ ঘুষ দূর্নীতি, ত্রাণ ও বিনামূল্যের রেশন সামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের করা হলেও প্রশাসন নিরব রয়েছেন। উক্ত সন্ত্রাশী চেয়ারম্যান সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে বিগত নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিয়া আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রাথীর বাড়ীঘর ভাংচুরের মাধ্যমে ভোট ছিনতাই করিয়া বাহুবলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চাঁদা, ঘুষ, দূর্নীতি ও নারীলোভ উক্ত চেয়ারম্যানের বংশগত বদ অভ্যাস বলে জানা যায়। সম্প্রতি হেমনগর হক ন্যাশনাল ক্লিনিকের মালিক চেয়ারম্যান আইয়ুব খানকে চাহিদামত মোটা অংকের চাঁদা না দেওয়ায় চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ক্লিনিক মালিক চাহিদামত ২,০০,০০০/- টাকা চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাশী চেয়ারম্যান আইয়ুব খান গত ৬/৫/২০ তারিখে ক্লিনিক মালিককে হত্যার উদ্দেশ্যে হোন্ডা যোগে ৩ সন্ত্রাশীকে ক্লিনিকে পাঠায়। সন্ত্রাশীরা যথারীতি আক্রমন করিলেও ভাগ্যগুণে মালিক বেঁচে যায়। সন্ত্রাশীদের হত্যা মিশন ক্লিনিকের সিসি ক্যামেরায় যথারীতি রেকর্ড হয়। ঘটনার আলোকে ক্লিনিক মালিক ৮/৫/২০ তারিখে গোপালপুর থানায় এজাহার দায়ের করিলে চেয়ারম্যানের চাপের মূখে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে। বাধ্য হয়ে ক্লিনিক মালিক মামলা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপার টাংগাইল এবং উপমহা-পুলিশ পরিদর্শক ঢাকা রেঞ্জ, ঢাকা বরাবরে এজাহারের কপি প্রেরণ করেন। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান আইয়ুব খান হত্যা মামলার দায় এড়ানোর অসৎ উদ্দেশ্যে ১১/৫/২০ তারিখে উল্টো ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ আনায়নে গোপালপুর থানায় ৩৩০ নং মিথ্যা জিডি করেন। অবশেষে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গোপালপুর থানা পুলিশ ক্লিনিক মালিকের ৮/৫/২০ তারিখের দাখিলকৃত এজাহার ভিত্তিতে ১/৬/২০ তারিখে মামলা গ্রহণ করেন। যাহার মামলা নং ১ তারিখ ১/৬/২০ ইং।
উক্ত মামলায় চেয়ারম্যান আইয়ুব খান হুকুমের প্রধান আসামী বটে। হত্যা মামলা রুজুর পর চেয়ারম্যান আইয়ুব খান নড়েচরে বসেন। তিনি মামলার দায় হতে অব্যহতি উদ্দেশে ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা জিডি করেই ক্ষান্ত হন নাই। বিগত ১১/৬/২০ তারিখ হেমনগর কলেজ মোড়ে ক্লিনিক মালিককে একা পেয়ে চেয়ারম্যান হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য কঠিনভাবে হুশিয়ার করেন এবং মামলা তুলে না নিলে ক্লিনিক সীলগালা করণসহ মালিককে দেশছাড়া করবে বলে হুমকি দেন। এব্যাপারে ক্লিনিক মালিক চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে বিগত ১৬/৬/২০ তারিখে গোপালপুর থানায় ৫০৬ নং জিডি করেন। বর্তমানে ক্লিনিক মালিকের দাখিলকৃত মামলা ও জিডি তদন্তের অপেক্ষায় আছে। চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালীদের চাপের মুখে থানা পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে ব্যর্থ ভুমিকা পালন করিয়া আসিতেছে। অপরদিকে বহু মামলার আসামী ও মামলাবাজ চেয়ারম্যান আইয়ুব খান আক্রোশ মূলকভাবে ক্লিনিক মালিক ও ক্লিনিক ধবংশের জন্য বিগত ৬/৭/২০ তারিখ বিকাল ৪-০০ টায় হেমনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে শত শত লোকের উপস্থিতিতে মাননীয় এমপি মহোদয়ের সাহায্য প্রার্থনা করেন। সদাশয় এমপি মহোদয় আক্রোশমূলক ঘটনা বুঝতে পারিয়া নিরবতা পালন করেন। চেয়ারম্যান আইয়ুব খান মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত ভিসি রিট পিটিশন মামলা নং ৪১১ এবং গোপালপুর থানার মামলা নং ১/২০ এর এজাহারভুক্ত আসামী বটে। হেমনগরের সুধী জনতা বিবিধ মাধ্যমে চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের অপসারণ দাবী করিয়া আসিতেছেন।
‘বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত’
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।......বিস্তারিত